Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

বুমরার অভাব পূরণের দায়িত্ব এখন ভুবিরও

স্টাম্পের সামনে একটা জুতো বসিয়ে সমানে সেখানে বল রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন ভুবনেশ্বর। শেষের দিকের ওভারে যাতে রান আটকানো যায়, তা নিশ্চিত করতেই ভাণ্ডারে এই অস্ত্র যোগ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ভুবি। 

—ছবি এপি।

—ছবি এপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫৪
Share: Save:

দায়িত্ব বেড়েছে ভুবনেশ্বর কুমারের? তাঁর কথা শুনে সে রকমই মনে হচ্ছে। যে-হেতু অস্ট্রেলিয়া ও নিউজ়িল্যান্ডে যশপ্রীত বুমরা নেই, তাই টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর ধারালো ইয়র্কারের অভাব পূরণ করার দায়িত্ব দিয়েছে ভুবনেশ্বরকেই। অ্যাডিলেডে ভারতীয় দলের নেটেও তাঁর ইয়র্কার-মহড়া দেখা গেল।

স্টাম্পের সামনে একটা জুতো বসিয়ে সমানে সেখানে বল রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন ভুবনেশ্বর। শেষের দিকের ওভারে যাতে রান আটকানো যায়, তা নিশ্চিত করতেই ভাণ্ডারে এই অস্ত্র যোগ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ভুবি।

সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর কাছে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে ভুবি বলেন, ‘‘ইয়র্কার করার দক্ষতাটা অন্য রকমের। (স্টাম্পের সামনে) জুতো রেখে ইয়র্কার অনুশীলন করছিলাম। শেষ দিকের ওভারগুলোতে যাতে উইকেট পেতে পারি বা রান আটকাতে পারি, সে জন্যই এই অনুশীলন করে যাচ্ছিলাম।’’

ভারতীয় দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য পেসারের মতে, ‘‘নতুন বলে বোলিং করা আর বল পুরনো হয়ে গেলে তা নিয়ে বোলিং করার মধ্যে তফাত রয়েছে। দু’ধরনের বল কাজে লাগানোর দক্ষতা আলাদা। নতুন বল সুইং করিয়ে উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করি আমরা। তখন বৃত্তের মধ্যে দু’জন ফিল্ডার থাকে। পুরনো বলে বোলারদের ইয়র্কার বা স্লোয়ারই বেশি দিতে হয়। তখন ব্যাটসম্যান পরোয়া করে না, বৃত্তের বাইরে কত জন ফিল্ডার রয়েছে। দু’রকম বল করাই বেশ কঠিন।’’

শনিবার সিডনিতে প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে ৬৬ রান দেওয়ার পরে এখন বেশ সতর্ক ভুবনেশ্বর। প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি সোমবার বলেন, ‘‘নিয়মিত না-খেলতে পারায় কিছুটা ছন্দ নষ্ট হয়েছে। বোলিংয়ে এই ছন্দটা খুব জরুরি। যা নেটে অনুশীলন করে আসে না। নেটে অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু ম্যাচ খেলাটা সম্পূর্ণ অন্য রকম ব্যাপার।’’

টেস্ট সিরিজে দলে থাকলেও একটিও ম্যাচ খেলেননি তিনি। তবে শেষ ম্যাচে খুব খারাপ বল করেছেন, তা মানতে রাজি নন ভুবনেশ্বর। বলেন, ‘‘দারুণ বোলিং করিনি ঠিকই, তবে খুব খারাপ বোলিংও করিনি। যত ম্যাচ খেলব, ততই বোলিংয়ে উন্নতি হবে।’’ গত এক মাস ধরে যে তিনি টানা প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছেন, তা স্বীকার করে বলেন, ‘‘গত এক মাসে শুধু ওয়ান ডে-র কথা ভেবে অনুশীলন করিনি নেটে। টেস্টে খেলার কথা ভেবেই করেছিলাম। নির্দিষ্ট কোনও ভাবে অনুশীলন করতে পারিনি। ক্রমশ ওভারের সংখ্যা বাড়িয়েছি। আসল উদ্দেশ্য ছিল চোটমুক্ত হয়ে ছন্দে ফেরা।’’

টেস্ট সিরিজের সময় তিনি যে পুরোপুরি ফিট ছিলেন না, তা স্বীকার করে নিয়ে ভুবি বলেন, ‘‘আমি একশো শতাংশ ফিট ছিলাম না। ফলে পাঁচ দিনের ক্রিকেট খেলতে পারব কি না, নিশ্চিত ছিলাম না। ওই সময় খেলার মতো বোলার যে দলে ছিল, এটাই ভাল। আর সে জন্য আমি নিজেকে একশো শতাংশ ফিট করে তুলতে পেরেছি।’’ ইংল্যান্ডে চোট নিয়েই খেলেছিলেন বলে জানিয়ে ভুবনেশ্বর বলেন, ‘‘হাল্কা চোট থাকলেও পুরো ফিট হয়ে মাঠে নামা যায় না। ইংল্যান্ডে যা হয়েছিল। গত এক মাসে অনুশীলন করে নিজেকে ফিট করে তুলেছি। এখন ১৩০-১৩৫ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারছি। এটাই আসল কথা।’’

মঙ্গলবারের দ্বিতীয় ওয়ান ডে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক অ্যালেক্স ক্যারে বলেছেন, ‘‘ভারত যে ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করবে, তা জানি আমরা। তাই আমাদের কাল বুক চিতিয়ে লড়াই করতেই হবে। সে দিনের মতো ভাল পাররম্যান্স দেখাতে হবে। ভারতের বিরুদ্ধে এই সিরিজটা জেতা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’’ গত বছর ১৮টির মধ্যে মাত্র দু’টি ওয়ান ডে জেতার পরে এখন এমনই মনে হওয়া স্বাভাবিক অস্ট্রেলীয় সহ-অধিনায়কের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE