বক্সার জঙ্গলে উদ্ধার হওয়া মৃত হাতির একটি দাঁত উদ্ধার করল বন দফতর। গত শনিবার সন্ধ্যায় কালচিনির নিমতি রোড এলাকায় অসমের বাসিন্দা পাঁচ জনকে আটক করেছিল বন দফতর। তাদের সঙ্গে থাকা একটি বাজারের ব্যাগ থেকে হাতির দাঁত মিলেছে বলে বন দফতর জানিয়েছে। অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে দিয়েছে বন দফতর। এর আগে গত ২১ মার্চ কালচিনিতেই সন্দেহজনকভাবে গোরাফেরা করতে দেখে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছিল। উদ্ধার হয় ৫ লক্ষ টাকা। গত ২৭ মার্চ ধৃতরা জামিনে মুক্তি পায়, তারপর থেকে তাদের গতিবিধি নজরে রাখা হচ্ছিল বলে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি অপূর্ব সেন বলেন, “ঘটনায় নিমতি এলাকা থেকে অসমের পাঁচ বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে হাতির একটি দাঁত উদ্ধার হয়েছে। দাঁতটি প্রায় দু ফুট লম্বা ও দু’কেজি ওজনের। বাকি আর একটি দাঁত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”
গত ২২ মার্চ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম গরম বিটের পোরো ৮ নম্বর কম্পার্টমেন্টে পচন শুরু হওয়া একটি হাতির দেহ দেখতে পান বনকর্মীরা। মৃত হাতির দাঁতদুটির সে সময়ে কোনও খোঁজ মেলেনি। ময়নাতদন্তে জানা যায়, গুলি করে হাতিটিকে মেরে, দাঁচ কেটে নেওয়া হয়েছিল। ঘটনার পেছনে আন্তঃরাজ্য চোরাশিকারী এবং স্থানীয় পাচারকারীদের যোগাযোগ আছে বলে প্রাথমিক তদন্তে বন দফতর জানতে পারে। হাতির দেহ উদ্ধারের আগের দিনই কালচিনিতে ৫ লক্ষ টাকা সহ গ্রেফতার অসমের পাঁচ বাসিন্দার উপর সন্দেহ শুরু হয় বন দফতরের। তখন থেকে শুরু হয় তাদের গতিবিধির উপর নজরদারির কাজ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আফু জুবিন, জোয়ান রাভা, ভবেশ রায়, গোসাজি জুুবিন, বিনামিন রাভাকে হাতির দাঁত সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা অসম ও কার্বি আংলংয়ের বাসিন্দা। রবিবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে বন দফতর অনুমান করছে, প্রথমে ওই হাতিটিকে গুলি করে মারা হয়। তার পরে দাঁত দু’টি কেটে নিয়ে তা লুকিয়ে রাখা হয়। এই দুটি ঘটনাতেই ধৃতেরা জড়িত বলে দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি, আন্তঃরাজ্য বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের একটি চক্র ডুয়ার্সে সক্রিয় হয়েছে বলে আগেই জানা গিয়েছিল। মূলত তারাই এই এলাকার দুষ্কৃতীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলে বন দফতরের কাছে খবর আসে। ধৃত পাঁচ জনের থেকে আরও বেশ কিছু তথ্য মিলবে বলে মনে করছে বন দফতর। নিহত হাতিটির অন্য দাঁতটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন বনকর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy