বার্সেলোনার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার প্রস্তুতির মধ্যেই ইস্টবেঙ্গল অন্দরমহলে অস্বস্তির আবহ। সূত্রের খবর, আগামী মরসুমে আইএসএলে খেলতে আগ্রহী নয় লাল-হলুদের বিনিয়োগকারী সংস্থা। আই লিগেই খেলতে চায় তারা।
বুধবার বেঙ্গালুরুতে ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বার্সেলোনার প্রতিনিধিরা। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত লিয়োনেল মেসিদের ক্লাব গাঁটছড়া বাঁধবে কি না, তা সময়ই বলবে। কিন্তু আগামী মরসুমেও যে আই লিগে খেলার পথেই এগোচ্ছেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা, তা অনেকটাই স্পষ্ট। যা নিয়ে শুধু লাল-হলুদ শিবিরে নয়, ক্ষোভ বাড়ছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের অন্দরমহলেও।
আইএসএলে খেলার জন্যই বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন ক্লাবকর্তারা। হঠাৎই ছবিটা বদলে গিয়েছে। সুপার কাপে না-খেলাকে কেন্দ্র করে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে ওঠে লাল-হলুদ শিবিরে। প্রাক্তন ফুটবলার, সমর্থক থেকে ক্লাবকর্তা— সকলেই সুপার কাপে খেলার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু রাজি হননি বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা। এ বার আইএসএলে খেলা নিয়েও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা।
১১ এপ্রিল ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সচিব আলোচনায় বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের দুই শীর্ষ কর্তার সঙ্গে। বৈঠকের পরেই বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রধানকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন ক্লাব-সচিব। অনুরোধ করেছিলেন, আইএসএলে খেলা নিয়ে তিনি কী ভাবছেন, তা দ্রুত জানাতে। বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রধান এখনও পর্যন্ত সেই চিঠির জবাব দেননি বলে দাবি লাল-হলুদ কর্তাদের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে মোহনবাগানেরও যে-হেতু আইএসএলে খেলার সম্ভাবনা কম, তাই ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারাও খেলতে চাইছেন না।
সুপার কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করায় ফেডারেশনের শাস্তির মুখে ইস্টবেঙ্গল। ২৮ এপ্রিল শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকেই বিদ্রোহী ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা হতে পারে। ক্ষুব্ধ ক্লাবকর্তারা বলছেন, ‘‘না-খেলার জন্য কখনও শাস্তি পেতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। শতবর্ষের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ক্লাবের পক্ষে যা অত্যন্ত অসম্মানজনক।’’ আগামী মরসুমের দল গঠন নিয়েও অন্ধকারে তাঁরা। ঐতিহ্যশালী কলকাতা লিগে কী দল খেলবে, তা নিয়েও সংশয় বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত মাত্র কয়েক জন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করেছেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা। ময়দানে গুঞ্জন, অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে খেলা ভারতীয় দলের গোলরক্ষক ধীরজ সিংহ লাল-হলুদ জার্সি গায়ে খেলতে পারেন।
তবে সব কিছু ছাপিয়ে গিয়েছে আইএসএলে খেলা নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তাদের নেতিবাচক মনোভাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy