বিধ্বংসী মেজাজে ওয়ার্নার। ছবি: এএফপি।
কেকেআর এখন কেকেহার-এ পর্যবসিত হয়েছে। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে প্লে অফে যাওয়ার আশা এখন ক্ষীণ দীনেশ কার্তিকদের।
রবিবারের ম্যাচের বল গড়ানোর আগে নাইট মালিক শাহরুখ খানের বার্তা ছিল, রাসেলের জন্য জিততে হবে। জেতা তো দূর অস্ত! সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কোনওরকম লড়াই করতে পারল না কেকেআর শিবির। নাইটদের করা আট উইকেটে ১৫৯ রান খুব সহজেই টপকে গেল সানরাইজার্স।
কেকেআর-এর রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে আক্রমণের রাস্তা নেন ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো। তাঁদের মারমুখী ব্যাটিংয়ের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে কেকেআর। ওয়ার্নার ৩৮ বলে ৬৭ রান করেন। তাঁকে ফেরান পৃথ্বী রাজ। বেয়ারস্টো অপরাজিত থেকে যান ৮০ রানে। পাঁচ ওভার বাকি থাকতে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় সানরাইজার্স।
আরও খবর: বাদ উথাপ্পা-কুলদীপ? দেখে নিন নাইটদের সম্ভাব্য একাদশ
আরও খবর: বাদ তাসকিন, দলে আনকোরা পেসার, ব্যাঘ্রগর্জন করেই বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
এদিন নাইটরা দলে তিনটে পরিবর্তন আনে। রবিন উথাপ্পা, হতশ্রী ফর্মে থাকা কুলদীপ যাদব ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাকে মাঠের বাইরে রেখেই খেলতে নামে কেকেআর। তাঁদের জায়গায় রিঙ্কু সিংহ, কেসি কারিয়াপ্পা ও পৃথ্বী রাজকে সুযোগ দেওয়া হয়। কেকেআরকে জিতিয়ে দেওয়ার জাদুদণ্ড তো তাঁদের হাতে ছিল না।
টসে জিতে এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুটা দারুণ করেছিলেন সুনীল নারাইন। ৮ বলে ২৫ রান করেন নাইট ওপেনার নারাইন। ২.৪ ওভারে কেকেআর-এর রান তখন এক উইকেটে ৪২। সব দেখে শুনে নাইট-ভক্তদের মনে হচ্ছিল বড় রানের টার্গেট বুঝি চাপাবে প্রিয় দল। কিন্তু খেলা যত গড়াল, ততই ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেল কেকেআর। দ্রুত উইকেট পড়ল। পার্টনারশিপ হল না। তার উপরে দলের আশা ভারসা আন্দ্রে রাসেল নামলেন অনেক পরে। ঝড় তোলার সুযোগও তিনি পাননি। এ দিন ৯ বলে ১৫ রান করে ফিরতে হয় ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারকে। সর্বোচ্চ রান ক্রিস লিনের (৪৭ বলে ৫১ রান)। প্লে অফে যাওয়ার আশা ক্রমশ কমে আসছে নাইটদের। বাকি চারটি ম্যাচে কেকেআর কী করে, সেটাই এখন দেখার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (২০ ওভার) কেকেআর ১৫৯/৮
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১৫ ওভারে ১৬১/১।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy