Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

কোচ অরুণই এখন প্রেরণা, বলে গেলেন গুরু লক্ষ্মণ

বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে বাংলার শিবির শেষে লক্ষ্মণ বলেন, ‘‘ক্যানসার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কতটা লড়াই করতে হয় তা হয়তো অনেকেরই জানা। বেশির ভাগ মানুষই হাল ছেড়ে দেন। কিন্তু অরুণ হারেনি। লড়াই করে আজ সে মাঠে দাঁড়িয়ে। প্রত্যেকের প্রেরণা সে। তাঁর মতো ব্যক্তিত্ব ড্রেসিংরুমে থাকলে এমনিতেই ছেলেরা অনুপ্রাণিত হবে।’’ 

জুটি: অরুণ লালের সঙ্গে আলোচনা লক্ষ্মণের। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

জুটি: অরুণ লালের সঙ্গে আলোচনা লক্ষ্মণের। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:১২
Share: Save:

ভিশন ২০২০-র ব্যাটিং উপদেষ্টা হিসেবে শেষ চার বছর কাজ করছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। কিন্তু অরুণ লালের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ আগে কখনও হয়নি প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটসম্যানের। গত তিন দিন বাংলার নতুন কোচের সঙ্গে কাজ করে মুগ্ধ ভারতীয় ক্রিকেটের ‘ভেরি ভেরি স্পেশ্যাল’। জানিয়ে গেলেন, ক্যানসার থেকে ফিরে আসার পরেও যে ভাবে জাতীয় স্তরের একটা দলের দায়িত্ব নিয়েছেন অরুণ। বাংলার ক্রিকেটারদের কাছে এর চেয়ে বড় প্রেরণা আর কীই বা হতে পারে!

বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে বাংলার শিবির শেষে লক্ষ্মণ বলেন, ‘‘ক্যানসার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কতটা লড়াই করতে হয় তা হয়তো অনেকেরই জানা। বেশির ভাগ মানুষই হাল ছেড়ে দেন। কিন্তু অরুণ হারেনি। লড়াই করে আজ সে মাঠে দাঁড়িয়ে। প্রত্যেকের প্রেরণা সে। তাঁর মতো ব্যক্তিত্ব ড্রেসিংরুমে থাকলে এমনিতেই ছেলেরা অনুপ্রাণিত হবে।’’

বুধবারই ছিল সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রাথমিক শিবিরের শেষ দিন। সেখানে বাংলার ক্রিকেটারদের নিয়ে চলল ছয় মারার অনুশীলন। ব্যাটিং উপদেষ্টা ভিভিএস লক্ষ্মণের নির্দেশে একের পর এক ব্যাটসম্যানকে ডাকা হল মাঝের পিচে। প্রত্যেককে বলে দেওয়া হল, ‘‘হাত খুলে খেলো। মাঠের বাইরে বল পাঠানোর চেষ্টা কর।’’

বাংলার এই মহড়ায় সব চেয়ে বেশি নজর কাড়লেন বিবেক সিংহ ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক। বড় শট নেওয়ার দক্ষতার জন্যই ময়দান চেনে বিবেককে। লক্ষ্মণের প্রশিক্ষণে তাঁর প্রিয় কাজটি করতে পেরে আপ্লুত বাংলার বাঁ হাতি ওপেনার। বলছিলেন, ‘‘আমি বরাবরই বড় শট নিতে ভালবাসি। যত বার আমাকে এই অনুশীলন করতে বলা হবে, তত বার এগিয়ে যাব।’’ প্রদীপ্তও প্রমাণ করে দেন যে, কেন অরুণ লাল তাঁকে ‘পিঞ্চহিটার’ হিসেবে দেখছেন। তাঁর কোনও শট মাঠে থাকেনি। ‘মিসটাইমড’ শটও পড়ে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে।

লক্ষ্মণও তৃপ্ত বাংলার ক্রিকেটারদের বড় শট নেওয়ার দক্ষতায়। বেশি খুশি হয়েছেন তরুণ ক্রিকেটারদের প্রয়াসে। লক্ষ্মণ বললেন, ‘‘ছেলেদের বড় শট নেওয়ার ক্ষমতা যাচাই করার জন্য এ ধরনের অনুশীলন করা হয়। ওদের ব্যাটিং দেখে আমি সত্যি খুব খুশি।’’

সোমবার থেকে ব্যাটিং উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন লক্ষ্মণ। তবে প্রথম থেকেই জোর দেওয়া হয় ম্যাচ প্র্যাক্টিসের উপর। প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটসম্যান মনে করেন, টি-টোয়েন্টির আগে এই প্রস্তুতি খুবই জরুরি। তাঁর কথায়, ‘‘কোন বল মারব, কোন বল সমীহ করব, সেটা খুব ভাল রপ্ত করা যায় ‘সিমিউলেশন ট্রেনিং’-এ। টি-টোয়েন্টিতে এটাই সব চেয়ে জরুরি। ছেলেরা খুব ভাল করে এটা রপ্ত করতে পেরেছে। নতুন বিষয়ে শেখার ইচ্ছেয় কোনও খামতি নেই। প্রত্যেকে খুবই পরিশ্রমী। আশা করব, জাতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওরা খুব ভাল

ফল করবে।’’

সামনেই ক্রিকেট বিশ্বকাপ। তার আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট ও ওয়ান ডে সিরিজ জিতেছে ভারত। নিউজ়িল্যান্ডেও ওয়ান ডে সিরিজে জয়ী বিরাট-বাহিনী। লক্ষ্মণ আশাবাদী, বিশ্বকাপেও এই ছন্দ ধরে রাখতে পারবে ভারত। লক্ষ্মণের কথায়, ‘‘অস্ট্রেলিয়া ও নিউজ়িল্যান্ড সফরে ভারত যে ভাবে খেলেছে, তা সত্যি প্রশংসনীয়। ওদের অভিনন্দন। ঠিক সময়ে ছন্দে ফিরেছে দলটি। কিন্তু বিশ্বকাপ বড় এবং দীর্ঘ প্রতিযোগিতা। সেখানে ছন্দ ধরে রাখতে হবে। আমার চোখে ভারত ও ইংল্যান্ড এই খেতাবের অন্যতম দাবিদার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE