Advertisement
০৭ মে ২০২৪

বারপুজো হল, দুই ক্লাবকে নিয়ে কাটল না সংশয়

পয়লা বৈশাখ বারপুজোর প্রচলন বহুদিনের। আগামীদিনের ফুটবল দলের সাফল্য কামনায় সেখানে হাজির থাকত  পুরো দল। ঘোষণা হত অধিনায়কের নাম। তিনিই করতেন বারপুজো। তার কিছুই এ দিন দেখা যায়নি।

নববর্ষ: পয়লা বৈশাখে বারপুজো ইস্টবেঙ্গলে। নিজস্ব চিত্র

নববর্ষ: পয়লা বৈশাখে বারপুজো ইস্টবেঙ্গলে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৪৪
Share: Save:

রীতি মেনে পয়লা বৈশাখের বারপুজো আছে। আছে পুরোহিত ডেকে মন্ত্রোচ্চারণের নিয়মও। উৎসবের পরিবেশ আগের মতো না হলেও এখনও আছে। সদস্য-সমর্থকরাও এসেছিলেন। ছিল মিষ্টিমুখের আয়োজন। কিন্তু যা ঘিরে বাঙালির নতুন বছরের শুরুর দিনের উন্মাদনা, সেই ফুটবল নিয়েই তো ধোঁয়াশা থেকে গেল। ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান দুই ক্লাবের কর্তারাই ধোঁয়াশা রাখলেন পরের মরসুমে দল আই এস এল না, আই লিগ কোথায় খেলবে তা নিয়ে। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান কর্তারা এ দিন বারপুজোর পর বলে দিয়েছেন, ‘‘ভারতের সেরা লিগেই আমরা খেলতে চাই। ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’’ এই পরিবেশ যে কখনও দেখেনি বাংলার ফুটবল।

পয়লা বৈশাখ বারপুজোর প্রচলন বহুদিনের। আগামীদিনের ফুটবল দলের সাফল্য কামনায় সেখানে হাজির থাকত পুরো দল। ঘোষণা হত অধিনায়কের নাম। তিনিই করতেন বারপুজো। তার কিছুই এ দিন দেখা যায়নি। ইস্টবেঙ্গল মাঠে বারপুজোর সময় হাজির ছিলেন কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস-সহ পুরো দল। যাঁদের অনেকেই পরের মরসুমে কোচের তালিকায় নামই নেই। বার পুজো করেন নতুন চুক্তি করা ব্রান্ডন ভানলালরেমডিকা। হাজির ছিলেন বহু প্রাক্তন ফুটবলার। মোহনবাগান মাঠে আবার ফুটবলাররা নন, কর্তারাই করেন বার পুজো। ফুটবলারদের মধ্যে দেখা গিয়েছে শিল্টন পাল, কিংগসলে ওবুমেনেমে এবং দিপান্দা ডিকাকে। শহরে থেকেও আসেননি সনি নর্দে-সহ বহু ফুটবলার। কর্তারা পুজোর পর ঘোষণা করেন, কোচ নির্বাচন করার পরই ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি হবে। দুই প্রধানের মতো বারপুজো হয় ভবানীপুর, খিদিরপুর, পাঠচক্রের মতো ক্লাবেও। তবে এই অন্ধকারের মধ্যেও আশা জাগিয়ে রাখল উয়াড়ি ক্লাবের কর্তাদের ইচ্ছাশক্তি। আগুনে পুরো তাঁবু ভস্মীভূত হওয়া সত্ত্বেও সেখানে অনুষ্ঠিত হল বারপুজো। সত্তরের দশক বা তার পরে উয়াড়ির ফুটবলে রমরমা ছিল। এখন তা অস্তমিত। এ দিকে আলেসান্দ্রো মাঠ থেকে চলে যাওয়ার পর তাঁকে উৎসবের আবহেও তীব্র কটাক্ষ করলেন ইস্টবেঙ্গলের সচিব। বলে দিলেন, ‘‘সারা বছর উনি এত হইচই করলেন। কিন্তু করলেনটা কী? উনি যা সাফল্য পেয়েছেন তা আগেও ইস্টবেঙ্গল পেয়েছে।’’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘ইস্টবেঙ্গল মাঠের পরিবেশ জেনেই উনি কোচিং করতে এসেছেন। এখন যদি বলেন এই মাঠ খারাপ, তা হলে মানব কেন? ওনার যদি না পোষায়, ছেড়ে দিন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Football East Bengal Mohun Bagan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE