Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ডিন্ডার পরামর্শে লেং‌থ বদলে আত্মবিশ্বাসী ঈশান

‘ক্রিকেটের মক্কা’য় প্রথম বোর্ডের ম্যাচে নামার আগে তাঁর স্নায়ুর চাপ কমাতে সাহায্য করেছেন অশোক ডিন্ডা।

মহড়া: রঞ্জিতে প্রথম ঘরের মাঠে নামার প্রস্তুতি ঈশানের। নিজস্ব চিত্র

মহড়া: রঞ্জিতে প্রথম ঘরের মাঠে নামার প্রস্তুতি ঈশানের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৭
Share: Save:

বাংলার বর্তমান পেস বিভাগের প্রথম দু’জনের মধ্যে তাঁর নাম এলেও ইডেনে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না এত দিন। সোমবার মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ঘরের মাঠে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলতে নামছেন বাংলার প্রতিশ্রুতিমান পেসার ঈশান পোড়েল। তাই ইডেনের ম্যাচকে স্মরণীয় করে তুলতে মরিয়া তিনি।

রবিবার বাংলার অনুশীলন শেষে আনন্দবাজারকে ঈশান বলেন, ‘‘এর আগে অনেক বার ক্লাবের হয়ে ইডেনে ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ কখনও খেলা হয়নি। তাই আমি প্রচণ্ড উত্তেজিত। এটাই আমাকে অনুপ্রাণিত করছে। বাংলাকে জিতিয়ে ইডেনে প্রথম ম্যাচ স্মরণীয় করে তুলতে চাই।’’

‘ক্রিকেটের মক্কা’য় প্রথম বোর্ডের ম্যাচে নামার আগে তাঁর স্নায়ুর চাপ কমাতে সাহায্য করেছেন অশোক ডিন্ডা। ইডেনের গতিময় উইকেটে কোন জায়গায় বল রাখতে হবে, তা ঈশানকে শিখিয়ে দেন বাংলার অভিজ্ঞ পেসার ডিন্ডা। ‘‘আমার উচ্চতা বেশি থাকার কারণে খানিকটা শর্ট বল করার প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু ইডেনের পিচ গতিময়। সেখানে শর্ট বলের চেয়ে ফুল-লেংথ বল বেশি কার্যকরী। নেটে ডিন্ডাদাই আমার ভুল শুধরে দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসে। পিচের দৈর্ঘ্য ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়। তার পর থেকেই ফুল-লেংথে বল করতে শুরু করি। যা এ ধরনের পিচের জন্য আদর্শ।’’

মধ্যপ্রদেশের ঈশ্বর পাণ্ডে ও আবেশ খানের জুটি যেমন বিপক্ষের ত্রাস হয়ে উঠতে পারেন। তেমনই ডিন্ডা-পোড়েল জুটিও সমস্যায় ফেলতে পারে রজত পাটিদার, আর্যমান বিড়লাদের। ঈশানের কথায়, ‘‘খুব ভাল বোঝাপড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে আমার ও ডিন্ডাদার মধ্যে। যখনই অসুবিধা হয় ওর কাছে পরামর্শ চাই। আমাকে খুব সাহায্য করে। এ ছাড়া দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের থেকেও অনেক পরামর্শ পাই। এ বার মাঠে সেগুলো ফুটিয়ে তুলতে চাই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে ডিন্ডাদার সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। দু’জনে ঠিক করেছি বিপক্ষকে সহজে রান করতে দেব না। কম রানে আটকানোর চেষ্টা করব। যাতে আমাদেরও বেশি রান তুলতে না হয়।’’

ইডেনের উইকেট দেখে প্রথম দিনই বল করার জন্য ছটফট করছেন চন্দননগরের বিট্টু। বলছেন, ‘‘ভাল ছন্দে রয়েছি। প্রথম দিনই যদি বল করার সুযোগ পাই, তা হলে নিজেকে উজা়ড় করে দেব। বাকি সাহায্য উইকেটই করে দেবে।’’

মধ্যপ্রদেশের পেস বিভাগ বেশি আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠলেও তাঁদের ব্যাটিং বেশ শক্তিশালী। গত ম্যাচে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ১৯৬ রান করেছিলেন রজত। ৫১ রান করেছিলেন আর্যমান বিড়লা। রয়েছেন নমন ওঝাও। তবুও তাঁদের বড় সমস্যা হিসেবে দেখছেন না ঈশান। বঙ্গ পেসারের হুঙ্কার, ‘‘প্রথম ম্যাচ থেকেই রঞ্জি ট্রফি জয়ের আশা নিয়ে নামছি। সেই তাগিদটা খেলার মধ্যেও ফুটিয়ে তুলতে চাই। বেশি কিছু ভাবছি না। নেটে যে ভাবে বল করেছি, ম্যাচেও সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারলে আমাদের হারানো কঠিন হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE