—ফাইল চিত্র।
প্রথম বার অস্ট্রেলিয়ার মাঠে সচিন তেন্ডুলকরকে শতরান করতে দেখে শেন ওয়ার্নের মনে হয়েছিল, ভারতীয় তারকার বয়স মাত্র ১০ বছর! সেটা ১৯৯১-’৯২ মরসুমে। মজা করে এমনটাই বললেন কিংবদন্তি অস্ট্রেলীয় লেগস্পিনার।
১৯৯১-৯২ মরসুমে ভারতের বিরুদ্ধে ওই সিরিজেই অভিষেক হয়েছিল ওয়ার্নের। সিডনিতে তৃতীয় টেস্টে প্রথম বার তিনি বল করেন সচিনকে। সেই টেস্টে অসাধারণ ১৪৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ বাঁচিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। তার ঠিক পরেই পারথের বাউন্সি উইকেটে আবার শতরান পান সচিন। তখন তাঁর বয়স ২১ বছর।
ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান টেস্ট সিরিজে ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে ওয়ার্ন বলেছেন, ‘‘যখন প্রথম সচিনকে দেখি, তখন ওর বয়স ২১। কিন্তু দেখতে ১০ বছরের ছেলের মতো লাগছিল। আমাদের সব বোলারকেই যথেচ্ছ পিটিয়েছিল। এটাই হচ্ছে সচিনের বিশেষত্ব। যেখানে দেখতে লাগে অতি সাধারণ। কিন্তু খেলে অবিশ্বাস্য ভঙ্গিতে!’’ ব্যাটসম্যান হিসেবে সচিন কেন অসাধারণ, বোঝাতে গিয়ে ওয়ার্ন আরও বলেছেন, ‘‘এই ধরনের ক্রিকেটাররা একটা ভাল বল পেলে তা ফিল্ডারের হাতে মেরে নষ্ট করে না। বরং দুই ফিল্ডারের ফাঁক দিয়ে তা সীমানার বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করে। তাতে বোলাররা চাপে পড়ে যায়। সচিন সেটাই করত।’’ যোগ করেছেন, ‘‘এ ভাবে খেললে ব্যাটসম্যানেরা অনেক নির্বিষ বল পেয়ে থাকে। কিন্তু ব্যাটসম্যান যদি আক্রমণাত্মক না হয়ে উইকেট বাঁচায়, তা হলে বোলার মানসিক ভাবে শক্তিশালী হয়ে যায়। তখন উইকেটের যেখানে খুশি বল ফেলা যায়। বোলার ভাবে, এই ব্যাটসম্যান আর যাই করুক, তাকে মারবে না।’’
মানবিক সচিন: একটা সময় সচিনের ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাট সারিয়ে দিতেন আশরাফ চৌধুরি। এ বার সেই অসুস্থ মানুষটির পাশে এসে দাড়ালেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। ক্রিকেট মহলে পরিচিত আশরাফ চাচা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১২ দিন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সঙ্গে তাঁর ডায়াবেটিসের সমস্যাও আছে। এই ব্যাট-নিমার্তার এক বন্ধু প্রশান্ত জেঠমালানি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‘সচিনই দুঃসময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। চিকিৎসার খরচের একটা বড় অংশই উনি দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy