Uddhav Thackeray is an accidental chief minister dgtl
URL Copied
চিত্র সংবাদ
থ্রি ইডিয়টসের ফারহান হতে পারেননি উদ্ধব! আচমকাই হন মুখ্যমন্ত্রী, পতনও নাটকীয়
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই ০১ জুলাই ২০২২ ১৫:৫১
Advertisement
১ / ১৫
বিখ্যাত বাবার সন্তান হওয়ার কিছু সমস্যা আছে। সব সময় একটা তুলনার মুখোমুখি হতে হয়। উদ্ধব ঠাকরের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
২ / ১৫
ঠাকরে পরিবারের সন্তান, শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র— এটাই তাঁর প্রথম পরিচয়। এমনকি, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও তিনি তাঁর প্রথম পরিচয় থেকে বেরোতে পারেননি।
Advertisement
Advertisement
৩ / ১৫
ছোটবেলায় উদ্ধব তার ফোটোগ্রাফির জন্য বেশ পরিচিত ছিলেন। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি ওই শৈল্পিক দক্ষতা পেয়েছেন। বালাসাহেবও কার্টুন আঁকতেন। ফোটোগ্রাফি করার সূত্রে উদ্ধব একটি বিজ্ঞাপন এজেন্সিও তৈরি করেছিলেন।
৪ / ১৫
উদ্ধব ২০০৪ সালে জাহাঙ্গির আর্ট গ্যালারিতে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন দুর্গের ছবির প্রদর্শনী করেছিলেন। এ ছাড়াও তিনি ছবির সংকলন নিয়ে ‘মহারাষ্ট্র দেশ’ এবং ‘পাহাব বিঠল’ নামে দু’টি বইও প্রকাশ করেন।
Advertisement
৫ / ১৫
উদ্ধবের স্ত্রী রশ্মি ঠাকরে। তিনি ভারতীয় জীবনবিমা নিগমের কর্মী ছিলেন। উদ্ধবের খুড়তুতো ভাই রাজ ঠাকরে। রাজের বোন জয়বন্তীর বন্ধু হওয়ার সূত্রেই উদ্ধবের সঙ্গে রশ্মির পরিচয়। ১৯৮৯ সালে উদ্ধব-রশ্মির বিয়ে। তাঁদের দুই পুত্র আদিত্য এবং তেজস।
৬ / ১৫
উদ্ধবের বয়স এখন ৬১। ইতিমধ্যে এক বার তাঁর হৃদ্যন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়ে গিয়েছে। ২০১২-র ১৬ জুলাই বুকে ব্যথা নিয়ে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অস্ত্রোপচার করে তাঁর ধমনী থেকে তিনটি ব্লক সরানো হয়।
৭ / ১৫
বালাসাহেবের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী রাজই হবেন বলে প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু মতানৈক্যের কারণে রাজ একটি নতুন রাজনৈতিক দল গড়েন। জেঠুর দল ছেড়ে বেরিয়ে যান। এর পরই বিজ্ঞাপন ব্যবসা গুটিয়ে রাজনীতির কারবারি হতে হয় উদ্ধবকে।
৮ / ১৫
উদ্ধবের উত্থান বেশ নাটকীয়। যখন মহাবিকাশ আঘাডী (এমভিএ) গঠিত হয়েছিল, তখন তিনি মাত্র এক দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। সেই সময় এনসিপির অজিত পওয়ার দল ভেঙে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।
৯ / ১৫
এর পর এনসিপি প্রধান শারদ পওয়ার জোটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন এবং তার ‘বন্ধু’র ছেলে উদ্ধবকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছিলেন।
১০ / ১৫
কিন্তু বালাসাহেবের ক্যারিশ্মা উদ্ধবের ছিল না। দল পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবারতন্ত্র নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল। মতবিরোধ তৈরি হচ্ছিল দলের অন্দরেই। উদ্ধব-পুত্র আদিত্য একাই তিনটি দফতরের দায়িত্বে ছিলেন।
১১ / ১৫
আদিত্যের আচরণেও অসন্তোষ বাড়ছিল একনাথ শিন্ডের মতো সিনিয়র সেনা অনুগতদের মধ্যে। আর এখান থেকেই বিদ্রোহের সূত্রপাত।
১২ / ১৫
একনাথ শিন্ডে, বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে চলে গেলেও উদ্ধব তার বাবা বালাসাহেবের মতো এই সঙ্কট মোকাবিলা করতে পারেননি। তিনি কেবল তাঁদের ফিরে আসার অনুরোধ করাছিলেন মাত্র। এবং পদত্যাগ করে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলো ছেড়ে মাতোশ্রীতে ফিরে যান।
১৩ / ১৫
মহারাষ্ট্রের এই সঙ্কট যদি রাজনীতিক উদ্ধবের পরীক্ষা বলে ধরে নেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে তিনি তার পরাজয় যে ভাবে মেনে নিয়েছেন তা একজন শিল্পীর পক্ষেই সম্ভব, রাজনীতিকের নয়।
১৪ / ১৫
ঘটনাপ্রবাহ যে দিকে মোড় নিয়েছে, তাতে উদ্ধবের সঙ্গে অবধারিত ভাবে তুলনা এসে পড়ছে ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবির চরিত্র ফানহানের।
১৫ / ১৫
যে ফারহান ছবিতে এক জন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং তার ভাল লাগে না। নেশা বন্যপ্রাণ এবং বন্যপ্রাণীর ছবি তোলা। সেটাকেই পেশা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফারহানের বাবা সিনেমায় শেষ পর্যন্ত রাজি হন, ফলে তিনি ছবি তোলাকেই পেশা করতে পেরেছিলেন। কিন্তু উদ্ধবের ক্ষেত্রে?