Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
গেমসে বাংলার পতাকাবাহক জয়দীপ

পদক আনতে অর্থের টোপ

‘দেশের অলিম্পিক’ বলে পরিচিত জাতীয় গেমসের মঞ্চে বাংলার হাল বেশ খারাপ। রাজ্য র্যাঙ্কিংয়ে নামতে নামতে উনিশ নম্বরে। এই অবস্থায় ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা কেরল জাতীয় গেমসের আগে অন্য রাজ্যের মতো বাংলাও পুরস্কার অর্থ ঘোষণা করেছে ক্রীড়াবিদদের বাড়তি উদ্দীপ্ত করার আশায়। সোনা পেলে পাঁচ লাখ, রুপো জিতলে তিন লাখ এবং ব্রোঞ্জ জয়ী পাবেন দু’লাখ টাকা। যে প্রলোভন দেখিয়ে এত দিন হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড বা কেরল বাংলার প্লেয়ার নিয়ে যেত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:১১
Share: Save:

‘দেশের অলিম্পিক’ বলে পরিচিত জাতীয় গেমসের মঞ্চে বাংলার হাল বেশ খারাপ। রাজ্য র্যাঙ্কিংয়ে নামতে নামতে উনিশ নম্বরে। এই অবস্থায় ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা কেরল জাতীয় গেমসের আগে অন্য রাজ্যের মতো বাংলাও পুরস্কার অর্থ ঘোষণা করেছে ক্রীড়াবিদদের বাড়তি উদ্দীপ্ত করার আশায়।

সোনা পেলে পাঁচ লাখ, রুপো জিতলে তিন লাখ এবং ব্রোঞ্জ জয়ী পাবেন দু’লাখ টাকা। যে প্রলোভন দেখিয়ে এত দিন হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড বা কেরল বাংলার প্লেয়ার নিয়ে যেত। আশা করা হচ্ছে, এতে জাতীয় গেমসে বাংলার পারফরম্যান্সে উন্নতি হবে। পুরস্কার অর্থের টানে বাংলা ছাড়তে চেয়েও শেষ পর্যন্ত থেকে গিয়েছেন সুস্মিতা সিংহ রায়, স্বপ্না বর্মনরা। নিট ফল, জাতীয় গেমসগামী বাংলা দলে বহুদিন পর তারকাদের ছড়াছড়ি।

জানুয়ারির শেষ দিন শুরু হয়ে জাতীয় গেমস চলবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাংলার পতাকা বাহক শ্যুটার জয়দীপ কর্মকার। সোমবার ছিল বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থার কিট দেওয়ার অনুষ্ঠান। সেখানেই এ কথা ঘোষণা করা হয়। টেবল টেনিসের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মৌমা দাসের সঙ্গে পৌলমী ঘটক, অঙ্কিতা দাস, শুভজিত্‌ সাহাদের সঙ্গে যাচ্ছেন শ্যুটিংয়ের কুহেলি গঙ্গোপাধ্যায়, মাম্পি দাসরা। সাঁতারের সনু দেবনাথ, সুপ্রিয় মণ্ডলদের সঙ্গে জিমন্যাস্টিক্সের প্রণতি দাস, পার্থ মণ্ডলরাও রয়েছেন ৪২৮ জনের টিমে। বিওএ সচিব চন্দন রায়চৌধুরী বলেন, “যা টিম যাচ্ছে তাতে দশ নম্বরে উঠে আসতে পারে বাংলা। এ বছরই দশ দিনের শিবির হয়েছে সব খেলার।”

২৯টি খেলার মধ্যে ২০টি খেলায় বাংলা অংশ নিচ্ছে। সোনা আনতে পারে টিটি, সাঁতার, শ্যুটিং, ফুটবল। বিওএ কর্তারা সেরা দল পাঠানোর চেষ্টা করলেও বিভিন্ন ছোট খেলার সংস্থা অবশ্য গোষ্ঠী দ্বন্দে জর্জরিত। কর্তাদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলার প্রভাব পড়েছে দল নির্বাচনে। ফলে অনেক সেরা খেলোয়াড়েরই জায়গা হয়নি বাংলা দলে। যে অভিযোগ শুনেছেন ক্রীড়া দতরের দায়িত্বে থাকা যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। জেলে থাকা ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের জায়গায় আপাতত ক্রীড়া দফতর দেখছেন তিনি। এ দিন অরুপ স্বীকারও করে নিয়েছেন বিভিন্ন রাজ্য সংস্থার একাধিক কমিটির কথা। “বাংলার স্বার্থ সবার আগে। সবাই এক হয়ে না চললে পরের বার সরাসরি খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে টিম হবে।” অস্থায়ী ক্রীড়ামন্ত্রী যখন এ সব বলছেন তখন তাঁর পাশে বসে ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে পদ আঁকড়ে থাকা একাধিক ক্রীড়াসংস্থার কর্তারা। যাঁদের জন্য সংস্থাগুলোয় এত ঝামেলা!

বাংলাকে সোনা দিতে পারেন যাঁরা

• অ্যাথলেটিক্স সুস্মিতা সিংহরায়, স্বপ্না বর্মন।

• শ্যুটিং জয়দীপ কর্মকার, কুহেলি গঙ্গোপাধ্যায়, মাম্পি দাস।

• টেবল টেনিস মৌমা দাস, পৌলমী ঘটক, অঙ্কিতা দাস, শুভজিত্‌ সাহা।

• সাঁতার সনু দেবনাথ।

• ফুটবল টিম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

olympic games bengal joydip
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE