Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

আমাদের হারানোটা আদৌ সহজ হবে না

বিশ্বকাপ সে ভাবে নিয়মিত দেখা হচ্ছে না। বিশেষ করে আমাদের সময়ে রীতিমতো ভোরে নিউজিল্যান্ডে যে ম্যাচগুলো হয়েছে! যে কারণে প্রথম সেমিফাইনালটাও একটু বেলায় পরের দিকে দেখলাম। তবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালটা আগাগোড়া দেখব। নিজের দেশের ম্যাচ বলে কথা। তা ছাড়া, খেলাটাও সকাল ন’টা থেকে। অস্ট্রেলিয়ান টেনিস জগতের অনেক পুরনো তারকা প্লেয়ারের সঙ্গে আমার সখ্য আছে।

জয়দীপ মুখোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৫ ১৮:০০
Share: Save:

বিশ্বকাপ সে ভাবে নিয়মিত দেখা হচ্ছে না। বিশেষ করে আমাদের সময়ে রীতিমতো ভোরে নিউজিল্যান্ডে যে ম্যাচগুলো হয়েছে! যে কারণে প্রথম সেমিফাইনালটাও একটু বেলায় পরের দিকে দেখলাম। তবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালটা আগাগোড়া দেখব। নিজের দেশের ম্যাচ বলে কথা। তা ছাড়া, খেলাটাও সকাল ন’টা থেকে। অস্ট্রেলিয়ান টেনিস জগতের অনেক পুরনো তারকা প্লেয়ারের সঙ্গে আমার সখ্য আছে। টনি রোচ তো আমার অনেক কালের খুব ভাল বন্ধু। ও সে দিনই ফোনে আমাকে খোঁচাচ্ছিল, সিডনিতে তোমাদের কী রকম হারাই দ্যাখো বলে-টলে! তবে রোচ যেমন নিশ্চিত ওর দেশ ফাইনাল যাবেই, আমি তেমনই ভারতকে নিয়ে। ধোনির দলটা যেন এ বার আগের বারের চেয়েও ভাল খেলছে। দু’হাজার এগারোর সেই চ্যাম্পিয়ন টিমের চেয়েও এরা যেন বেশি গোছানো, বেশি ফোকাসড্, বেশি ক্যালকুলেটিভ। সে জন্য অস্ট্রেলিয়ারও আমাদের হারানোটা আদৌ সহজ হবে না।

আর হারার কথা আসছেই বা কেন? অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ধোনির টিমটা কোন দিক দিয়ে পিছিয়ে? জনসন-স্টার্কের বলের গতি বেশি হতে পারে, ম্যাক্সওয়েল বেশি জোরে হয়তো মারতে পারে, কিন্তু শামি-মোহিতরাও ধারাবাহিকতায় এগিয়ে। সাতটা ম্যাচে বিপক্ষের সত্তরটা উইকেটই তুলেছে ভারত। কোহলি, ধবন, রোহিত, রাহানে, রায়নারা নিজের দিনে ব্যাট হাতে অপ্রতিরোধ্য। আর ধোনির মতো ফিনিশার অস্ট্রেলিয়া দলে কোথায়? গোটা ক্রিকেটবিশ্বেই কোথায়? ফলে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনাল আমার মতে ফিফটি-ফিফটি। যে কেউ জিততে পারে, হারতেও পারে। আমি বরং বলব সিডনির উইকেটের কথা বেশি না ভেবে ভারতীয় দল এত দিন বিশ্বকাপে যে ভাবে খেলে আসছে, যদি সেই ভাবেই সেমিফাইনালটাও খেলে তা হলে ভালই হবে।

২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করতে গেলে কিন্তু স্বাভাবিকত্বটা হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে। ঠিক যেমন সে বার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই ঘটেছিল। তবে ধোনি দারুণ ঠান্ডা মাথার ছেলে। শত চাপ, প্ররোচনাতেও উত্তেজিত হয়ে ওঠে না। যে চারিত্রিক গুণটা ওর দলের মধ্যেও বৃহস্পতিবারের সত্যিকারের বিগ ম্যাচে সঞ্চারিত হবে বলে আমার বিশ্বাস। তা হলে রবিবার মেলবোর্নে ফাইনালে আমাদেরই মোকাবিলা করতে হবে নিউজিল্যান্ডকে। আর সে ক্ষেত্রে ভারতেরই কাপ নিজেদের দখলে রেখে দেওয়ার সুযোগ বেশি বলে আমার ধারণা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে গ্রুপে ভারত যতই সহজে হারাক না কেন, ওরা নিউজিল্যান্ডের চেয়ে অনেক ভারী টিম। বড় ম্যাচে আরওই ভয়ঙ্কর। নিউজিল্যান্ড টানা আটটা ম্যাচ নিজের দেশের উইকেটে জিতে এসে আচমকা ফাইনালে বিদেশের মাঠে যদি শেষমেশ ভারতীয় স্লো বোলিংয়ের সামনে পড়ে, তা হলে রাতারাতি কতটা মানিয়ে নিতে পারবে আমার সন্দেহ আছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE