নজরে: আই লিগে ফর্মে নেই জ্যাকসন। ফাইল চিত্র
যে কোনও পর্যায়ের বিশ্বকাপ ফুটবলে ভারতের প্রথম গোলদাতা সে। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের পরেই আই লিগে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ-এর হয়ে খেলতে নেমে এখনও পর্যন্ত কোনও গোল পায়নি জ্যাকসন সিংহ। মণিপুরের ছেলে যদিও তার জন্য খুব বেশি চিন্তা-ভাবনা করতে নারাজ।
গত অক্টোবরে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ভারতের জার্সি গায়ে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে গোল করেছিল জ্যাকসন। কিন্তু আই লিগে জ্যাকসনের দল ইন্ডিয়ান অ্যারোজ নয় ম্যাচে আট গোল করে ফেললেও এখনও কোনও গোল পায়নি মণিপুরের এই ফুটবলার। ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে নিজের নাম তুলে ফেলা জ্যাকসন সে প্রসঙ্গ উঠলেই বলছে, ‘‘মিডফিল্ডে খেলার সুবাদে আমার কাজ পরিস্থিতি অনুযায়ী রক্ষণ এবং আক্রমণ ভাগকে সহায়তা করা। এর মাঝে যদি সুযোগ চলে আসে, তা হলে নিশ্চয়ই গোল করার চেষ্টা করব। কিন্তু গোল করার জন্য আমার উপর কোনও চাপ নেই।’’
তবে গোল না পেলেও আই লিগ খেলার সুযোগ পেয়ে বেশ খুশি জ্যাকসন। তার মতে দেশের বেশ কয়েক জন সেরা ফুটবলারের বিরুদ্ধে আই লিগে খেলতে পারার সুযোগ পাওয়া একটা বড় অভিজ্ঞতা। যা কখনও কখনও তাকে অবাক করে দিচ্ছে। জ্যাকসনের কথায়, ‘‘আই লিগে খেলার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। দেশের সেরা ফুটবলারদের বিরুদ্ধে যখন খেলতে নামছি তখন মনে হচ্ছে এটা একটা বড় প্রাপ্তি।’’
আই লিগ সম্পর্কে জ্যাকসনের আরও মূল্যায়ন, ‘‘আই লিগের মান বেশ উঁচু। লিগে বেশ কয়েক জন এমন মানের ফুটবলার রয়েছেন, যাঁরা একটা ড্রিবলেই ম্যাচের ভাগ্য এবং গতিপথ বদলে দিতে পারেন। এঁদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অনেক কিছু শিখতে পারছি।।’’
তবে জ্যাকসন তা সত্ত্বেও ইন্ডিয়ান অ্যারোজের দলগত সংহতি নিয়ে গর্বিত। তার কথায়, ‘‘ট্যাকটিক্সের দিক দিয়ে আই লিগের প্রতিটা দলই আমাদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে। এ ছাড়াও ওরা বেশ অভিজ্ঞ। ফলে তফাতটা চোখে পড়ে যাচ্ছে। আর সেখান থেকেই শিক্ষা নিচ্ছি আমরা।’’ জ্যাকসন সঙ্গে আরও বলে দেয়, ‘‘দলের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এর বড় কারণ অ্যারোজের দলগত সংহতি। বেশ কয়েকটি ক্লাব টিমের বয়সের চেয়েও বেশি সময় ধরে আমাদের দলের ফুটবলাররা এক সঙ্গে খেলছে। ফলে মানসিক বোঝাপড়াটা চমৎকার। তার সুফল মিলছে অনেক ক্ষেত্রেই। কারণ, আক্রমণ এবং রক্ষণ করার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার চেয়েও দলগত প্রচেষ্টা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইন্ডিয়ান অ্যারোজে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy