বুধবারের বৃষ্টিভেজা ইনদওরের মাঠ। -পিটিআই
তাঁর তৈরি উইকেটেই ওয়ান ডে-তে সচিন তেন্ডুলকরের দুশো।
বীরেন্দ্র সহবাগের ওয়ান ডে ডাবলও তাঁর বাইশ গজেই।
সেই সমুন্দর সিংহ চৌহানের তৈরি বাইশ গজেই ঠিক হবে ভারত ৩-০ সিরিজ জিতবে কি না।
সমুন্দর ইনদওরের হোলকার স্টেডিয়ামের কিউরেটর। গ্বালিয়রে সমুন্দরের তৈরি উইকেটে সচিনের ব্যাটে যেমন রান-সমুদ্র বয়েছিল, এখানেও কি তেমনই কিছু হবে? যেমন এখানেই ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ?
বুধবার বিকেলে কলকাতা থেকে উড়ে ভারতীয় দল তখন আকাশে। কোহালিরা ইনদওরে নামার আগে সেখান থেকে ফোনে সমুন্দর বলেন, ‘‘সচিন তেন্ডুলকরের সেরা দিনে উইকেট কেমন হল, সেটা মোটেই বড় কথা নয়। তবে সেটা ছিল গ্বালিয়র, এটা ইনদওর। ওখানকার মতোই উইকেট যে এখানে হবে, তার কোনও মানে নেই।’’
ইডেনে চেনা উইকেট দেখা যায়নি। বৃষ্টি ও আর্দ্র আবহাওয়ায় চরিত্রটাই পাল্টে গিয়েছিল ইডেন-উইকেটের। ইনদওরেও তেমনই আবহাওয়া। বুধবারও সারা দিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানালেন সমন্দর। বললেন, ‘‘বৃষ্টি তো হয়েই চলেছে। তবে আমরা সারা মাঠ ঢেকে রেখেছি।’’ আর উইকেট? ইডেনের মতো ? উত্তর এল, ‘‘ইডেনে তো নতুন উইকেট। এখানে তো আর তা নয়। চরিত্রটা পাল্টে যাবে না। এখানে এমনিতেই স্পোর্টিং উইকেট হয়। ব্ল্যাক ক্লে দিয়ে তৈরি (যা ই়ডেনেও ছিল)। বাউন্স থাকবে। পেসও থাকবে। পরের দিকে স্পিনাররা টার্নও পাবে। আর ব্যাটসম্যানরা রানও পাবে।’’ তার মানে র্যাঙ্ক টার্নার বানিয়ে বিদেশিদের জব্দ করার দিন শেষ? সিকে নাইডু-র শহরের মাঠের পিচ-অভিভাবক বললেন, ‘‘আমার কাছে এমন উইকেট বানানোর কোনও নির্দেশ আসেনি। বরং এ বার রঞ্জি ট্রফিতে যেহেতু নিউট্রাল ভেনু, তাই স্পোর্টিং উইকেটই বানানোর চেষ্টা করেছি। এই মাঠে দুটো লাল মাটির উইকেটও আছে। মহারাষ্ট্রে যে রকম দেখা যায়। আমাদের রঞ্জি দলকে যদি ওখানে খেলতে হত, সেই ভেবে করা।’’
গন্তব্য ইনদওর। তৃতীয় টেস্ট খেলতে চললেন ঋদ্ধিমান-কোহালি। বুধবার। -শঙ্কর নাগ দাস
বুধবার রাতে শহরে ঢুকে পড়লেন বিরাট কোহালি ও তাঁর দল। অভ্যর্থনায় অভিভূত রবিচন্দ্রন অশ্বিন সেখানে পৌঁছে সেলফি টুইট করে দিয়ে লিখলেন, ‘‘এ বার টেস্ট ক্রিকেট ইনদওরে। আর আশা করি দারুণ ম্যাচ হবে। কী অসাধারণ অভ্যর্থনা পেলাম!’’ কিউরেটরের কাছে যদিও তাঁর জন্য ভাল খবর নেই।
এ দিকে আবার নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার ওয়ান ডে টিম বাছাই করতে বসছেন নির্বাচকরা। দলে তেমন কোনও চমক থাকার সম্ভাবনা কম। নজর থাকবে যুবরাজ সিংহ আবার ওয়ান ডে টিমে ফিরে আসতে পারেন কি না। কে এল রাহুল, শিখর ধবনদের চোট থাকায় কর্নাটক ওপেনার ময়ঙ্ক অগ্রবালের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়তে পারে। দলে মণীশ পাণ্ডের জায়গা হয়তো থাকবে। বারিন্দার স্রান, জসপ্রীত বুমরাদেরও থাকার সম্ভাবনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy