Advertisement
০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
Trident II D5 missile

সমুদ্র ফুঁড়ে বেরিয়ে নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানে ‘শিবের ত্রিশূল’! কাদের হাতে আছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্ষেপণাস্ত্র? দামই বা কত?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৫ ০৮:০২
Share: Save:
০১ ১৩
Trident II D5 missile

শত্রুপক্ষের হাত থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা দেশই তাদের অস্ত্রভান্ডার সজ্জিত করে রেখেছে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একের পর এক অস্ত্র তৈরি করছে। শত্রুদেশের হানাদারি রোখার পাশাপাশি কৌশলগত লড়াইয়ের প্রস্তুতি সেরে রাখতে চায় প্রতিটি দেশই। সৈন্যশক্তির নিরিখে হোক বা ক্ষেপণাস্ত্রের ভান্ডার, একে অপরের সঙ্গে টক্কর দিতে তৈরি শক্তিধর দেশগুলি।

০২ ১৩
Trident II D5 missile

আমেরিকা, রাশিয়ার অস্ত্রভান্ডার বিশ্বের প্রতিটি দেশের বুক কাঁপিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। পিছিয়ে নেই চিনও। ভারতের হাতেও এমন সমস্ত মারণাস্ত্র রয়েছে যা দিয়ে নিকেশ করা যাবে শত্রুপক্ষকে। পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকারী দেশ হিসাবে বিশ্বের সাতটি দেশের মধ্যে নিজের নাম তুলেছে ভারত।

০৩ ১৩
Trident II D5 missile

ভারতের হাতে যে সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্র আছে তা কয়েক মিনিটেই শত্রুঘাঁটি নিকেশ করার পক্ষে যথেষ্ট। ব্রহ্মস, অগ্নি এবং প্রলয়ের মতো ক্ষেপণাস্ত্রগুলি শত্রুপক্ষকে ধরাশায়ী করার জন্য একাই একশো। আবার রাশিয়ার হাতে যে অস্ত্র রয়েছে তাতে সমুদ্রে তৈরি হতে পারে প্রবল সুনামি। আমেরিকা, চিনের অস্ত্রভান্ডারও ভয়াবহ।

০৪ ১৩
Trident II D5 missile

সামরিক ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে চূড়ান্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে থাকে সব দেশ। স্থলসেনা, বায়ুসেনা, নৌবাহিনী বা অস্ত্রভান্ডারের খুঁটিনাটি, এ সব নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলে না বেশির ভাগ দেশই। তাই কোন দেশের হাতে সঠিক কত অস্ত্র রয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আদানপ্রদান হয় না বললেই চলে।

০৫ ১৩
Trident II D5 missile

বিশ্বের মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশের হাতে এমন সব বিপজ্জনক অস্ত্র মজুত রয়েছে, সেগুলির বৈশিষ্ট্য জানলে অবাক হতে হয়। তার এক একটি তৈরি করতে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়, তা দিয়ে কেনা যায় বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল একাধিক গাড়ি। আমেরিকার হাতে এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যার দামে কেনা যাবে রোলস রয়েসের সবচেয়ে দামি সংস্করণের দু’টি। বেসরকারি মতে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি।

০৬ ১৩
Trident II D5 missile

আমেরিকার সেই ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম ‘ট্রাইডেন্ট টু ডি ফাইভ’। এটি সুদীর্ঘ পাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র। বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ট্রাইডেন্ট বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্ষেপণাস্ত্র। এই অস্ত্রটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে ৫৯৬ কোটি টাকারও বেশি। ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপিত ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এটি। মহাসাগরের জল তোলপাড় করে দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন এই অস্ত্রটি আমেরিকান নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত সবচেয়ে উন্নত বলে মনে করা হয়।

০৭ ১৩
Trident II D5 missile

সমুদ্রের গভীর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ছোড়া হয়ে থাকে। প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক পরমাণু অস্ত্র বহন করার ক্ষমতাসম্পন্ন। যে সাবমেরিন থেকে এগুলি ছোড়া হয় সেটি আটটি পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র বহন করে। প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র পাঁচটি পর্যন্ত পারমাণবিক বোমা বহন করে। সবচেয়ে শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে একটি।

০৮ ১৩
Trident II D5 missile

সমুদ্রের গভীর থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রগুলি জল ফুঁড়ে বাইরে এসে গন্তব্যের দিকে ছুটে গিয়ে নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রগুলিতে মাল্টিপল ইনডিপেনডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকল বা এমআইআরভি লাগানো থাকে। অর্থাৎ, একটি ক্ষেপণাস্ত্রই একসঙ্গে অনেকগুলি লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম।

০৯ ১৩
Trident II D5 missile

২০১৭ সালে প্রশান্ত মহাসাগরের বুক থেকে এর পরীক্ষামূলক মহড়া চালায় মার্কিন নৌবাহিনী। ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলের অদূরে প্যাসিফিক টেস্ট রেঞ্জ থেকে ট্রাইডেন্ট ছোড়া হয়েছিল। ওহায়ো ক্লাস সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ছোড়া হয়।

১০ ১৩
Trident II D5 missile

আমেরিকার যে নিউক্লিয়ার ট্রায়াড (ভূমি, আকাশ ও জলভাগ, এই তিন অবস্থান থেকেই পরমাণু হামলা চালানোর ব্যবস্থা) রয়েছে, তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল এই ওয়াহো ক্লাস সাবমেরিন। প্রতিটি ডুবোজাহাজে ২৪টি করে ট্রাইডেন্ট টু ডি ফাইভ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করা সম্ভব। মার্কিন নৌসেনার হাতে ১৪টি এই গোত্রের ডুবোজাহাজ রয়েছে।

১১ ১৩
Trident II D5 missile

সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে পরমাণু হামলা চালানোর সক্ষমতাই হল নিউক্লিয়ার ট্রায়াডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যুদ্ধের সময় প্রতিপক্ষের আচমকা হামলায় যদি স্থলভাগ এবং আকাশ থেকে হামলা চালানোর সক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়, তা হলে সমুদ্রের গভীর থেকে পাল্টা পরমাণু হামলা চালানোই একমাত্র উপায়।

১২ ১৩
Trident II D5 missile

৮০ টন এবং প্রায় ৪৪ ফুট দৈর্ঘ্যের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে আমেরিকার প্রতিরক্ষা সংস্থা লকহিড মিসাইল অ্যান্ড স্পেস কর্পোরেশন। এর পাল্লা ১২ হাজার কিলোমিটার। বর্তমানে ট্রাইডেন্ট ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের মাত্র দু’টি দেশ ব্যবহার করতে পারে। প্রস্তুতকারক দেশ আমেরিকা এবং ব্রিটেন। আমেরিকা তাদের এই বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্রটি তৃতীয় কোনও দেশকে বিক্রি করেনি।

১৩ ১৩
Trident II D5 missile

‘ট্রাইডেন্ট টু ডি ফাইভ’ ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৯৯০ সালে প্রথম আমেরিকার নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্র পৃথিবীর প্রায় যে কোনও অংশ থেকে অন্য অংশে লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত হানতে পারে। এর প্রতিটি বোমা ১৯৪৫ সালে হিরোশিমাকে ধ্বংস করে দেওয়া বোমার চেয়ে প্রায় আট গুণ বেশি ধ্বংসাত্মক।

সব ছবি : সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy