দুবাইয়ে শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই খেলেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা, পাশাপাশি খেপটাও খেলেন!
কলকাতা ময়দানে খুবই পরিচিত শব্দ ‘খেপ’। ছোট-বড় ক্লাবে খেলে যাওয়া অনেক ফুটবলার, বিশেষ করে আফ্রিকা থেকে আসা বিদেশি ফুটবলাররা নিয়মিত টাকার বিনিময় শহরাঞ্চলের অনেক প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমে পড়েন। ময়দানি ক্রিকেটেও ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। সিএবি-র প্রথম ডিভিশন লিগে খেলা অনেক ক্রিকেটারই বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতায় অর্থের বিনিময় খেলে বেড়ান। তা, এটা নতুন কিছু নয়। বলা যায়, সেই প্রাচীন যুগ থেকেই চলে আসছে।
কিন্তু অভাবনীয় এবং চমকে দেওয়ার মতো তথ্য হল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররাও খেপ খেলতে নেমে পড়ছেন। যে ঘটনার কথা জানা গেল দুবাইয়ে এসে।
দুবাইয়ে বড়, ছোট নানা ধরনের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হয়। জানা যাচ্ছে, বড় প্রতিযোগিতাগুলোয় খেলার জন্য বড় বড় দলগুলো মাইনে দিয়ে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের নিয়ে আসে। সেখানে খেলার পাশাপাশি যখন ছুটিছাটা মেলে, তখনই খেপ খেলতে নেমে পড়েন তাঁরা।
এই খেপ খেলার তালিকায় কোন কোন পাকিস্তানি ক্রিকেটার আছেন? বেশ কয়েকটা নামের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে। যেমন ইমরান নাজির, সোহেল তনবীর, নাভিদ রানা, রিয়াজ আফ্রিদি। এরা সবাই পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট খেলেছেন। শুধু তা-ই নয়, সবাই রীতিমতো বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জাতীয় দলের বাইরে থাকার সময় দুবাইয়ে নিয়মিত এই সব প্রতিযোগিতায় খেলে গিয়েছেন।
এখানকার স্থানীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় খেলে ‘দুবাই রেকার্স’ ক্লাব। যার কোচ প্রবাসী বাঙালি সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলছিলেন, ‘‘অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার এখানে এসে খেলে গিয়েছে। আমার দল দুবাই রেকার্সেই তো রিয়াজ আফ্রিদি খেলেছে। এ বারের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দলে যে শাহিন আফ্রিদি আছে, তার দাদা। ওরা বেশ উপভোগ করে এখানে খেলাটা।’’ কী ভাবে সুযোগ পাওয়া যায় এই সব ক্রিকেটারদের দলে নেওয়ার? সুদীপবাবু বলছিলেন, ‘‘এখানে একটা খুব বড় কোম্পানির ক্লাব আছে। তারা অনেক খরচা করে, বেতন দিয়ে এই সব ক্রিকেটার নিয়ে আসে। এ বার যখন ম্যাচ থাকে না, তখন এই সব ক্রিকেটার আমাদের মতো ক্লাবের হয়ে খেলতে নেমে পড়ে। ওরাই খোঁজ খবর জোগাড় করে। মানে সোজা বাংলায় বলতে গেলে খেপ খেলে।’’ কত অর্থের বিনিময়ে নাভিদ উল রানা, ইমরান নাজিরের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারেরা এখানে খেলে গিয়েছেন? জানা যাচ্ছে, অর্থটা ২০০ থেকে ৫০০ দিরহামের মধ্যেই থাকে। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় মোটামুটি চার থেকে দশ হাজারের মধ্যে।
সাধারণত, যে সময়টা জাতীয় দলের বাইরে থাকেন পাক ক্রিকেটারেরা, তখনই তাঁরা দুবাইয়ে খেলতে চলে আসেন। যে চার জনের নাম লেখা হয়েছে, তাঁদের বাইরেও অনেকে নিয়মিত খেপ খেলে গিয়েছেন দুবাইয়ের এই সব প্রতিযোগিতায়। এখানে মাঠের কোনও অভাব নেই। একটা কমপ্লেক্সে তিরিশটা পর্যন্ত মাঠ থাকে। তবে সাধারণত এই সব মাঠ পুরো ঘাসের হয় না। বেশির ভাগটা বালির হয়, কংক্রিটের পিচ হয়। কিন্তু তাতেও সমস্যা হয় না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের। ফলে এই খেপ খেলা চলতেই থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy