১৯৮১ সালের আগে অ্যান্ডোরায় প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন না। ফলত এই সময়ের আগে পর্যন্ত তাঁদের প্রশাসনিক, সাংবিধানিক সব সিদ্ধান্তই ফ্রান্স ও স্পেন মিলিত ভাবে নিত। ১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী পদটি তৈরি হয়। গঠন করা হয় সংসদ। নাম দেওয়া হয় ‘উপত্যকার সাধারণ পরিষদ’। অস্কার রিবাস রেইগ ছিলেন অ্যান্ডোরার প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সংসদে ছিলেন ২৮ জন সদস্য। বর্তমানে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাভিয়ের এসপট জামোরা। ২০১৯ সালের ১৬ মে থেকে তিনি সামলাচ্ছেন দায়িত্বভার।
পাহাড়ি দেশ হওয়ায় এখানে বেশির ভাগ রাস্তাই গ্রামের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। পর্যটকেরা স্পেন অথবা ফ্রান্সের বিমানবন্দর ব্যবহার করেন এখানে আসার জন্য। তার পর সেখান থেকে গাড়ি করে পাড়ি দেন অ্যান্ডোরায়। রেলের জন্যও একই ব্যবস্থা। ফ্রান্স অথবা স্পেনের সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ, তার পর সড়কপথে গাড়ি করে এ দেশে প্রবেশ করতে হয়।
২০২০ সালের করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পায়নি এই দেশও। জনসংখ্যা কম হলেও সংক্রমণ বেশি হয়েছিল। ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৪৭,৮২০ জনের মধ্যে সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১৬৫ জনের। দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন চলেছিল। যে হেতু এই দেশটির অর্থনীতি পর্যটন ও খুচরো ব্যবসার ওপরেই নির্ভরশীল, তাই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা ও মানুষদের সহায়তার জন্য আর্থিক সহায়তা দান করেছিল সরকার।
দেশ ছোট হলেও শিক্ষার মান বজায় রাখা হয় এখানে। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। অ্যান্ডোরা বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে, যেখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের নানা কোর্স পড়ানো হয়। স্বাস্থ্যব্যবস্থার দিক থেকেও পিছিয়ে নেই এই দেশ। রাজধানীতে বেশ বড় বড় হাসপাতাল এবং চিকিৎসাকেন্দ্র রয়েছে। যদিও জটিল রোগের জন্য ভরসা ফ্রান্স ও স্পেনই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy