ধাক্কা: আজ জার্মানি হয়তো পাচ্ছে না হুমেলসকে। ফাইল চিত্র
একে প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কায় ক্ষতবিক্ষত জার্মানি। এর মধ্যে আবার সুইডেনের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে চোট-আতঙ্কও ঢুকে পড়ল ওয়াকিম লো-দের শিবিরে। যে কারণে শনিবারের ম্যাচে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন সেন্টার-ব্যাক ম্যাটস হুমেলস।
শুক্রবার প্রাক-ম্যাচ সাংবাদিক বৈঠকে ওয়াকিম লো জানিয়েছেন, অনুশীলনের সময় চোট পেয়েছেন হুমেলস। চোট গুরুতর না হলেও সুইডেন ম্যাচে সম্ভবত হুমেলসকে নামানোর ঝুঁকে নেবেন না লো।
রবিবার মেক্সিকোর কাছে হারের পরে গত বারের চ্যাম্পিয়নদের বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে শনিবার জিততেই হবে। কিন্তু হুমেলসের চোট নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে লোর। তিনি বলেছেন, ‘‘খুব সম্ভবত হুমেলস এই ম্যাচে নামতে পারবে না। ওর ঘাড়ে চোট লেগেছে। শুক্রবার তাই ও অনুশীলন করতে পারেনি। আমাদের হাতে এখনও কিছুটা সময় রয়েছে। দেখতে হবে সুইডেনের বিরুদ্ধে হাওয়ায় বল দখলের লড়াইয়ে পাল্লা দেওয়ার মতো কে রয়েছে দলে। ঠিক এই কারণেই হয়তো হুমেলসকে ম্যাচে নামানোর ঝুঁকি নেওয়া হবে না।’’ অবশ্য হুমেলস ছাড়া আর কোনও চোট-আঘাতের সমস্যা নেই জার্মান শিবিরে। শনিবার থোমাস মুলাররা এমন একটা দলের মুখোমুখি হচ্ছে যারা গত ৪০ বছরে জার্মানিকে হারাতে পারেনি। কিন্তু প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কায় এতটাই বেসামাল জার্মান শিবির যে সুইডেনকেও প্রবল গুরুত্ব দিতে হচ্ছে ২০১৪ বিশ্বকাপ সেরাদের। কিন্তু সুইডেন শিবিরেও তিন ফুটবলারের চোট ও অসুস্থতার সমস্যা রয়েছে। যে দল নিয়ে তারা দক্ষিণ কোরিয়াকে এক গোলে হারিয়েছিল, সেই দল নিয়ে সুইডিশদের নামার সম্ভাবনা কম।
জার্মান কোচ লো বলছেন, ‘‘আমাদের সব চেয়ে বড় দুটো অস্ত্র চনমনে থাকা আর শরীরী ভাষা। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে আমরা চেনা জার্মান দলকে দেখতে পাইনি। এই পর্যায়ের ফুটবলে যে রকম খেলা উচিত ছিল সেটাও দেখা যায়নি। বিশ্বকাপ মানেই আবেগ এবং সর্বস্ব উজাড় করে দেওয়া।’’
মেক্সিকো ম্যাচের বিপর্যয়ের পর থেকেই জার্মান মিডিয়ায় জল্পনা চলছে লো দলের কোন ফুটবলারদের বসাতে পারেন প্রথম একাদশ থেকে। জার্মান কোচ নিজে অবশ্য এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। তিনি বলে এসেছেন দলের সেরা ফুটবলারদের উপর তাঁর আস্থা রয়েছে। ‘‘তিন–চার বছর ধরে যারা সেরা ফুটবলটা খেলে আসছে একটা ম্যাচের ফলাফল দেখে তাদের উপর বিশ্বাস হারাচ্ছি না। একটা ম্যাচে হয়তো আমরা ভাল খেলতে পারিনি। কিন্তু এই ফুটবলাররা বছরের পর বছর ধারাবাহিকতা দেখিয়ে আসছে। তাই একটা ম্যাচের পরেই এই ফুটবলারদের নিয়ে প্রশ্ন তুলব কেন?’’
লো-র মতে, জার্মানির পুরো খেলার ধরন নিয়েই প্রশ্ন না তুলে কয়েকটা জায়গায় ‘সংশোধন’ করতে হবে। এবং সতর্ক থাকতে হবে মেক্সিকো ম্যাচের ভুলগুলো যেন দ্বিতীয় বার না হয়। ‘‘অবশ্যই আমাদের খেলার স্টাইল নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়। আমরা যদি নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী খেলতে পারি তা হলে রক্ষণের দিক থেকে শক্তিশালী দলগুলোর বিরুদ্ধেও আমরা ভাল ফল করতে পারব। শনিবার আমাদের এমন ফুটবলার চাই, যারা দ্রুত গতিতে ঢুকে বিপক্ষের রক্ষণে সমস্যা তৈরি পারবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy