নজরে: ‘সাইক্লিস্ট’ জবি জাস্টিন। ডার্বির আগে ফুরফুরে। নিজস্ব চিত্র
মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আই লিগের ফিরতি ডার্বির পাঁচ দিন আগে লাল-হলুদ শিবিরে যেন যুদ্ধের আবহ!
জবি জাস্টিন, এনরিকে এসকুয়েদারা কী ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেই ছবি যে তোলা যাবে না তা চব্বিশ ঘণ্টা আগেই ইস্টবেঙ্গলের তরফে ই-মেল করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও উদ্বেগ কমেনি ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়ার। রণকৌশল যাতে ফাঁস না হয়ে যায় তার জন্য অনুশীলনের মাঠই বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
লাল-হলুদ অন্দরমহলের খবর, যুবভারতীর অনুশীলন মাঠের চার দিক খোলা। তাই কোনও কিছুই গোপন থাকে না। আলেসান্দ্রোর আশঙ্কা, জনি আকোস্তাদের অনুশীলন দেখার জন্য শত্রু শিবিরের গুপ্তচর হানা দিতে পারে যুবভারতীতে। তাই মাঠ বদলের সিদ্ধান্ত। এখানেই শেষ নয়। ফুটবলারদেরও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে বারণ করে দিয়েছেন আলেসান্দ্রো। ডার্বি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বহির্জগতের সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্কই রাখতে আগ্রহী নন তিনি। তাই তিনি ইস্টবেঙ্গল অনুশীলন আপাতত সরিয়ে নিচ্ছেন সাইয়ের মাঠে।
আই লিগের প্রথম ডার্বির আগেও যুবভারতীর অনুশীলন মাঠ কালো পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আলেসান্দ্রো। যদিও পুরোপুরি সফল হয়নি তাঁর পরিকল্পনা। পর্দার আড়াল থেকে ভাল ভাবেই দেখা গিয়েছিল অনুশীলন। হয়তো এই কারণেই এ বার মাঠ বদলের সিদ্ধান্ত।
গোপন অনুশীলনে আলেসান্দ্রোর রণকৌশল কী হবে তা নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে। বুধবার তার অনুশীলন দেখে মনে হবে মোহনবাগানের দুর্বলতার সন্ধান সম্ভবত তিনি পেয়ে গিয়েছেন। ডার্বির পাঁচ দিন আগে তিনি দু’টো বিষয়ে বেশি জোর দিলেন। এক) দুই সাইড ব্যাককে বল নিয়ে উঠে বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে গোলের জন্য ওঁত পেতে থাকা স্ট্রাইকারদের উদ্দেশে ভাসিয়ে দিতে হবে। দুই) নিজেদের মধ্যে দ্রুত পাস খেলে আক্রমণে উঠতে হবে।
আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখে ছিটকে গিয়েছেন লেফ্ট ব্যাক মনোজ মহম্মদ। ডার্বিতে তাঁর পরিবর্তে কমলপ্রীত সিংহ, সালামরঞ্জন সিংহ না সামাদ আলি মল্লিক খেলবেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে যিনিই খেলুন তাঁকে শুধু রক্ষণ সামলালেই চলবে না। আক্রমণেও সাহায্য করতে হবে। বুধবার সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে সেই মহড়াই চলল। এর পরে মাঠ ছোট করে অনুশীলন ম্যাচ খেলালেন। কখনও ফরোয়ার্ডে জবি জাস্টিনের সঙ্গে রাখলেন এনরিকে এসকুয়েদাকে। কখনও আবার খাইমে সান্তোস কোলাদো। উদ্দেশ্য দীর্ঘ দিন ম্যাচের মধ্যে না থাকা এনরিকে-কে পরীক্ষা করে নেওয়া। তিনি যদি ডার্বির আগে পুরোপুরি ম্যাচ ফিট হয়ে উঠতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে কোলাদোই শুরু করবেন জবির সঙ্গে। পরিবর্ত হিসেবে নামবেন এনরিকে।
এ দিন অনুশীলন-ম্যাচ চলাকালীন বারবার ফুটবলার পরিবর্তন করছিলেন আলেসান্দ্রো। যাঁদের তিনি তুলে নিচ্ছিলেন, তাঁদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছিলেন ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদার। শারীরিক শক্তি বাড়ানোর অনুশীলন করে তাঁরা ফেরার পরে আর এক দল গেলেন ফিজিয়োর কাছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy