বুমরাহ ম্যাজিক। ছবি: রয়টার্স।
টি-টোয়েন্টিতেও এমন ঘটনা বিরল। জসপ্রীত বুমরাহ রবিবার নিজের যা ক্ষমতা দেখাল সেটা বাস্তবে রোজ দেখা যায় না। বুমরাহ আমাদের এমন একটা কল্পনার রাজ্যে নিয়ে গিয়েছিল, যেখানে নিজের শেষ দু’ওভারে চার রানের বেশি বোলার খরচ করে না এবং দু’জন সেট ব্যাটসম্যান সম্মোহিতের মতো পোডিয়াম ছাড়তে বাধ্য হয়। ও যেন ঝুলির বেড়ালটা বার করে দেখাল। আমরা আবার বুমরাহর বোলিং দেখে জাদুকরের ম্যাজিকে বিশ্বাস করতে শুরু করলাম। যেমনটা করতাম ছোটবেলায়।
বুমরাহর বিস্ময়ের সঙ্গে অভিজ্ঞ আশিস নেহরার কথাও বলতে হবে। যাঁকে অনেক সময় মাঠে দেখে আনফিট মনে হতে পারে। হাঁটার সময় ওর মাথাটা ঝুঁকে থাকে। কাঁধটা ঝুলে যায়। দেখে মনে হয় না, ব্যাটিং-ফিল্ডিং কোনওটাতেই লোকটা দাপট দেখাতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে কটা বছর কাটিয়েছে ও, তার থেকে কম টেস্ট খেলেছে। এমন এক বোলার ক্যাপ্টেনের আস্থার মর্যাদা রাখল আর গোটা দুনিয়াকে আবার ওর দিকে ফিরে তাকাতে বাধ্য করল। এটা সত্যিই অতুলনীয়।
এই দুই নায়কের পাশাপাশি কে এল রাহুলও কিন্তু রয়েছে। যে না থাকলে ইংল্যান্ডের সামনে ভারতের রাখা টার্গেট হয়তো একশোও পেরতো না। রাহুল বরাবরই এ রকম। হয় দুর্ধর্ষ, নয় অদ্ভুত। তবে কোন দিন ওর ক্ষেত্রে কোনটা প্রযোজ্য হবে সেটা বলা মুশকিল। এই দুরন্ত প্রতিভা যে দিন আরও ধারাবাহিক হয়ে উঠবে ভারত আরও শক্তিশালী হবে। তবে আপাতত তত দিন আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।
সুরেশ রায়না আর যুবরাজ সিংহের জন্য দিনটা সাধারণই গেল। তার চেয়েও বড় কথা দু’জনেরই স্পিন বোলিংয়ের শিকার হওয়া। ভারতের বাকি ব্যাটসম্যানদের নড়বড়ে দেখাল টাইমাল মিলস আর ক্রিস জর্ডনের সামনে। ইংল্যান্ডের এই ফর্ম্যাটে দাপট দেখানোর জন্য এই দু’জনকেই বেছে নিয়েছে। ব্যাটসম্যানরা এই দু’জনের পেসের আগুন সামলাতে পারলেও বোকা বনে যায় বোলিং বৈচিত্রে।
শেষ ম্যাচটা হাড্ডাহাড্ডি হলেও আমি তো বলব পরের ম্যাচে কয়েক জন সিনিয়রকে বিশ্রাম দেওয়ার দরকার। এখানেই তো জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে না। বরং উঠতিদের কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে পরখ করে নেওয়ার এটাই সেরা সুযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy