জয়ের আশা জাগিয়েও ব্যর্থ মনোজরা। ফাইল ছবি।
সরাসরি জয়ের সম্ভাবনা হঠাত্ করেই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু, শেষমেশ মনোজ তিওয়ারি অ্যান্ড কোংকে বিশাখাপত্তনম থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়েই ফিরে আসতে হচ্ছে। প্রথম ইনিংসে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে সামান্য পিছিয়ে থাকাই কাল হল। অন্ধ্রের ঝুলিতে উঠল তিন পয়েন্ট। রনজি ট্রফির নক-আউট পর্বে যাওয়ার লড়াইয়ে বাংলার পক্ষে নিঃসন্দেহে এটা একটা বড় ধাক্কা।
সোমবার তৃতীয় দিনের শেষে অন্ধ্রের রান ছিল ৯ উইকেটে ৩২১। মঙ্গলবার সকালে খেলার শুরুতেই মুকেশ কুমার গত দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান শশীকান্তকে ফিরিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের ইনিংসে যবনিকা ফেলে দেন। ২১ রানে লিড পায় হোম টিম। দ্বিতীয় ইনিংসে বঙ্গ ব্যাটসম্যানরা হাত খুলেই ব্যাট করেন।
অধিনায়ক মনোজ মাত্র ১৮ বলে ১৮ রান করে ফিরলেও অভিমন্যু ঈশ্বরণ (৫৭), সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৪৭) রান পেলেন। ৪০ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত রইলেন ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়। অগ্নিভ পান চালিয়ে খেলে ১৮ বলে ২৫ রান করলেন। ৭ উইকেটে ২২৩ রান করে দ্বিতীয় ইনিংসের দান ছেড়ে দেয় বাংলা। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় বিপক্ষের দিকে।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু নিয়ে পাকিস্তানের লেকচার দেওয়া সাজে না, ইমরানকে তোপ কাইফের
আরও পড়ুন: জাডেজার চোট ছিল না! শাস্ত্রীর দাবি উড়িয়ে দিলেন প্রধান নির্বাচক প্রসাদ
২০৩ রানের জয়ের লক্ষ্যের সামনে অন্ধ্রের ব্যাটসম্যানরা ইতিবাচক ভূমিকাই নেন। ওপেনার গুনেশ্বরকে (০) ইশান পোড়েল তাড়াতাড়ি ফেরালেও অন্য ওপেনার প্রশান্ত কুমার ৮১ বলে ৯০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে গেলেন। তিনে নামা জ্যোতিকৃষ্ণ ৪৫ রান করলেন। শেষদিকে অবশ্য রিকি ভুই (১৬) সহ অন্ধ্রের লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা তাড়াতাড়ি ফেরায় বাংলার জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছিল।
৭ উইকেট পড়ে যাওয়ায় অশোক দিন্দা ও মুকেশ কুমারকে এই সময়টায় উদ্দীপ্ত দেখাচ্ছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আর উইকেট পড়েনি। ২৮ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭০ রান তোলে অন্ধ্রপ্রদেশ। দিন্দা তিন উইকেট নেন। মুকেশ কুমার ও ইশান পোড়েলের সংগ্রহে জোড়া শিকার। ম্যাচের সেরা অন্ধ্রের শশীকান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy