Advertisement
E-Paper

ঋদ্ধি-ঝড়ে বাংলা সুপার লিগে

শনিবার কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে বাংলার সামনে লক্ষ্য ছিল জয়। কারণ, এই ম্যাচে হেরে গেলে তাদের হরিয়ানা-কর্নাটক ম্যাচের ফলের উপর নির্ভর করতে হত। হরিয়ানা জিতলে রান রেটের বিচারে ভাগ্য নির্ধারণ হত দুই দলের। কিন্তু হরিয়ানা এ দিন কর্নাটকের কাছে হারার আগেই বাংলা ওড়িশাকে আট উইকেটে হারিয়ে দেয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯ ০৪:২৪
৩১ বলে ৫২ রান করতে পাঁচটি চার ও তিনটি ছয় মারেন ঋদ্ধিমান সাহা।—ফাইল চিত্র।

৩১ বলে ৫২ রান করতে পাঁচটি চার ও তিনটি ছয় মারেন ঋদ্ধিমান সাহা।—ফাইল চিত্র।

ওড়িশাকে সহজেই হারিয়ে মুস্তাক আলি ট্রফির সুপার লিগে উঠে পড়ল বাংলা। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ রেলওয়েজ, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও গুজরাত। এই দলগুলিকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার চ্যালেঞ্জ মনোজ তিওয়ারিদের সামনে।

শনিবার কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে বাংলার সামনে লক্ষ্য ছিল জয়। কারণ, এই ম্যাচে হেরে গেলে তাদের হরিয়ানা-কর্নাটক ম্যাচের ফলের উপর নির্ভর করতে হত। হরিয়ানা জিতলে রান রেটের বিচারে ভাগ্য নির্ধারণ হত দুই দলের। কিন্তু হরিয়ানা এ দিন কর্নাটকের কাছে হারার আগেই বাংলা ওড়িশাকে আট উইকেটে হারিয়ে দেয়। ঋদ্ধিমান সাহা ফের ব্যাটে ঝড় তুলে হাফসেঞ্চুরি করেন ও দলকে আট উইকেটে জেতান। তাই অঙ্কের হিসেবের প্রয়োজন আর হয়নি।

বাংলা হরিয়ানার চেয়ে বেশি (২০) পয়েন্ট নিয়েই সুপার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ‘ডি’ গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা হিসেবে পরের রাউন্ডে গেলেন মনোজেরা। কর্নাটক সব ম্যাচ জিতে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে গেল। ৮ থেকে ১২ মার্চ— এই পাঁচ দিনে ইনদওরে সুপার লিগের চারটি ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাকে। প্রাথমিক পর্বে পাঁচটি গ্রুপের সেরা দু’টি করে দল সুপার লিগে উঠেছে। এই দশটি দলকে দু’টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ গ্রুপে বাংলার সঙ্গে আরও যে চারটি দল রয়েছে, তাদের মধ্যে তিনটি প্রাথমিক পর্বে গ্রুপের সেরা হয়ে উঠেছে ও একটি দল (গুজরাত) তাদের গ্রুপে দ্বিতীয় হয়।

বৃহস্পতিবার যে দল নিয়ে ছত্তীসগঢ়কে হারিয়েছিল বাংলা, শনিবার বরাবাটিতে সেই দল নিয়েই নামে তারা। অর্থাৎ তিন পেসার ও এক পেসার-অলরাউন্ডারই ছিলেন এ দিন বাংলার আক্রমণ ভাগের মূল অস্ত্র। আর তাঁরাই ওড়িশাকে কুড়ি ওভারে মাত্র ১০৮-৯-এর মধ্যে বেঁধে রাখেন। ঈশান পোড়েল তিন উইকেট নেন। অশোক ডিন্ডা ও অয়ন ভট্টাচার্য দু’টি করে উইকেট পান। পেসার সায়ন ঘোষ একটি উইকেট নেন। শুরুতেই ঈশান, অয়ন ও সায়ন বিপক্ষের ব্যাটিংয়ে ধাক্কা দেন প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে ৫৫ রানের মধ্যে ফিরিয়ে। ঈশান ও ডিন্ডার লক্ষ্য হন মাঝের ও শেষের ব্যাটসম্যানরা। যে লক্ষ্যে তাঁরা সফলও হন। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে ঋদ্ধিমান সাহা ফের এ দিন ব্যাটে ঝড় তোলেন। ৩১ বলে ৫২ রান করতে পাঁচটি চার ও তিনটি ছয় মারেন তিনি। অভিমন্যু ঈশ্বরনের (৩১ বলে অপরাজিত ৩৩) সঙ্গে ৭৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। বাংলার উইকেটকিপার যখন ফিরে যান, তখন বাংলা লক্ষ্য থেকে মাত্র সাত রান দূরে।

সুপার লিগে উঠে বাংলার সামনে এ বার কড়া চ্যালেঞ্জ। তবে তা নিয়ে বেশি ভাবছেন না অধিনায়ক মনোজ। বলেন, ‘‘ঈশান ও অয়ন ধারাবাহিক ভাবে ভাল বোলিং করে চলেছে। গত দুই ম্যাচে ব্যাটসম্যানরাও যথেষ্ট ভাল ফর্মে রয়েছে। সব চেয়ে বড় কথা, ঠিক সময়ে ঋদ্ধিমান ফর্ম ফিরে পেয়েছে। দল হিসেবে ভালই খেলছি।’’ সুপার লিগের চ্যালেঞ্জ নিয়ে মনোজ বলেন, ‘‘পরের পর্বে লড়াই কঠিন হওয়াই স্বাভাবিক। আমরাও প্রস্তুত হয়েই ইনদওর যাব।’’

সুপার লিগে বাংলার খেলা: ৮ মার্চ- বনাম রেলওয়েজ, ৯ মার্চ- বনাম মহারাষ্ট্র, ১০ মার্চ- বনাম ঝাড়খণ্ড, ১২ মার্চ- বনাম গুজরাত।

Cricket Bengal Wriddhiman Saha Syed Mushtaq Ali Trophy 2019
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy