বধূ থেকে রাজমিস্ত্রি। তার পরে ভোট-রণাঙ্গনে। ভোট-যুদ্ধে জেতার পরে এখন তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি। স্বপ্নের ‘ট্র্যাকে’ দৌড়চ্ছেন পুরুলিয়ার বরাবাজারের তুমড়াশোল পঞ্চায়েতের গুরুবারি মাণ্ডি। ক্রমশ বাড়ছে তাঁর কাজের পরিসর।
গত সপ্তাহে বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপি সদস্য তুইমাবাড়াডি গ্রামের গুরুবারিদেবী। তুমড়াশোল পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে শৌচালয় নির্মাণ করেন দুই সন্তানের জননী গুরুবারি এবং গ্রামের মহিলাদের একটি দল। গত কয়েক বছরে দলের সদস্য বেড়েছে। রোজই গাঁইতি, শাবল, কর্নিক হাতে তাঁদের দেখা যায় কোনও না কোনও গ্রামে। ‘মিশন নির্মল বাংলা’ প্রকল্পে নির্মাণ করছেন একের পরে এক শৌচালয়। পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পরে দায়িত্ব বেড়েছে গুরুবারিদেবীর। ঘরের কাজ এবং পেশা সামলে সরকারি কাজ করবেন কী করে?
বছর বত্রিশের গুরুবারির প্রত্যয়ী জবাব, ‘‘যে রাঁধে সে চুল-ও বাঁধে। সকালে ঘরের কাজ সেরে বেরিয়ে পড়ব রাজমিস্ত্রির কাজে। তার পরে পঞ্চায়েত সমিতির কাজ করব। অসুবিধা হবে না।’’ রাজনীতিতে এসেছেন সমাজসেবার টানে। তাঁর কথায়, ‘‘রাজনীতিতে আসার আগে থেকেই রাজমিস্ত্রির কাজ করতাম। বিজেপি দলটাকে ভাল লাগে। তাই বিজেপি নির্বাচনে লড়তে বললে রাজি হয়ে যাই। মানুষের কাজ করব, এই ভাবনা থেকেই রাজনীতিতে এসেছি।’’ খুশি তাঁর স্বামী রূপসিং মান্ডিও। তাঁর কথায়, ‘‘ও সমাজসেবা করতে চায়। সেই কারণেই রাজনীতিতে এসেছে। ওকে সহসভাপতি করায় আমি খুশি। কাজের আরও আগ্রহ পাবে।’’