Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Science

গোয়েন্দা চরিত্র সৃষ্টির অনুপ্রেরণা এক জন চোর

যিনি অবশ্য পরে পুলিশে যোগ দিয়েছিলেন। অনুপ্রাণিত গোয়েন্দার নাম মঁসিয়ু ল্যকক। স্রষ্টা ফ্রান্সের এমিল গাবোরিয়ো। যাঁকে কটাক্ষ করেছেন উত্তরসূরি শার্লক হোমস। কিন্তু গবেষকেরা জানেন, হোমসের তদন্তপদ্ধতি ও মন্তব্যে বার বার ফিরে এসেছে ল্যকক-এর প্রতিফলন।

রহস্যস্রষ্টা: (বাঁ দিক থেকে) এমিল গাবোরিয়ো, এডগার অ্যালান পো, স্যর আর্থার কোনান ডয়াল। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স

রহস্যস্রষ্টা: (বাঁ দিক থেকে) এমিল গাবোরিয়ো, এডগার অ্যালান পো, স্যর আর্থার কোনান ডয়াল। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স

সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৩৩
Share: Save:

ফেলুদা এসেছে ঘুরঘুটিয়া গ্রামে। পলাশি স্টেশন থেকে সাড়ে পাঁচ মাইল দূরে। কালীকিঙ্কর মজুমদার নামে এক ভদ্রলোকের আমন্ত্রণে। সঙ্গে তোপসে, শ্রীমজুমদারের গাড়ি তাদের নিয়ে যেতে এসেছে পলাশি স্টেশনে।

সমস্ত বাঙালি পাঠকের অতি পরিচিত ও প্রিয় গল্প ‘ঘুরঘুটিয়ার ঘটনা’। কালীকিঙ্করবাবু একটা সঙ্কেত সমাধানের জন্য ডেকেছিলেন ফেলুদাকে। কাজটা করতে পারলে পুরস্কার হিসেবে ধার্য করেন এক সেট বই। লেখক এমিল গাবোরিয়োর নাম শুনেছেন কি না, এ প্রশ্ন করা হলে ফেলুদা উৎসাহের সঙ্গে বলে ওঠেন, “হ্যাঁ হ্যাঁ…ফরাসী লেখক, প্রথম ডিটেকটিভ উপন্যাস লেখেন।”

ছোটবেলায় গল্পটা পড়ার সময় ভেবেছিলাম, বড় হয়ে এই লেখকের লেখা পড়তে হবে। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। এক তো ফরাসি ভাষা শেখা হয়নি, দ্বিতীয়ত ইংরেজি অনুবাদে এঁর কোনও লেখা হাতে পাইনি। আমরা গোয়েন্দা বলতে বুঝেছি বাঙালি হলে ব্যোমকেশ-ফেলুদা, আর বিদেশি হলে হোমস-পোয়ারো। স্বয়ং শার্লক হোমস ‘স্টাডি ইন স্কারলেট’ (১৮৮৭) এ ওয়াটসনকে প্রশ্ন করেছেন, “গাবোরিয়ো পড়েছ? কেমন লেগেছে?” কোনান ডয়ালের এই উপন্যাসেই ‘জন্ম’ শার্লক হোমসের, ১৩৫ বছরেও যিনি অম্লান, এক এবং অদ্বিতীয়।

এমিল গাবোরিয়োর গোয়েন্দার নাম মঁসিয়ু ল্যকক। সম্পূর্ণ গোয়েন্দা উপন্যাস তিনিই প্রথম লেখেন, ‘লাফ্যের লারুজ’ (১৮৬৬)। এর দু’বছর পরে প্রথম ইংরেজি গোয়েন্দা উপন্যাস লেখেন উইকি কলিন্স, যার নাম ছিল ‘দ্য মুনস্টোন’। মোটামুটি ভাবে গোয়েন্দা সাহিত্যের একটি ধারার স্বমহিমায় আত্মপ্রকাশ উনিশ শতকের মাঝামাঝি। গোয়েন্দাগল্প আর রহস্যগল্প কিন্তু এক নয়। রহস্য আছে দুটোতেই, কিন্তু গোয়েন্দা গল্পের কেন্দ্রে রয়েছেন এক গোয়েন্দা। কেমব্রিজ অভিধানের মতে গোয়েন্দা বা ডিটেকটিভ হলেন এমন ‘এক ব্যক্তি যাঁর পেশা অপরাধের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে অপরাধীকে শনাক্ত করা’।

অনেকের মতে, এ ধরনের গল্পের প্রথম সন্ধান মেলে বাইবেলে ‘সুসান অ্যান্ড দ্য এল্ডারস’ গল্পে। ওল্ড টেস্টামেন্টের এই গল্পে বিচারক ড্যানিয়েলের প্রশ্নবাণে ভেঙে পড়ে সত্যিটা স্বীকার করে দুই সাক্ষী। সফোক্লিসের বিখ্যাত নাটক ‘ইদিপাস রেক্স’-এ রাজা ইদিপাস অনেক সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলে উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করছেন, তাঁর পূর্ববর্তী রাজা লাইয়ুসের হত্যাকারী কে। একেবারে পেশাদার গোয়েন্দাদের মতো পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে তিনি এই ভয়ঙ্কর সত্যে পৌঁছচ্ছেন যে, হত্যাকারী তিনি নিজে! সফোক্লিস এ কাহিনি লিখেছিলেন জিশুর জন্মের প্রায় পাঁচশো বছর আগে। আরব্য রজনীর গল্পেও আছে এক সুন্দরী যুবতীর মৃতদেহ একটি বাক্সের মধ্যে আবিষ্কার করে হারুন অল রশিদ তাঁর মন্ত্রী জাফরকে বলেছিলেন, তিন দিনের মধ্যে খুনিকে ধরে আনতে হবে, নয়তো জাফরেরই গর্দান যাবে। রাজা ইদিপাসের মতো জাফরও সে কাজে সফল হয়েছিলেন। তবে সেই প্রাচীন যুগের কাহিনিতে এইসব তদন্ত কিংবা অনুসন্ধানের মূল উপাদান ছিল আধিভৌতিক বা দৈব সহায়তা। প্রাক্‌-যৌক্তিক যুগে যা ছিল খুবই স্বাভাবিক।

চিন দেশে এ ধরনের লেখার নমুনা পাওয়া যায় উয়ান রাজতন্ত্র ও মিং রাজতন্ত্রের সময়ে, মোটামুটি ত্রয়োদশ শতকের মাঝামাঝি থেকে অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি অবধি। এর নাম ‘গংগান’, যার আক্ষরিক অনুবাদ হল ‘জনগণের বিচারের আদালতের মামলার দলিল’। এর সবগুলিতেই যিনি গোয়েন্দার কাজটি করছেন, তিনি স্থানীয় হাকিম। তবে সে যুগে এ সব লেখাকে সাহিত্য হিসেবে গণ্য করা হত না, সে ভাবে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টাও করা হয়নি। পরবর্তী কালে টোকিয়ো শহরে এক পুরনো বইয়ের দোকানে একটি মাত্র কপি পাওয়া গিয়েছে এই ‘গংগান’-এর।

ইউরোপে এ ধরনের লেখা প্রথম লেখেন ভলতেয়র, নাম ‘জ়াদিগ’ (১৭৪৮)। লিখেছেন ওলন্দাজ লেখক স্তেনসেন ব্লেচার বা নরওয়ের মরিটস হ্যান্সেন-ও। কিন্তু গোয়েন্দাগল্পকে সাহিত্যের শাখা হিসেবে ইংরেজি সাহিত্যে প্রতিষ্ঠিত করার কৃতিত্ব আমেরিকান লেখক এডগার অ্যালান পো-র। তাঁর বিখ্যাত গল্প ‘মার্ডার ইন দ্য রু মর্গ’-এ পৃথিবী পেল প্রথম প্রকৃত গোয়েন্দা বুদ্ধিমান ও অসম্ভব খেপাটে অগুস্ত দুপ্যাঁ-কে। ১৮৪১ সালে যখন এই গল্প প্রকাশিত হল, তখন অবধি ইংরেজি অভিধানে ‘ডিটেকটিভ’ বা গোয়েন্দা শব্দটি স্থান পায়নি। ‘দুপ্যাঁ’ নামটি পো তৈরি করেছিলেন ইংরাজি ‘ডিসেপশন’ বা ‘ডিউপ’ শব্দটি থেকে, যার মানে প্রতারণা। আর এখানেই উদ্ভব হল ‘প্লট’-এর, যা আজ পর্যন্ত গোয়েন্দাগল্পের আধার। এর পর পো লিখলেন দুপ্যাঁ-কে কেন্দ্রীয় চরিত্র করে আরও দু’টি গল্প— ‘দ্য মিস্ট্রি অব মারি রজেট’ (১৮৪২) আর ‘দ্য পারলয়েন্‌ড লেটার’ (১৮৪৪)।

যাই হোক, গাবোরিয়োর কথায় ফিরে আসি।

এডগার অ্যালান পো মারা যান ১৮৪৯ সালে, তখন এমিল গাবোরিয়ো সতেরো বছরের তরুণ। তাঁর সৃষ্ট শখের ডিটেকটিভ মঁসিয়ু ল্যকক চরিত্রটি তৈরির জন্য গাবোরিয়ো ‘মডেল’ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন ফ্রাঁসোয়া ভিদক নামে এক ব্যক্তির জীবন ও লেখাকে। এই ব্যক্তি প্রথম জীবনে ছিলেন চোর, পরে চাকরি নেন পুলিশে। তাঁর লেখা একমাত্র বই ‘মেমোয়ার্স অব ভিদক’ বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কল্পনার সংমিশ্রণ।

গাবোরিয়োর জন্ম ১৮৩২ সালের ৯ নভেম্বর দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের সোজ় শহরে। তাঁর বাবা ছিলেন সরকারি কর্মচারী। চাকরি সূত্রে বেশ কয়েক বার বদলি হয়েছেন তিনি, বাড়ি বদলে গিয়েছে এমিলের। তাঁর স্কুল জীবনের এক বন্ধুর কাকা একটা কাগজ বার করতেন যার নাম ছিল ‘ল্য সিয়েক্ল’। এই কাগজেই পরবর্তী কালে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হতে থাকে গাবোরিয়োর সব উপন্যাস। স্কুলের পড়া শেষ করে গাবোরিয়ো সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তবে দু’বছরের বেশি কাজ করেননি সেখানে।

১৮৫৬ সালে গাবোরিয়ো প্যারিসে বসবাস শুরু করেন আর শুরু করেন সাংবাদিকের চাকরি ‘লা ভেরিতে’ কাগজে। এ সময়ে তৃতীয় নেপোলিয়নের ইটালি বিজয়ের খবর দেওয়ার বিশেষ দায়িত্ব ছিল তাঁর। কিন্তু এ কাজে যা আয় হচ্ছিল, তাতে চলছিল না গাবোরিয়োর। এ সময়ে তিনি পল ফেভা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন। ফেভা ছিলেন অন্য এক সংবাদপত্রের সম্পাদক। তাঁর মোটামুটি খ্যাতি ছিল অপরাধ-ঘেঁষা প্রেমের গল্প লেখার ব্যাপারে, যা তিনি নিজে লিখতেন না। কিছু মাইনে করা লেখক তাঁর হয়ে সে সব মুখরোচক গল্প লিখে দিতেন। সেই রকমই এক জন লেখক হিসেবে কাজে যোগ দিলেন গাবোরিয়ো। সে সময় গল্পের মালমশলা জোগাড় করতে তাঁকে প্রায়ই যেতে হত ফৌজদারি আদালতে, মর্গে ও জেলখানায়। এ কাজে পেট হয়তো ভরছিল, কিন্তু মন ভরছিল না একেবারেই। প্রথমে প্রকাশ করলেন নিজের লেখা একটা কবিতার বই। সে বই কারও নজর কাড়ল না, হারিয়ে গেল অচিরেই।

‘লাফ্যের ল্যরুজ’ প্রকাশিত হতে থাকল ১৮৬৫ সালে ‘ল্য সিয়েক্ল’ খবরের কাগজে। এ বারে সাফল্য এল। এর পর প্রায় এক ডজন উপন্যাস লিখেছেন গাবোরিয়ো। সবগুলি অনূদিত হয়েছে ইংরেজি, জার্মান ও ইটালিয়ান ভাষায়। বেশ কয়েকটি বই জাপানি ভাষায় অনুবাদ করেছেন রুইকো কুরিওয়া এবং সে দেশেও যথেষ্ট খ্যাতি লাভ করেন এমিল গাবোরিয়ো। প্যারিস কমিউনের উত্থানের সময় গাবোরিয়ো ছিলেন প্যারিসে এবং শোনা যায়, ধোপার কাপড় নিয়ে যাওয়ার এক গাড়িতে লুকিয়ে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান।

এমেলি রজেলেতকে বিয়ে করেছিলেন ১৮৭৩ সালে, কিন্তু সে বিয়ে ভেঙে যায় অল্প দিন পরেই। ব্যাপারটা খুবই বিস্ময়কর, কারণ বিয়ের আগে দীর্ঘ এগারো বছর এমেলি ছিলেন গাবোরিয়োর সঙ্গী। শোনা যায় এমেলি লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন গাবোরিয়োকে।

শার্লক হোমসের কাহিনিগুলি জগদ্বিখ্যাত মূলত হোমসের পর্যবেক্ষণ এবং ছোট ছোট আপাত অকিঞ্চিৎকর সূত্র থেকে ঘটে যাওয়া ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য। যুগে যুগে যুক্তিনির্ভর গোয়েন্দাগল্পের এটাই ভিত্তি। এক জায়গায় ফেলুদাকেও বলতে শোনা যায়, “যা বলার কোনান ডয়াল বলে গিয়েছেন আমাদের কাজ স্রেফ তাঁকে ফলো করে যাওয়া।” এই কাজটি কিন্তু কোনান ডয়ালেরও আগে করেছেন গাবোরিয়ো। গাবোরিয়োর গল্পে ছোট ছোট ‘ক্লু’ বিচার করে অপরাধীতে পৌঁছনোর ব্যাপারটাই প্রাধান্য পেয়েছে। যাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন কোনান ডয়াল, গাবোরিয়োর আরও দু’দশক পরে।

গাবোরিয়োর নিজেকে এডগার অ্যালান পো-র ভাবশিষ্য মনে করতেন। পো-র দুপ্যাঁর মতোই তাঁর সৃষ্ট ল্যককের ছিল অসম্ভব ভাল পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা। ল্যককের ক্ষমতা পাল্লা দিতে পারে তার উত্তরসূরি হোমসের সঙ্গেও। আধ ঘণ্টা আগে বরফে ঢাকা রাস্তা দিয়ে একটি লোক চলে গিয়েছে। সেই বরফে ঢাকা পথের দিকে তাকিয়েই ল্যকক বলে দিতে পারেন, “লোকটি মাঝবয়সি, খুব লম্বা, একটা ওভারকোট পরে ছিল যা ওর ফিট করেনি, আর লোকটি বিবাহিত।”

হোমসের যেমন ওয়াটসন, বা পোয়রোর হেস্টিংস, গাবোরিয়োর গোয়েন্দা ল্যককের সহকারী পেয়র তাবারে। তিনি প্রথম জীবনে ছিলেন বন্ধকী কারবারের দোকানে এক কর্মচারী। তিনি ওয়াটসন বা হেস্টিংস-এর মতো উচ্চ শিক্ষিত চিকিৎসক নন। আবার অজিতের মতো লেখকও নন। আর মজা হল যে, উপন্যাস তাঁকে বিখ্যাত করল সেই ‘লাফ্যের ল্যেরুজ’-এ সঠিক অর্থে কেন্দ্রীয় চরিত্র কিন্তু এই তাবারে, গোয়েন্দা ল্যকক নিজে নন।

কোনান ডয়াল কিন্তু তাঁর প্রথম গল্পে গাবোরিয়োর ল্যককের যাচ্ছেতাই নিন্দে করেছেন হোমসের মুখে। তিনি ওয়াটসনকে প্রশ্ন করছেন ওয়াটসন গাবোরিয়ো পড়েছেন কি না, তার পরই বলছেন ল্যকক একদম অপদার্থ, যা তিনি নিজে চব্বিশ ঘণ্টায় করতে পারেন তা করতে ল্যককের লেগেছে ছ’মাস, গোয়েন্দাদের ল্যককের বই পড়া দরকার এটা জানতে, যে কী করা উচিত নয়।

অথচ গবেষকেরা দেখেছেন, কোনান ডয়ালের উপন্যাসের গঠনশৈলীর মধ্যে গাবোরিয়োর ছাপ সুস্পষ্ট, দু’জনের লেখা অনেক কথার মধ্যেও অস্বাভাবিক মিল। যেমন ল্যকককে তাঁর এক বন্ধু বলছেন, “তুমি যদি অভিনেতা হতে তা হলে দারুণ হত।” আবার একটি হোমস-কাহিনিতে বন্ধু জোনস বলছেন হোমসকে, “তুমি অভিনেতা হলে খুবই অনবদ্য অভিনেতা হতে।”

এক গল্পে গাবোরিয়ো লিখছেন, “ক্লেয়র নামের এই মহিলা শুধু তাঁর সহজাত ক্ষমতা দিয়ে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন, যেখানে পৌঁছতে তাবারেকে অনেক মাথা খাটাতে হয়েছে। এইখানেই মহিলাদের শ্রেষ্ঠত্ব।” কোনান ডয়াল শার্লক হোমসকে দিয়ে বলাচ্ছেন, “একটা ঘটনা কোনও মহিলার মনের উপরে সহজেই যে ছাপ ফেলে তা অনেক যৌক্তিক বিশ্লেষণের থেকে বেশি দামি।”

গাবোরিয়োর অকালমৃত্যু হয় প্যারিসে পালমোনারি অ্যাপোপ্লেক্সি রোগে, ১৮৭৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। রঙ্গমঞ্চে শার্লক হোমসের আবির্ভাবের পর থেকে কমতে থাকে গাবোরিয়োর লেখার জনপ্রিয়তা। হয়তো সেটা চেয়েছিলেন বলেই কোনান ডয়ালের হোমস ওই রকম আক্রমণ করেছেন গাবোরিয়োর ল্যকককে। পো-র দুপ্যাঁকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি কোনান ডয়াল।

তবে বেশি বয়সে লেখা স্যর আর্থার কোনান ডয়াল তাঁর আত্মজীবনী ‘মেমোরিজ় অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চারস’ (১৯২৪) গ্রন্থে গাবোরিয়োর প্রতিভাকে স্বীকার করে গিয়েছেন। যেমন স্বীকার করেছেন পো আর তাঁর সৃষ্ট দুপ্যাঁকেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Science Bengali Story
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE