মহারাষ্ট্রের নাসিকের সংস্থা দাতার ক্যানসার জেনেটিক্স-এর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই রক্তপরীক্ষা কতটা কার্যকরী তা বুঝতে ক্যানসার ধরা পড়েনি এবং ক্যানসার রোগী, এমন ২০ হাজার মহিলার উপর চালানো হয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। তাতে দেখা গিয়েছে, এই রক্তপরীক্ষায় ‘স্টেজ জিরো (অথবা, ডিসিআইএস)’ ও ‘স্টেজ ওয়ান’ স্তরের স্তন ক্যানসার অনেক আগেই ৯৯ শতাংশ নিখুঁত ভাবে ধরা পড়ছে।
নতুন পদ্ধতিতে রক্তের মধ্যে দিয়ে মানবদেহের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার পথে টিউমার কোষগুলিকে শনাক্ত করা যাবে। স্তন ক্যানসারে রোগীকে আক্রান্ত করার জন্য সেই টিউমার কোষগুলি দেহের যেখানে গিয়ে শক্তপোক্ত জোট বাঁধছে, সেই জায়গাটিকে অনেক আগেই বোঝা সম্ভব হবে। সংস্থার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই রক্তপরীক্ষা পদ্ধতিতে ‘স্টেজ জিরো (অথবা, ডিসিআইএস)’ ও ‘স্টেজ ওয়ান’ স্তরের স্তন ক্যানসারের ‘ফল্স পজিটিভ’ রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা নেই বললেই হয়।
এই পরীক্ষার জন্য কারও শরীর থেকে বেশি পরিমাণে রক্ত নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। নিতে হবে মাত্র ৫ মিলিলিটার রক্ত। রোগীকে কোনও বিকিরণের ধকলও সইতে হবে না। ম্যামোগ্রাফি করানোর সময় রোগীকে যে সব ধকল সইতে হয়, সেই সবও থাকবে না এই পরীক্ষায়। পরীক্ষাটি বাড়িতে বসেও করানো যাবে।
দাতার ক্যানসার জেনেটিক্স-এর চেয়ারম্যান রাজন দাতার বলেছেন, ‘‘এই প্রথম স্তন ক্যানসারের জন্য নির্দিষ্ট এই রক্তপরীক্ষা কোনও রোগী তাঁর বাড়িতে বসেই করাতে পারবেন।’’
ভারতীয় সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, স্তন ক্যানসার ধরার জন্য এই রক্তপরীক্ষা ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে ইউরোপের বহু দেশে। ভারতেও তা চালু হয়ে যাবে শীঘ্রই। তার ব্র্যান্ডনেম হবে- ‘ইজিচেক’।
কত খরচ পড়বে এই রক্তপরীক্ষার জন্য, তা না জানানো হলেও দাতার ক্যানসার জেনেটিক্স-এর চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারত মিশনের অঙ্গ হিসাবেই ভারতে চালু হতে চলেছে এই পরীক্ষা।’’