US government leaked documents revealed Donald Trump’s hidden agenda for tariff war, shocked the world dgtl
Trump’s Tariff War
নিজের পকেট ভরাতেই শুল্কের নামে ‘ব্ল্যাকমেল’? ফাঁস হওয়া গুপ্ত নথিতে প্রকাশ্যে ট্রাম্পের ‘কুকীর্তি’
সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গিয়েছে বিদেশ দফতরের একটি গোপন নথি। সেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধের আসল কারণের ব্যাখ্যা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট নথিটি প্রকাশ্যে আসার পর আমেরিকা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৫ ১২:১১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২১
ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কেন ‘শুল্ক-যুদ্ধে’ জড়াচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? এ বার তারই হদিস দিয়ে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের একাধিক বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করল আমেরিকারই গণমাধ্যম। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে পড়ে গিয়েছে শোরগোল। সংশ্লিষ্ট নথিগুলি ফাঁস হওয়ায় রাজনৈতিক ভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রক্তচাপ বাড়ল বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশ। যদিও তাঁর শরীরী ভাষায় এর কোনও প্রভাব পড়েনি।
০২২১
মার্কিন গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়া বিদেশ মন্ত্রকের নথি অনুযায়ী, মূলত নিজের ও ঘনিষ্ঠ ‘বন্ধু’দের বাণিজ্যিক সুবিধা পাইয়ে দিতে বিভিন্ন দেশের পণ্যে উচ্চ হারে শুল্ক চাপাচ্ছেন ট্রাম্প। আর তাই সংশ্লিষ্ট দেশগুলির সঙ্গে নিজের শর্তে বাণিজ্যচুক্তি করতে চাইছেন তিনি। কেউ অনড় মনোভাব দেখালে শুল্কের হার বাড়িয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করতেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের উপরে পড়ছে প্রভাব।
০৩২১
ফাঁস হওয়া নথিতে বলা হয়েছে, খনিজ তেলের সংস্থা শেভরন এবং ধনকুবের মার্কিন শিল্পপতি ইলন মাস্কের ইন্টারনেট পরিষেবাভিত্তিক সংস্থা স্টারলিঙ্ককে যাতে একাধিক দেশ ব্যবসা করার সুবিধা দেয়, তা মনেপ্রাণে চান ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, বিদেশের বাজারে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলি আর্থিক ছাড় পাক বলেও নাকি চাইছেন তিনি। আর তাই মোটা অঙ্কের শুল্ক চাপিয়ে এই প্রতিশ্রুতি আদায় করার পরিকল্পনা রয়েছে বর্ষীয়ান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের।
০৪২১
গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনে ট্রাম্পের হয়ে প্রচার করেন শিল্পপতি মাস্ক। ভোটে জেতার পর তাঁকে ‘কিচেন ক্যাবিনেট’-এর সদস্য করে নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুধু তা-ই নয় স্টারলিঙ্ক-কর্তার জন্য তৈরি হয় একটা আস্ত দফতর। নাম, ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ বা ডজ। চলতি বছরের ২৮ মে অবশ্য সেখান থেকে পদত্যাগ করেন মাস্ক। পাশাপাশি, নানা ইস্যুতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন তিনি।
০৫২১
গত ৫ জুলাই ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করেন মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের আমজনতার মধ্যে তাঁর বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, সে কারণেই ধনকুবের শিল্পপতিকে বিদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর মাধ্যমে স্টারলিঙ্ক-কর্তার সঙ্গে ‘সন্ধি’ করে নিয়ে ফের তাঁকে দলে টানতে চাইছেন ট্রাম্প। এতে আগামী দিনের ভোটে রাজনৈতিক ফয়দা তোলা তাঁর পক্ষে সহজ হবে বলে মনে করেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা।
০৬২১
আমেরিকার গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়া নথির একটি অংশে আফ্রিকার দেশ লেসোথোর উপরে চাপ তৈরির বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। ‘অন্ধকার মহাদেশ’টির ওই রাষ্ট্রটিকে ৫০ শতাংশ হারে শুল্ক চাপানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। লেসোথো পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি সংস্থা ‘ওয়ানপাওয়ার’কে বিদ্যুতের গ্রিড উন্নয়ন প্রকল্পে পাঁচ বছরের জন্য করে ছাড় দিক বলে চাইছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সংস্থার শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
০৭২১
পাশাপাশি, ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির গোপন উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে রয়েছে চিন বিরোধিতা। আমেরিকার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বেজিংকে নিশানা করতে চাইছেন তিনি। আর তাই ড্রাগনভূমির সীমান্তবর্তী দেশগুলির সঙ্গে মজবুত সামরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। ওই রাষ্ট্রগুলিতে সেনাছাউনি তৈরি করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তাই ভারতের মতো দেশকেও শুল্কের চাপ দিয়ে এ ব্যাপারে রাজি করাতে চাইছেন বর্ষীয়ান ট্রাম্প।
০৮২১
ফাঁস হওয়া গোপন নথিতে কম্বোডিয়া এবং ইজ়রায়েলের কথা বলা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির রিম নৌঘাঁটির কাছে বাহিনী মোতায়েন করতে চেয়েছিল চিন। প্রাথমিক ভাবে নম পেন তাতে আপত্তি করেনি। এর পরই কম্বোডিয়ার উপরে মোটা অঙ্কের শুল্ক চাপিয়ে দেন ট্রাম্প। ফলে আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে তারা। ভেস্তে যায় বেজিঙের পরিকল্পনাও।
০৯২১
একই কথা ইজ়রায়েলের ক্ষেত্রেও সত্যি। ইহুদিভূমির হাইফা বন্দরে একাধিক চিনা সংস্থার বিনিয়োগ রয়েছে। সেই কারণেই তেল আভিভের উপরে শুল্ক চাপিয়ে চাপ তৈরি করতে চাইছেন ট্রাম্প। ২০২৩ সালে হাইফা বন্দর অধিগ্রহণ করেন ভারতের অন্যতম ধনকুবের শিল্পপতি গৌতম আদানি। তার পর থেকেই সেখানে বেজিঙের প্রভাব উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়। তবে হাইফা থেকে ড্রাগনভূমির সংস্থাগুলি পুরোপুরি পাততাড়ি গুটিয়েছে, এ কথা বলা যাবে না।
১০২১
এই নথি ফাঁস হওয়ার পর ভারতের উপরে ট্রাম্পের রাগের বেশ কয়েকটি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশ। তাঁদের যুক্তি, প্রথমত আমেরিকার জন্য চিনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘাতে নয়াদিল্লি জড়িয়ে পড়ুক, চাইছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্ত কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার তাতে রাজি না হওয়ায় চটে গিয়ে ‘শুল্ক-বাণ’ ছুড়তে থাকেন তিনি।
১১২১
দ্বিতীয়ত, ভারতের মতো ‘কৌশলগত অংশীদার’কে বিপুল পরিমাণে অত্যাধুনিক হাতিয়ার বিক্রির পরিকল্পনা করেন ট্রাম্প। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে দাঁড়িয়ে ‘এফ-৩৫ লাইটনিং টু’ লড়াকু জেট নয়াদিল্লির হাতে তুলে দেওয়ার কথাও বলতে শোনা যায় তাঁকে। কিন্তু, এই যুদ্ধবিমানের প্রতিরক্ষা চুক্তি করার ব্যাপারে কোনও আগ্রহ দেখায়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। শুধু তা-ই নয়, রুশ হাতিয়ারের আমদানি যে এখনই কমানো হচ্ছে না, তা-ও একরকম স্পষ্ট করে দিয়েছে নয়াদিল্লি।
১২২১
ট্রাম্পের এই নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন সাবেক মার্কিন কূটনীতিক ওয়েন্ডি কাটলার। আমেরিকার বাণিজ্য দফতরে দীর্ঘ ৩০ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ‘‘বাণিজ্যিক সমঝোতার জন্য এই ধরনের শর্ত এই প্রথম দেখছি। আলোচনার টেবলে এই নিয়ে কথা বলা যায় না। এতে বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।’’
১৩২১
অন্য দিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্ক নিয়ে ‘পাগলামি’র কড়া সমালোচনা করেছেন আমেরিকার সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বা এনএসএ (ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার) জন বোল্টন। ট্রাম্পের প্রথম কার্যকালের মেয়াদে ওই পদে ছিলেন তিনি। সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোল্টন বলেছেন, ‘‘ভারতকে রাশিয়া ও চিনের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা দীর্ঘ দিন ধরে করা হয়েছে। সদ্য সেই কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সাফল্য পেয়েছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু জল ফের সম্পূর্ণ উল্টো দিকে বইতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে এর মূল্য চোকাতে হবে।’’
১৪২১
ভারতের উপরে চাপ তৈরি করতে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন ট্রাম্প। গত জুনে ইসলামাবাদের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান তিনি। তাঁর সঙ্গে একান্ত বৈঠকও করেন ট্রাম্প। পরে জানা যায়, পাকিস্তানে তাঁর ক্রিপ্টো মুদ্রার ব্যবসা দেখভাল করবেন ফিল্ড মার্শাল মুনির। জুলাইয়ে ইসলামাবাদের উপর থেকে শুল্কের অঙ্ক কমিয়ে ১৯ শতাংশে নিয়ে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
১৫২১
এ বছরের অগস্টের শেষে অবসরগ্রহণ করছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের শীর্ষ ফৌজি আধিকারিক জেনারেল মাইকেল কুরিল্লা। তাঁর বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে দু’মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার আমেরিকা যান পাক সেনাপ্রধান। সেখানে ফ্লরিডায় একটি অনুষ্ঠানে পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দেন ফিল্ড মার্শাল মুনির। বলেন, ‘‘আমরা আণবিক শক্তিধর দেশ। যদি মনে হয় ধ্বংসের পথে এগোচ্ছি, তা হলে অর্ধেক বিশ্বকে নিয়ে আমরা ধ্বংস হব।’’
১৬২১
ইসলামাবাদের ফিল্ড মার্শালের ওই হুমকির পর বিশ্ব জুড়ে ওঠে নিন্দার ঝড়। এই নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে মুনিরকে পাল্টা নিশানা করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের প্রাক্তন শীর্ষকর্তা মাইকেল রুবিন। তিনি বলেন, ‘‘কথাগুলো শুনে মনে হয়েছে যে, মুনির যেন স্যুট পরিহিত ওসামা বিন লাদেন।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকার স্থায়ী প্রতিনিধি নিকি হ্যালিও ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘শুল্কযুদ্ধের জেরে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ভারতের মতো নির্ভরযোগ্য সহযোগীর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করা অনুচিত। এতে ওই এলাকায় প্রধান্য বিস্তারে সুবিধা পাবে চিন।’’
১৭২১
তবে শুল্ক-সংঘাত শুরু করার আগে অবশ্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলেছেন ট্রাম্প। প্রথম পর্যায়ে তাঁর যুক্তি ছিল, এর মাধ্যমে মেক্সিকো ও কলম্বিয়া থেকে মাদকের চোরাচালান বন্ধ করতে পারবেন তিনি। পরে বলেন, কানাডাকে আমেরিকার ৫১তম প্রদেশে পরিণত করতে মোটা হারে শুল্ক চাপানো হচ্ছে। শেষে চিন এবং ভারতের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ঘাটতির উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
১৮২১
জুলাইয়ে নয়াদিল্লির পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেন ট্রাম্প। ফলে সব মিলিয়ে ভারতীয় সামগ্রীতে শুল্কের অঙ্ক দাঁড়াচ্ছে ৫০ শতাংশ। এ বার ইউক্রেন যুদ্ধের ধুয়ো তোলেন তিনি। বলেন, ‘‘রাশিয়ার থেকে ক্রমাগত খনিজ তেল আমদানি করছে ভারত। ফলে লড়াই চালু রাখার প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যাচ্ছে মস্কো।’’ পূর্ব ইউরোপে সংঘাত থামাতে রুশ ‘বন্ধু’দের উপর শুল্ক বসানো আবশ্যিক হয়ে পড়েছে বলে যুক্তি দেন তিনি। এতে নাকি নিঃসঙ্গ হয়ে গিয়ে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হবে ক্রেমলিন।
১৯২১
মজার বিষয় হল, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলি কখনওই রাশিয়ার থেকে খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানি বন্ধ করেনি। কিন্তু, তাদের পণ্যে কোনও রকমের বাড়তি শুল্ক আরোপ করেননি ট্রাম্প। সংঘাতের সময় বিপুল নিষেধাজ্ঞা থাকার জেরে ভারতকে সস্তা দরে ‘তরল সোনা’ বিক্রির মেগা অফার দেয় মস্কো। সেই কারণে গত সাড়ে তিন বছরে ক্রেমলিনের থেকে বিপুল অঙ্কের তেল কিনেছে মোদী সরকার।
২০২১
আগামী ১৫ অগস্ট ইউক্রেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাতে আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ট্রাম্প। তার আগে অবশ্য স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে নাম না করে ভারতের উপর শুল্ক চাপানো যে সঠিক ছিল, তা স্পষ্ট করেছেন তিনি। ১১ অগস্ট সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘রুশ তেল কিনলে আমরা ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপাচ্ছি। এটাই ছিল ওদের কাছে বড় ধাক্কা।’’ নয়াদিল্লি অবশ্য এখনই মস্কোর থেকে তেল কেনা বন্ধ করা হচ্ছে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে।
২১২১
বিশেষজ্ঞদের অবশ্য দাবি, ট্রাম্পের শুল্কনীতির জেরে মার্কিন বাজারে রকেট গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে মুদ্রাস্ফীতির হার। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্ষেত্রে দামের ছেঁকায় হাত পুড়ছে সাধারণ আমেরিকাবাসীর। এর জেরে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার সূচকে দেখা গিয়েছে বড় পতন। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে গত শতাব্দীর ’৩০-এর দশকের ‘মহা মন্দা’ ফিরে আসতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তাঁরা।