Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

সোনার ফাইনালে ফের মারিন বনাম সিন্ধু!

সিন্ধু গত বারও এই প্রতিযোগিতার ফাইনালিস্ট। গত বার হেরে যান জাপানের নজমি ওকুহারার কাছে। এ বার যাঁকে কোয়ার্টার ফাইনালেই ছিটকে দিয়েছেন। আর ট্রফির লক্ষ্যে সিন্ধুর শেষ বাধা এখন ক্যারোলিনা মারিন।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার পথে সিন্ধু। (ডান দিকে) সিন্ধুর শেষ বাধা। জয়ের পরে মারিন। ছবি: এএফপি।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার পথে সিন্ধু। (ডান দিকে) সিন্ধুর শেষ বাধা। জয়ের পরে মারিন। ছবি: এএফপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৮ ০৪:০৩
Share: Save:

দু’বার ম্যাচ পয়েন্ট থেকে ফিরতে হয়েছিল। কিন্তু রুদ্ধশ্বাস তৃতীয় চেষ্টায় সফল পুসারলা ভেঙ্কট সিন্ধু। চিনের নানজিংয়ে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পুল্লেলা গোপীচন্দের ছাত্রী। বিশ্বের দু’নম্বর, জাপানের আকানে ইয়ামাগুচিকে ২১-১৬, ২৪-২২ গেমে হারিয়ে।

সিন্ধু কিন্তু গত বারও এই প্রতিযোগিতার ফাইনালিস্ট। গত বার হেরে যান জাপানের নজমি ওকুহারার কাছে। এ বার যাঁকে কোয়ার্টার ফাইনালেই ছিটকে দিয়েছেন। আর ট্রফির লক্ষ্যে সিন্ধুর শেষ বাধা এখন ক্যারোলিনা মারিন। যাঁর কাছে রিয়ো অলিম্পিক্সের ফাইনালে হেরে সিন্ধুকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল রুপো নিয়ে। শনিবার দিনের প্রথম সেমিফাইনালে মারিন পিছিয়ে পড়েও হারিয়েছেন চিনের হে বিং জিয়াওকে ১৩-২১, ২১-১৬, ২১-১৩ গেমে।

এমনিতে র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও জাপানের ইয়ামাগুচির বিরুদ্ধে এর আগে ১০ বার খেলে ৬ বারই জিতেছিলেন সিন্ধু। তবে এ বছরই অল ইংল্যান্ডে হেরে যান জাপানি প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে। এমনকি গত বছর দুবাইয়েও। আর এ’বছর মোট চার বার খেলে দু’জনই দু’টি করে ম্যাচে শেয হাসি হাসেন। স্বভাবতই শনিবারের সিন্ধু বনাম ইয়ামাগুচি নিয়ে তৈরি হয় চূড়ান্ত উত্তেজনা। গত কাল সিন্ধু বলেছিলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত এই ম্যাচটায় বেশ লম্বা লড়াই হবে আমাদের।’’

সিন্ধু বনাম মারিন

• দু’জনের দেখা হয়েছে ১২ বার।

• দু’জনেই জিতেছেন ছ’টি করে।

• বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের তৃতীয় স্থানে এখন সিন্ধু। মারিন অষ্টম।

• শেষ বার মালয়েশিয়া ওপেনে মারিনকে ২২-২০, ২১-১৯ গেমে হারান সিন্ধু।

লড়াই সত্যি সত্যি জমলেও ম্যাচ যে অনেকটা সময় গড়িয়েছে তা কিন্তু নয়। তবে দু’টি গেমই সিন্ধু পিছিয়ে থেকে জিতেছেন। আর শেষ গেমে তো রীতিমতো নাটকীয় ভাবে। একটা সময় ইয়ামাগুচি ১৯-১২ এগিয়ে যান। গেম জিততে মাত্র দু’টি পয়েন্টের দরকার ছিল তাঁর। কিন্তু সেখান থেকে অবিশ্বাস্য ভাবে টানা আটটি পয়েন্ট তুলে সিন্ধুই ম্যাচ পয়েন্টে পৌঁছে যান। ইয়ামাগুচি একটা মরিয়া চেষ্টা করলে দু’বার নেট কর্ডের সৌজন্যে ২১-২০ করে ফেলেন। ঠিক এই জায়গায় ইয়ামাগুচি একটা অবিশ্বাস্য কাণ্ড করেন কোর্টের ভুল দিকে সার্ভিস করে। এর পর দু’বার ম্যাচ পয়েন্ট থেকে ফিরেও সিন্ধুই শেষ হাসি হাসেন ৪১ শটের র‌্যালির নির্ণায়ক পয়েন্টটি তুলে নিয়ে।

রবিবার আবার মারিন বনাম সিন্ধু! রিয়ো অলিম্পিক্সের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি! যেখানে মজুত নতুন উত্তেজনার মশলা। ভারতীয়রা নিশ্চিত ভাবেই চাইবেন না, ফাইনালে রিয়োর ফলের পুনরাবৃত্তি ঘটুক। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে এর আগে রুপো আর ব্রোঞ্জ রয়েছে সিন্ধুর। কাল, রবিবার ভারতবাসী চাইবেনই আরও ভাল কিছু, সোনার পদক নিয়ে আরও উজ্জ্বল সিন্ধুকে দেখতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE