রাস্তায় ফুটবলেপ্রমীদের নাচগান। ছবি: রয়টার্স।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে রাশিয়ায় বাড়-বাড়ন্ত এখন ডেটিং অ্যাপের। বিদেশিরা এদেশে এসে মেলামেশা করতে চাইছেন স্থানীয়দের সঙ্গে। যার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই অ্যাপগুলো। টিন্ডার নামের অ্যাপ যেমন মারাত্মক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
পরিসংখ্যান বলছে, ‘টেলি২’ নামের এক মোবাইল অপারেটর সংস্থার ব্যবহারকারী আগের চেয়ে তিনগুণ বেড়েছে। আর এক মোবাইল অপারেটর সংস্থা ‘এমটিএস’-এর ক্ষেত্রে এটাই হয়েছে চার গুণ।
আর্জেন্টিনা, ইজরায়েল ও মেক্সিকো থেকে লোক এখনও আসছে রাশিয়ায়। বিদেশি পুরুষরা টিন্ডার অ্যাপকে বেশি ব্যবহার করছেন। তাঁরা প্রতিদিনই এই অ্যাপ ঘাঁটছেন। রাশিয়ার এক মহিলা, যিনি টিন্ডারে সক্রিয়, তিনি সোজাসুজি বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে টিন্ডারের ৭০ শতাংশ পুরুষই হল বিদেশি। ওরা লাইক করছে বিভিন্ন ফোটো। শুরু করছে কথা বলা।’ মজার হল, সেই মহিলা নিজেও স্বীকার করেছেন যে কোনও না কোনও বিদেশির সঙ্গে তিনি দেখা করতেই পারেন।
ফুটবল-উন্মাদনা রাস্তাজুড়ে। ছবি: রয়টার্স।
টিন্ডার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আবার যোগ রয়েছে ফেসবুকের। এই অ্যাপ বিভিন্ন বয়স, বিভিন্ন লিঙ্গ ও দূরত্ব থেকে ছাঁকনির মতো বাছাই করে দিতে পারে পছন্দের মানুষকে। যাতে সুবিধা হচ্ছে ভিনদেশিদের।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনা শিবিরে বিদ্রোহ চরমে, একঘরে কোচ সাম্পাওলি
আরও পড়ুন: বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার চেন্নাইয়ের প্রজ্ঞানানন্দ
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বিদেশিদের সঙ্গে বিছানায় যাওয়ার ব্যাপারে রুশ তরুণীদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন আইনসভার প্রবীণ সদস্যা। তিনি বলেছিলেন, ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকের সময় বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে যে সন্তানদের সন্ম হয়েছিল, তারা নানা অসুবিধার মধ্যে পড়েছিল। সেজন্যই বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে সাবধান করে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও সরকারের তরফে তেমন কোনও নির্দেশ ছিল না। বাস্তবে বিশ্বকাপ চলাকালীন দেখা যাচ্ছে, বিদেশিদের সঙ্গে সহজেই মিশছেন রুশ সুন্দরীরা। তারই প্রতিফলন ডেটিং অ্যাপের রমরমায়।
নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে রাশিয়া এখন যেন বসন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy