ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের ইনিংস কী শেষ হতে চলল ইস্টবেঙ্গলে?
রবিবার ম্যাচের পর ইস্টবেঙ্গল কোচ যেভাবে কর্তাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন, পিছন থেকে ছুরি মারার কথা বললেন তাতে স্পষ্ট আজ না হোক কাল তাঁকে কোচের পদ থেকে সরতে হচ্ছেই। তবে তিনি নিজে সরবেন না, কর্তারা সরাবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার বলে দিয়েছেন, ‘‘আর তিন ম্যাচ বাকি। ওকে এখন সরিয়ে লাভ কী? ও যদি নিজে সরে যেতে চায় তা হলে সেটা ওর বিষয়।’’ আর মর্গ্যান বলে দিয়েছেন, ‘‘পরের সপ্তাহে আমি কোচ না-ও থাকতে পারি। তবে সেটা নির্ভর করছে কর্তাদের উপর।’’
এ দিন ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ব্রিটিশ কোচ বোমা ফাটালেন, ‘‘আমাকে পরের তিনটি ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করছেন। ওগুলো সামনের সপ্তাহে করুন। তখন হয়তো অন্য কাউকে এটা করতে পারবেন।’’ এখানেই না থেমে তিনি বলেন, ‘‘গত এক সপ্তাহ ধরে যে ভাবে আমাকে অকেজো করার চেষ্টা হয়েছে তাতে ডার্বির প্রস্তুতির সঠিক পরিবেশ ক্লাবে ছিল না।’’ স্টেডিয়ামের বাইরে তখন শুরু হয়েছে লাল-হলুদ সমর্থকদের বিক্ষোভ। চলছে ‘মর্গ্যান গো ব্যাক’ বা ‘মর্গ্যান হঠাও ক্লাব বাঁচাও’-এর মতো স্লোগান। পুলিশ লাঠি চালিয়ে তা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও ক্ষিপ্ত লাল-হলুদ সমর্থকরা থামেননি।
সমর্থকদের বিক্ষোভকে পাত্তা না দিয়ে মর্গ্যান অবশ্য বলে দিলেন, ‘‘সারা বিশ্বেই সফল হতে না পারলে কোচকে পিছন থেকে ছুরি মারা হয়। সরিয়ে দেওয়া হয়। আমাকেও মারা হতে পারে। তবে এটুকু বলছি টিম গঠন-সহ অনেক কিছুই আমার পছন্দ মতো হয়নি। অনেক কিছুই হয়েছে আমার অমতে। আমাকে না জানিয়ে।’’ বাকি তিন ম্যাচে আপনি কি কোচিং করাবেন? ক্লাব কর্তারা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক করতে চাইলে আপনি রাজি হবেন কি? মর্গ্যানের উত্তর, ‘‘এখন যা পরিস্থিতি তাতে সব কিছুই নির্ভর করছে ক্লাব কর্তাদের উপর।’’
মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন তখন বলছেন, ‘‘গত বছর আই লিগের এই ম্যাচে এই স্টেডিয়ামের ঘরে বসে জেজের পেনাল্টি মিস দেখেছিলাম টিভিতে। টিমের হার দেখেছিলাম।’’ তবে খেতাব হাতের মুঠোয় বলতে রাজি নন তিনি। আইজল ৩০। মোহনবাগান একটা ম্যাচ কম খেলে ২৯। সঞ্জয় তবু সতর্ক হয়ে বলে দিলেন, ‘‘এ বার পাহাড়ে উঠতে হবে। পরের চারটি ম্যাচ ফাইনাল ধরে খেলব আমরা।’’ দুই কোচ, দুই পৃথিবী!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy