Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

লেটার নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ হিমার

পরীক্ষা ও তার প্রস্তুতির জন্য লম্বা ছুটি নিয়েছিলেন ‘ধিঙ এক্সপ্রেস’। ক্ষুব্ধ  বিদেশিনী প্রশিক্ষক জানিয়েছিলেন, এর ফলে হিমাকে শূন্য থেকে ফের শুরু করতে হবে। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গে আপস করতে চাননি ধিঙ কলেজের ছাত্রী হিমা।

সফল: প্রথম বিভাগে ৭০ শতাংশ পেয়ে পাশ করলেন হিমা। ফাইল চিত্র

সফল: প্রথম বিভাগে ৭০ শতাংশ পেয়ে পাশ করলেন হিমা। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৯ ০৪:৫৭
Share: Save:

উচ্চমাধ্যমিকে অসমীয়া ভাষায় লেটার-সহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হল দেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট হিমা দাস। পাশ করার উৎসবটা অবশ্য তিনি পালন করবেন পোলান্ডে। আপাতত সেখানেই তাঁর প্রশিক্ষণ চলছে।

পরীক্ষা ও তার প্রস্তুতির জন্য লম্বা ছুটি নিয়েছিলেন ‘ধিঙ এক্সপ্রেস’। ক্ষুব্ধ বিদেশিনী প্রশিক্ষক জানিয়েছিলেন, এর ফলে হিমাকে শূন্য থেকে ফের শুরু করতে হবে। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গে আপস করতে চাননি ধিঙ কলেজের ছাত্রী হিমা। তবে তিনি ফাঁকি দিতে চাননি অনুশীলনেও। তাই ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে পরীক্ষার সময়ে নগাঁওতে না থেকে গুয়াহাটিতে সাই হোস্টেলে থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন হিমা। পড়াশোনার ফাঁকেই চালিয়েছে অনুশীলন। প্রতিবার পরীক্ষার আগে গাড়িতে পাড়ি দিয়েছে ১২০ কিলোমিটার রাস্তা। পরীক্ষাকেন্দ্রে হিমার জন্য পৃথক ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরের দিনেই হিমা পাতিয়ালা রওনা হন। সেখান থেকে উড়ে যান আবু ধাবি ও জাপানে।

এই মুহূর্তে পিঠের চোটের চিকিৎসা ও প্রশিক্ষণের জন্য পোলান্ডে আছেন হিমা। তিনি জানান, প্রশিক্ষণের ফাঁকেই ওয়েবসাইটে ফল দেখে নিয়েছে। ইংরেজিতে ৬৩, অসমীয়ায় ৮৪, অ্যাডভান্সড অসমীয়ায় ৬০, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৭৫ ও চতুর্থ বিষয় ভূগোলে ৪৬ পেয়েছেন। মোট প্রাপ্ত নম্বর ৩৪৯ বা ৭০ শতাংশ।

হিমা জানিয়েছেন খেলার যত চাপই থাক, পড়া থামাচ্ছেন না। ধিঙ কলেজেই অসমীয়ায় অনার্স নিয়ে পড়বেন তিনি। কান্ধুলিমারি গ্রামে শনিবার দ্বিগুণ আনন্দ, কারণ হিমার ভাইও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Higher Secondary exam Hima Das
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE