বত্রিশ বছরের ইতালীয় টেনিস-কন্যাকে দেখলে মনে হবে, আজ বদ্ধোন্মাদ হয়ে গিয়েছেন!
কাঁদছেন। পাগলের মতো হাসছেন। প্লেয়ার্স বক্সে বসে থাকা কোচকে চিৎকার করে বলছেন, ‘‘শুনলে, কী বলছে? আমি নাকি আন্ডারডগ ছিলাম!’’ বুম হাতে প্রশ্নকর্তা তো রীতিমতো থতমত।
রবার্তা ভিঞ্চি আসলে ভাবতেই পারেননি এমন একটা দিন তাঁর টেনিস-জীবনে আসতে পারে বলে। সকালে উঠেছিলেন যখন, সেরেনা উইলিয়ামসকে ভাবার চেষ্টা করেননি। ‘‘আমি শুধু ভেবেছিলাম, চলো আজ সেমিফাইনাল। ম্যাচটা আমি উপভোগ করব। উল্টো দিকে সেরেনা আছে না অন্য কেউ ভাবব না। আর চেষ্টা করব সব ক’টা বল কোর্টে রাখতে। দেখব, একটাও যাতে বাইরে না পড়ে। আর দৌড়োব। প্রচণ্ড দৌড়ব,’’ ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে যখন টিভি সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ভিঞ্চি, ফ্লাশিং মেডোতে হাসি আর হাততালির ঝড়।
কিন্তু সেরেনা উইলিয়ামসের মতো মহাচ্যাম্পিয়নকে হারানোর রসায়নটা কী? ‘‘আমি বলতে পারব না। অন্য প্রশ্ন করুন না,’’ বলে ফের হাসতে শুরু করে দিলেন ভিঞ্চি। ‘‘লড়াইটা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। একটা সময় আমি, সেরেনা দু’জনেই খুব চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। আমি চেষ্টা করেছি, যতটা সম্ভব নিজের নার্ভ ঠিক রাখতে। আর সেরেনাকে নিয়ে না ভাবতে। কোনও স্পেশ্যাল কিছু করার চেষ্টা করিনি আমি। যে ভাবে খেলি, সে ভাবেই ব্যাপারটাকে রাখার চেষ্টা করে গিয়েছি।’’ কিন্তু তাতেই তো ‘অল ইতালিয়ান’ ফাইনাল! ‘‘হ্যাঁ...ইতালি বনাম ইতালি দুর্দান্ত না? কিন্তু আজকের দিনটা আমি ও সব নিয়ে ভাবব না। একটা বড় ম্যাচ জিতে উঠেছি। এখন আনন্দ করব। আর যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থক, সেরেনা সবাইকে বলব আমাকে ক্ষমা করে দিও। অ্যায়াম সরি। কী করব বলো, আজ যে আমার দিন ছিল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy