অবশেষে নরসিংহ যাদবের ‘বিতর্কিত’ ডোপিং কেলেঙ্কারি নিয়ে সিবিআই তদন্তে নামল। যার প্রথম ধাপ হিসেবে মঙ্গলবার কেস নথিবদ্ধ করল তারা।
অলিম্পিক্সের ঠিক আগে বিতর্কিত ডোপিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে রিও গেমসের মধ্যেই নির্বাসিত হয়েছিলেন ভারতের এই তারকা কুস্তিগীর। ৭৪ কেজিতে এ বার অলিম্পিক্স পদকের সম্ভাবনা ছিল নরসিংহের। কিন্তু উল্টে খেলাধুলোর সর্বোচ্চ আদালত ‘কোর্ট অব আরব্রিটেশন’ (ক্যাস) তাঁকে রিওর ইভেন্টের কিছু ঘণ্টা আগেই চার বছরের জন্য নির্বাসিত করে। কিন্তু নরসিংহের ডোপিং কেস নিয়ে বিতর্ক তাতেও থামেনি। একই ক্যাটেগরিতে নরসিংহ যাঁকে টপকে রিওতে যাওয়ার যোগ্যতা পেয়েছিলেন সেই দু’টো অলিম্পিক্স পদকজয়ী ভারতীয় কুস্তিগীর সুশীল কুমারের নামও জড়ায় বিতর্কিত ঘটনার পিছনে! নরসিংহের মুত্র নমুনায় পাওয়া নিষিদ্ধ বস্তু সম্পর্কেও সন্দেহ তৈরি হয়।
এ দিন সিবিবিআইয়ের এক সূত্র জানিয়েছেন, হরিয়ানা পুলিশের কাছে নরসিংহ যাদব ২৭ জুলাই যে এফআইআর দায়ের করেছিলেন, সেটারই তদন্তের ভার এ বার তারা নিয়েছে। নরসিংহের করা সেই এফআইআরে কুস্তিগীর জিতেশ সহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে নরসিংহ আঙ্গুল তুলেছিলেন জিতেশদের দিকে। যাঁরা নাকি তাঁর খাওয়ারে ও জলে নিষিদ্ধ ড্রাগ মিশিয়েছিলেন বলেই অভিযোগ ছিল নরসিংহের। স্বভাবতই জিতেশদের বিরুদ্ধে ১২০-বি (ষড়যন্ত্র), ৩২৮ (বিষ মেশানো) এবং ৫০৬ ধারায় (অপরাধমূলক ভীতিপ্রদর্শন) কেস নথিভুক্তও হয়। নিয়ম মতো সিবিআই-কে এ দিন একই এফআরআই-কে ফের নথিবদ্ধ করতে হয়েছে। সিবিআই মুখপাত্র দেবপ্রীত সিংহ বলেছেন, ‘‘নরসিংহ যাদবের তরফে অভিযোগ উঠেছে, প্রস্তুতি শিবিরে তাঁর খাবার ও জলে কোনও নিষিদ্ধ বস্তু মেশানো হয়েছিল। যাতে তিনি ডোপিংয়ে ধরা পড়ে রিও অলিম্পিক্সে যেতে না পারেন। হরিয়ানা পুলিশের কাছে নরসিংহ সেই অভিযোগই জানিয়ে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। এখন সেই এফআইআরের ভিত্তিতে গোটা ঘটনা তদন্ত করবে সিবিআই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy