সতর্ক: বুমরাকে সামলাতে তৈরি হচ্ছে দল, দাবি রিকির। ফাইল চিত্র
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বাউন্সার-বৃষ্টিতে ধস নেমেছিল অস্ট্রেলীয় ব্যাটিংয়ের টপ অর্ডারে। অস্ট্রেলীয় সহকারী কোচ রিকি পন্টিংয়ের আশঙ্কা ভারতও সেই রণনীতি নিয়েই রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেস-ত্রয়ী ওশেন থমাস, শেল্ডন কটরেল ও আন্দ্রে রাসেল মিলে প্রথম পাওয়ারপ্লের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার চার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন। ৩৮-৪ স্কোর থেকেও দলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেন স্টিভ স্মিথ। ২৮৮ রানে দলকে পৌঁছে দেয় স্মিথ, অ্যালেক্স ক্যারি ও নেথান কুল্টার-নাইলের ব্যাট। যদিও সে ম্যাচে ১৫ রানে জেতে অস্ট্রেলিয়া।
তাঁর দলের এই অবস্থা দেখে পন্টিং মনে করেন, কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চহালের মধ্যে একজনকে বসিয়ে মহম্মদ শামিকে খেলাতে পারেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। সেই সঙ্গে যশপ্রীত বুমরাকে নিয়েই বেশি উদ্বেগ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের। শুক্রবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পন্টিং বলেছেন, ‘‘সবাই জানে নতুন বলে বুমরা কতটা ভয়ঙ্কর। আমি নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও ও শরীর লক্ষ্য করে বল করার চেষ্টা করবে। সেই সঙ্গে বিষাক্ত ইয়র্কারও ধেয়ে আসবে। সব কিছু মিশিয়ে বল করবে ও।’’
বুমরাকে ভয় পেলেও ভুবনেশ্বর কুমারকে নিয়ে সে রকম উদ্বেগ নেই তাঁর। ‘‘ভুবনেশ্বর বাউন্সার দিয়ে সে রকম সমস্যায় ফেলতে পারবে না। হার্দিক কিছুটা সমস্যা তৈরি করতে পারে। কিন্তু ভয়ঙ্কর নয়। তাই আমার মনে হয় একজন রিস্টস্পিনারকে বসিয়ে কেদার যাদবকে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে ব্যবহার করবে ভারত। পরিবর্তে দলে আসতে পারে অতিরিক্ত পেসার। আগামী দু’দিন আমরাও নিজেদের সে ভাবেই তৈরি করব।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাউন্সার-বৃষ্টির বিরুদ্ধে সব চেয়ে অস্বচ্ছন্দ দেখিয়েছে উসমান খোয়াজা এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। রাসেলের বাউন্সারে ভয় পেয়ে পা বাড়াতে ভয় পাচ্ছিলেন খোয়াজা। ম্যাক্সওয়েল অবশ্য হুক শট মারতে গিয়ে আউট হন। দুই ব্যাটসম্যানের কোথায় অসুবিধা হচ্ছে তা নোটবুকে লিখে রেখেছেন পন্টিং। তাঁর কথায়, ‘‘ওদের সমস্যাটা ধরতে পেরেছি। আমার নোটবুকেও লেখা রয়েছে। এ বার শুধু ওদের এ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন করা বাকি রয়েছে। আমার জানা দরকার, শর্ট বলের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার পরিকল্পনা ওরা আদৌ করছে কি না। সব সময় পরিকল্পনা যে ঠিক হবে তার কোনও অর্থ নেই। ওদের মাথার মধ্যে কী চলছে সেটা জানা খুবই জরুরি।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘খোয়াজার সমস্যাটা আমি কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছি। তিন নম্বরে নেমে মাথায় আঘাত পেয়েছে ও। তার পরে ছন্দ বজায় রাখা সত্যি কঠিন। কিন্তু বিপক্ষে যখন ১৪০ কিমি/প্রতি ঘণ্টার পেসার বল করছে, তখন এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতেই হবে।’’
ম্যাক্সওয়েলের আউটে সব চেয়ে বেশি হতাশ হয়েছেন পন্টিং। তিনি বলেছেন, ‘‘স্বাভাবিক ভাবে খুব একটা হুক শট নিতে দেখা যায় না ম্যাক্সিকে (ম্যাক্সওয়েল)। কিন্তু দুরন্ত গতির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য হঠাৎ এ ধরনের অদ্ভুত শট অনেকে নিয়ে ফেলে। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে এটা অনেক বড় শিক্ষা। শর্ট বলের বিরুদ্ধে খেলার উপায় বার করতেই হবে আমাদের।’’
পন্টিংয়ের আশা, ভারতের বিরুদ্ধে আর হয়তো একই ভুল করবে না অস্ট্রেলিয়া। বরং বাউন্সার সামলানোর নতুন উপায় খুঁজে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে গত বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy