সমর্থক: স্বামী ডোডোর সঙ্গে ব্রাজিলের খেলায় মজে কেট। —নিজস্ব চিত্র।
সাম্বার দেশে জন্ম। তবে ফুটবল নিয়ে খুব একটা আগ্রহ ছিল না। এখন দূর দেশে বসে সেই ফুটবলেই যেন ঘরের মাটির গন্ধ পাচ্ছেন তিনি!
শ্বশুরবাড়িতে এসে আর পাঁচটা বিষয়ের মতো স্বামী চন্দন রায় ওরফে ডোডোর সঙ্গে ফুটবল-বোধও মিলে গিয়েছে শ্রীরামপুরের গোস্বামীপাড়ার কেট রেজিনা সিলভা ইয়ামাগুটির! ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে নেমারের দেশের মেয়ে কেটের দেশপ্রেম এখন ভাল রকমই উপভোগ করছেন ডোডো। তিনিও যে ঘোর ব্রাজিল সমর্থক। শ্বশুরবাড়িতে বসে কেট অবশ্য ব্রাজিল বাদেও সব দেশের খেলাই উপভোগ করছেন। কোনও খেলা সরাসরি দেখা না-হলে পরে চোখ রাখছেন কম্পিউটার বা মোবাইলের পর্দায়। সঙ্গে স্বামী এবং আট মাসের ছেলে ইতান ইয়ামাগুটি রায় ওরফে গোগোল।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে চন্দনের সঙ্গে আলাপ সাওপাওলোর মেয়েটির। প্রেমের টানে চলে এসেছিলেন শ্রীরামপুরে। একাই। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে হয়। কেট জানান, তাঁর বাবা রজার কিয়োজি ইয়ামাগুটি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। এখন তিনি ৬২। চাকরি থেকে অবসর নিলেও দিব্যি দাপিয়ে বেড়ান ফুটবল মাঠে। সপ্তাহে দু’দিন ভেটারেন্স ক্লাবের হয়ে মাঠে নামা চাই-ই। কেটের রসিকতা, ‘‘আমার তো মনে হয় যত দিন যাচ্ছে, বাবা ততই পরিণত ফুটবলার হয়ে উঠছেন।’’ ফুটবলের পোশাকে বাবার ছবিও দেখান কেট।
প্রিয় দলকে নিয়ে কেট বলছিলেন, ‘‘ব্রাজিলকে প্রথম ম্যাচে খেলতে দেখে আমাদের ওখানকার কথা মনে পড়ছিল। ফুটবল নিয়ে খুব উন্মাদনা ওখানে। জিততে পারলে আরও ভাল লাগত। আমি চাই, কাপটা আমরাই যেন পাই। সেটা হবে কিনা, তা অবশ্য এখনই বলা কঠিন।’’ তবে, নেমারের থেকে কেটের ঢের বেশি পছন্দ লিয়োনেল মেসিকে। শাশুড়ি রেখাদেবী ফুটবল না বুঝলেও বৌমাকে বলতে পারেন, ‘‘আজ তো তোদের দেশের খেলা। একটু নেচে নে।’’ গত দেড় বছরে বেশ কিছু বাংলা শব্দ শিখেছেন কেট। দিব্যি ভাত, ডাল, মাছের ঝোল, এঁচোড়ের তরকারি রাঁধতে পারেন। ফুটবল নিয়ে বঙ্গের ব্রাজিল-প্রীতির কথা শুনে অবাক তিনি। ফেসবুকে শ্রীরামপুরের মাহেশ কলোনির গলিতে ব্রাজিলের পতাকায় ছয়লাপের ছবি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন, ‘‘এ তো দেখছি পুরো সাওপাওলো! ওখানে এক দিন ঘুরে আসব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy