অপ্রতিরোধ্য: নীরজকে ভাঙতে পারেনি ইরান। এআইএফএফ
দুর্ভেদ্য নীরজ কুমার। ৩৩ বছর পর ইরানকে আটকে দিল ভারত।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ইরান ৩৩ নম্বরে। ভারত ৯৭তম স্থানে। সোমবার মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরে অনূর্ধ্ব-১৬ এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপে ম্যাচের আগে ইরানকেই এগিয়ে রেখেছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। কারণ, ভারত শেষ বার ইরানের বিরুদ্ধে ড্র করে মাঠ ছেড়েছিল ১৯৮৪ সালের ৭ ডিসেম্বর। সিঙ্গাপুরে এশিয়ান কাপের ম্যাচে। তার পরে প্রত্যেক বারই জিতেছে ইরান। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, এই ম্যাচেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। শেষ পর্যন্ত তাঁদের অনুমান ভুল প্রমাণ করেই মাঠ ছাড়ল ভারতীয় দলের ফুটবলারেরা।
ইরানের বিরুদ্ধে ভারতের দলের কোচ বিবিয়ানো ফার্নান্দেসের রণকৌশল ছিল, রক্ষণ শক্তিশালী করে প্রতিআক্রমণে গোলের জন্য ঝাঁপানো। ইরান অবশ্য শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলেছিল। ম্যাচের ১৬ মিনিটে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় নিশ্চিত গোল বাঁচায় নীরজ। ৭৬ মিনিটে পেনাল্টি পায় ইরান। কিন্তু ফের নীরজ দুর্ভেদ্য হয়ে ওঠে। কার্যত ভারতের এই প্রতিশ্রুতিমান গোলরক্ষকের হাতেই হাতেই শেষ হয়ে যায় ইরানের জয়ের স্বপ্ন।
রক্ষণাত্মক রণনীতি নিয়ে খেলা শুরু করলেও বেশ কয়েক বার গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। কিন্তু রবি রানার শট অল্পের জন্য গোল পোস্টের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। আর সাইলো সামনে একা ইরানের গোলরক্ষককে পেয়েও গোল করতে পারেনি। এ ছাড়া গোল নষ্ট করে মেলভিন ডি’মেলো। ম্যাচের পরে বিবিয়ানো বলেছেন, ‘‘আমরা ম্যাচটা জিততেও পারতাম। ছেলেদের খেলার আমি দারুণ খুশি। ওরা শুধু নিজেদের উজাড় করে দেয়নি, পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছে।’’
অনূর্ধ্ব-১৬ এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপ ভারত ০ • ইরান ০
ইরানের বিরুদ্ধে জিতলে সোমবারই শেষ আটে খেলা নিশ্চিত করে ফেলত ভারতীয় দল। কারণ, এ দিন অন্য ম্যাচে ইন্দোনেশিয়া ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে ড্র করেছে। ফলে দু’ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে পৌঁছে যেত নীরজেরা। এই মুহূর্তে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া দুই দেশের দু’ম্যাচে চার পয়েন্ট। বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে তারা। একই দিনে ইরান খেলবে ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে। বিবিয়ানো বলছেন, ‘‘ড্র হওয়ায় আমি হতাশ নই। তবে এখন আর অতীত নিয়ে ভাবছি না। ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে জেতাই লক্ষ্য।’’
ভারত: নীরজ কুমার, বিকাশ উমনাম, গুরকিরাত সিংহ, সুভাষ আহমেদ (হরপ্রীত সিংহ), থৈবা সিংহ, রিকি জন, রবি রানা, গিভসন সিংহ (সাইলো), মেলভিন ডি’মেলো (হরপ্রীত), বিক্রম প্রতাপ সিংহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy