নজরে: কুলদীপের পড়তি ফর্ম নিয়ে উদ্বেগে নাইটরা। ফাইল চিত্র
খুব অল্প সময়ই হল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে কুলদীপ যাদব। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই বলে কেরামতি দেখিয়ে সমীহ আদায় করেছে ও। বিশ্ব ক্রিকেটে এই মুহূর্তে যে ক’জন আক্রমণাত্মক স্পিনার রয়েছে তাদের একজন কুলদীপ। সাদা বলেও যার দক্ষতা দুর্দান্ত। ফলে আইপিএলের শুরুতে স্বাভাবিক ভাবেই ধারণা করা গিয়েছিল, কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং আক্রমণের অন্যতম বাহক হতে চলেছে কুলদীপ।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কুলদীপের পড়তি ফর্ম এই গ্রীষ্মে ভোগাচ্ছে আইপিএলের প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন নাইটদের। আগের ছন্দে কুলদীপ উইকেট তুলতে না পারায় কেকেআরের প্রতিপক্ষ দল সহজেই ম্যাচ নিয়ে যেতে পারছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে এটা ঘটছে বেশি করে।
খড়কুটোর মতো ভেসে গিয়েছে কুলদীপের ইকনমি রেটও। রিস্টস্পিনারদের খেলালে যেমন উইকেট তোলার এক সম্ভাবনা থাকে, তেমনই এরা মার খেলে ফ্লাইট দেওয়াটাও ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়।
এখনও পর্যন্ত যে নয় ম্যাচ খেলেছে কেকেআর, তার মধ্যে কুলদীপকে বল করতে হত ৩৬ ওভার। সেখানে এই রিস্টস্পিনার বল করেছে ৩৩ ওভার। ইকনমি রেট ৮.৬৬। ৭১.৫০ গড় রেখে এ পর্যন্ত পেয়েছে মাত্র চারটি উইকেট। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য, কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক পেস আক্রমণে যাওয়ার বিলাসিতা দেখাতে পারবেন না। এই অবস্থায় কেকেআরের ত্রাতা তাদের ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেলের চওড়া ব্যাট ও নীতীশ রানার বড় রান করার মরিয়া তাগিদ।
পাঁচ ম্যাচে চারটি জয় ছিল কেকেআরের। সেখান থেকে নয় ম্যাচে তাদের জয় চারটি। ফলে প্লে অফে যাওয়ার কাজটা ক্রমে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে তাদের কাছে। এই জায়গা থেকে কুলদীপের ছন্দে ফেরাটা জরুরি। তা হলেই হারানো জমি অনেকটাই পুনরুদ্ধার করতে পারে কেকেআর। ও ছন্দে ফিরলেই উজ্জ্বীবিত হবে কেকেআর। কিন্তু রবিবার যাদের সঙ্গে ম্যাচ কেকেআরের, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সেই ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো স্পিনটা ভালই খেলে। যেটা আবার অশনি সঙ্কেত চায়নাম্যান কুলদীপের কাছে।
অন্য দিকে, পিঠের ব্যথার জন্য আগের ম্যাচে খেলেনি এম এস ধোনি। যেহেতু সামনেই রয়েছে বিশ্বকাপের মতো বড় প্রতিযোগিতা, তাই ধোনিকে আরও দু’একটা ম্যাচ বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। যাতে ওর পিঠের ব্যথা সম্পূর্ণ সারে। দলে ধোনির উপস্থিতি চেন্নাই সুপার কিংস ও ভারতীয় দলের পক্ষে সমান প্রয়োজনীয়। তাই ধোনিকে এখনই দলে ফেরানোর জন্য তাড়াহুড়ো না করাই ভাল।
বাস্তব পরিস্থিতি মাথায় রেখেও বলছি, গত বছরের চ্যাম্পিয়ন সিএসকে প্লে-অফে যাচ্ছেই। ঘরের মাঠে বেশ কিছু ম্যাচ রয়েছে ওদের। প্রথম দুইয়ের বাইরে সিএসকের থাকার কোনও কারণ দেখছি না। রবিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ধোনি না খেললে আরসিবির জেতার সুযোগ বাড়বে। এই দুই দলের সম্মুখসমর সব সময়েই ক্রিকেটপ্রেমীদের আকর্ষক ম্যাচ উপহার দিয়েছে। তা সে লিগ টেবলে যে জায়গাতেই থাকুক এই দুই দল। আমি নিশ্চিত, নিজেদের সমর্থকদের খুশি করতে এ বার আরসিবি নতুন কিছু চমক
দেবেই। (টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy