Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

সুফিয়া ঢাকায়, দৌড় ভোলেনি সাদিখাঁর দিয়াড়

লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলোর জন্য জেলায় বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিল সুফিয়াদের স্কুল।

শেখ হাসিনা পুরস্কৃত করছেন সুফিয়াকে। ফাইল চিত্র

শেখ হাসিনা পুরস্কৃত করছেন সুফিয়াকে। ফাইল চিত্র

সুজাউদ্দিন বিশ্বাস
ডোমকল শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ০২:১৯
Share: Save:

প্রায় সত্তর ছুঁইছুঁই বয়স। তবে বার্ধ্যক্য তাঁকে কাবু করতে পারেনি। এখনও বাংলাদেশের ঢাকার একটি বেসরকারি স্কুলের তিনি ক্রীড়া শিক্ষক। মুর্শিদাবাদের ভূমি-কন্যা সুফিয়া খাতুন প্রথম জীবনে এ রাজ্য এবং পরবর্তী কালে পূর্ব পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের হয়ে খেলাধুলোর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ থেকে ফোনে সুফিয়া বললেন, ‘‘বিয়ের পর আমি বাংলাদেশে চলে আসি। এখানে এসে প্রথমে পূর্ব পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। অলিম্পিক্সেও গিয়েছি।

জলঙ্গির সাদিখাঁর দিয়াড়ে জন্ম সুফিয়ার। ছোট থেকেই অ্যাথলেটিক্সে পারদর্শী ছিলেন তিনি। সাদিখাঁডর দিয়াড়ে সুফিয়াকে যাঁরা সেই সময় দেখেছিলেন, তাঁদের অনেকেই বললেন, স্কুলের প্রতিযোগিতায় কখনও দ্বিতীয় হননি তিনি।

লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলোর জন্য জেলায় বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিল সুফিয়াদের স্কুল। একের পর এক প্রতিযোগিতায় গিয়ে প্রথম পুরস্কার ছিনিয়ে আনতেন সুফিয়া। স্থানীয় বাসিন্দা মোশারফ হোসেন এদিন বলছিলেন, ‘‘কী দৌড়ত মেয়েটা। ১০০ মিটার দৌড়ে চোখের পলকে ওপ্রান্তে পৌঁছে যেত সুফিয়া। ছোট থেকেই ও প্রতিভাময়ী ছিল।’’ চণ্ডীগড়ে আন্ত-স্কুল ক্রীড়ায় তাঁর দৌড় এখনও মনে আছে অনেকের। বিয়ের পর সুফিয়া তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চলে যান। সেখানে রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি শুরু হয় খেলাধুলোর চর্চা। তারপর বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় তিনি বহু পদক জিতেছেন। সুফিয়া বললেন, ‘‘ঢাকার একটি আন্তর্জাতিক মানের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে আমি গেমস টিচার। এখনও নিয়মিত শরীরচর্চা করি। অ্যাথলেটিক্স আমার বাঁচার রসদ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sports Athlete
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE