এক দিনের সিরিজে খুব ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে না পারার পরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারত শুধু ভালই নয়, খুব তৃপ্তিদায়ক পারফর্ম্যান্স দেখাল। ১-৪-এ এক দিনের সিরিজ হারার পরে খুব বেশি কেউ টি-টোয়েন্টিতে ৩-০ ‘ক্লিনসুইপ’ আশা করেনি। তবে এ বার গোটা অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জুড়েই ভারতের ব্যাটিং অসাধারণ ছিল। এর সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে বোলিংটাও ভাল হওয়ায় সব কিছু ঠিকঠাক দেখিয়েছে।
রোহিতের ওয়ান ডে-র পারফরম্যান্সটাই টি-টোয়েন্টিতে জারি ছিল। এই ফর্ম্যাটে ও একেবারে অন্য মেজাজের ব্যাটসম্যান। নিজের ব্যাটিংকে পরের স্তরে তুলে নিয়ে যায়। কী দারুণ ক্লিন হিটার! অস্ট্রেলিয়ায় বিরাটের ব্যাটিং দেখেও অভিভূত। অস্ট্রেলিয়ায় ওর গত মরসুমের ফর্মটাই বিরাট যেন এ বারও চালু রেখেছিল। যে উইকেটে বল ভাল ব্যাটে আসে সে রকম জায়গায় বিরাট এখন ওর সেরা ব্যাটটা করছে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় লাভ, টিমের কয়েকটা ফাঁকফোকর বুঁজিয়ে ফেলতে পারাটা। আমি বরাবর বিশ্বাস করে এসেছি যে, বিদেশ সফরই সত্যিকারের আন্তর্জাতিক প্লেয়ার তৈরি করে। ভারতের এই দলেও বিরাট আর রাহানে সে রকমই দু’টো উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
আমি মনে করি, সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে মণীশ পাণ্ডে ভারতীয় দলে একটা আবিষ্কার। বিপক্ষের হাত থেকে ওর ম্যাচ কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা আছে। মণীশ কেবল স্ট্রাইক রোটেট-ই করতে পারে তাই নয়, বড় শটও নেয়। হার্দিক পাণ্ড্যকেও আমার ভাল লেগেছে। ভেতরে যথেষ্ট আগুন রয়েছে, এমন একজন আত্মবিশ্বাসী প্লেয়ার দেখিয়েছে ওকে এই সিরিজে। ভাল গতিতে আর ঠিক জায়গায় বলটা করেছে। হার্দিকের প্রতিভা আছে। আমি নিশ্চিত, ও সীমিত ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে আরও বেশি সুযোগ পেলে ভারতীয় দলে অলরাউন্ডারের জায়গাটা পূরণ করতে পারে।
এ ছাড়া এই সিরিজে রায়নার ব্যাটিংয়ে যে রকম খিদে দেখা গিয়েছে আর যুবরাজের বোলিং— দু’টো ব্যাপারই ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের শক্তি বাড়াবে। আর আমার চোখে অজি ব্যাটসম্যানদের কাছে বুমরাহ ছিল একটা চমকে দেওয়া প্যাকেজ! ওর বোলিং অ্যাকশন আর কোনাকুনি ডেলিভারির কারণে। বিশেষ করে ডেথ ওভারগুলোয়। আশা করি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বুমরাহর এই ক্ষমতা বাড়বে। আরও উপরে উঠবে ও। (গেমপ্ল্যান)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy