ডোয়েন ব্র্যাভো। ছবি এপি।
ম্যাচের আগে কৌশল তৈরির চেয়ে মাঠে নেমে পরিস্থিতি অনুযায়ী নকশা তৈরিতেই বেশি আগ্রহী মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চেন্নাই সুপার কিংসে তাঁর দুই সতীর্থ সুরেশ রায়না ও ডোয়েন ব্র্যাভোই জানিয়ে দিলেন এই অজানা তথ্য।
‘‘আমরা টিম মিটিং করি না। মাঠে নামি আর পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলি। পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের দ্রুত মানিয়ে নিই। এখানেই দলের ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা দারুণ ভাবে কাজে লাগে’’, বলে দিলেন ব্র্যাভো। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের নেতৃত্ব দেয় বিশ্বের সেরা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। যে আমাদের মনে করায়, সবচেয়ে দ্রুতগতির দল হতে না পারলেও আমরা কিন্তু সবচেয়ে স্মার্ট দল হতেই পারি।’’
রায়নাও তাঁদের অধিনায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ধোনি যে আগাম পরিকল্পনার চেয়ে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশল রচনায় বিশ্বাসী, তিনিও তা জানিয়ে বলেন, ‘‘প্রত্যেক অধিনায়ক তাদের নিজস্ব দক্ষতার মাধ্যমে দল পরিচালনা করে। তবে ধোনি যে দক্ষতায় নেতৃত্ব দেয়, বেশির ভাগ ম্যাচেই তা দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যায়।’’
আরও পড়ুন: রাণা, রাসেল, না ‘নো বল’, নাইটদের পঞ্জাব বধের আসল নায়ক কে?
সিএসকে-র সাফল্যের রহস্য তা হলে কী? ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের মতে, ‘‘বিশ্বের যে কোনও খেলায় অভিজ্ঞতার কোনও বিকল্প নেই। নিজেদের দুর্বলতা আমরা জানি। সেটা বুঝেই আমরা স্মার্ট ক্রিকেট খেলি আর ধোনিই আমাদের সেটা করতে সাহায্য করে।’’
মঙ্গলবার ফিরোজ শাহ কোটলায় যেমন ব্র্যাভোর এক ওভারেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় ঋষভ পন্থ ও কলিন ইনগ্রাম ফিরে যাওয়ার পরে। বোলিং শুরুর আগে ব্র্যাভোকে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন ধোনিই। ব্র্যাভো নিজেই সে কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘এমএস আমাকে সোজা বল করতে বলে। উইকেট থেকে উইকেট, একেবারে স্টাম্পে। তাই এই ম্যাচে আমি অন্য দিনের তুলনায় বেশি শক্তি প্রয়োগ করে বল করেছি। সাধারণত, অনেক স্লোয়ার দিই, ভেরিয়েশন রাখার চেষ্টা করি, ইয়র্কারও দিই আমি। কিন্তু স্টাম্পের পিছনে দাঁড়িয়ে এমএস বুঝে যায় বোলারকে কী করতে হবে।’’
মঙ্গলবার কোটলায় ১৬ বলে ৩০ রান করা রায়না বলেন, ‘‘কোন জায়গায় ব্যাট করছি, সেটা আমার কাছে বড় কথা নয়। যেখানেই নামি না কেন, সেখানে নেমে দলের কাজে লাগে, এমন পারফরম্যান্স দেওয়াটাই আমার মাথায় থাকে।’’ গত বারের চ্যাম্পিয়নরা যে এ বারেও বদ্ধপরিকর, তা রায়নার কথাতেই স্পষ্ট। বলেন, ‘‘এই মরসুমে আমাদের কাঁধে অনেক দায়িত্ব। আর এই মানসিকতা থেকেই এ বার আমরা যথাসম্ভব কঠোর অনুশীলন করে প্রস্তুতি নিয়েছি।’’
দু’বছরের নির্বাসন কাটিয়ে গত বার আইপিএলে ফিরে চ্যাম্পিয়ন হয় সিএসকে। তখনও দলের গড় বয়স যেমন ছিল, এ বারেও প্রায় সে রকমই আছে। আর সেই দল নিয়ে এ বারও জোড়া জয় দিয়েই লিগ শুরু করল চেন্নাই। কিন্তু ‘বুড়োদের দল’-এর তকমাটাই একেবারে পছন্দ নয় ব্র্যাভোর। তাই চেন্নাই সুপার কিংসকে যারা এই নামে ডাকেন, তাঁদের উদ্দেশে ডোয়েন ব্র্যাভোর বার্তা, ‘‘কতই বা বয়স আমাদের? ৩২, ৩৫। কেউ তো আর ৬০ বছরের নই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy