অঘটন প্রায় ঘটিয়েই ফেলেছিলেন বিশ্বের ন’নম্বর ফেলিক্স অগার আলিয়াসিমে। দ্বিতীয় বাছাই দানিল মেদভেদেভের বিরুদ্ধে তিনি ম্যাচ পয়েন্টেও পৌঁছে গিয়েছিলেন। রুশ খেলোয়াড় প্রথম দু’সেটে হেরে অস্ট্রেলীয় ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার মুখে চলে যান। কিন্তু দুরন্ত ভাবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪ ঘণ্টা ৪২ মিনিটের লড়াইয়ে পাঁচ সেটে তিনি হারান কানাডার তরুণকে। ফল ৬-৭ (৪-৭), ৩-৬, ৭-৬ (৭-২), ৭-৫, ৬-৪। আর জিতে উঠেই তিনি বলে দিলেন, নোভাক জোকোভিচের কথা ভেবেই তিনি পাল্টা লড়াইয়ের শক্তি পান।
এ বছর অস্ট্রেলীয় ওপেনে মেদভেদেভই প্রথম খেলোয়াড়, যিনি দু’সেটে পিছিয়ে গিয়েও ঘুরে দাঁড়ালেন। জেতার পরে প্রাক্তন বিশ্বসেরা জিম কুরিয়রকে কোর্টে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রুশ তারকা বলেছেন, ‘‘আমি নিজের সেরা টেনিস খেলতে পারছিলাম না। ফেলিক্স অন্যদিকে দুরন্ত খেলছিল। সেই সময় কী করব বুঝতে পারছিলাম না। জানি না সবাই এটা পছন্দ করবে কি না, তবে ওই সময়ে ভাবছিলাম নোভাক এই জায়গায় থাকলে এখন কী করত?’’ এ কথা বলার পরেই মেলবোর্ন পার্কের দর্শকরা ব্যঙ্গ করতে শুরু করেন তাঁকে। প্রতিষেধক না নেওয়ার জন্য বিশ্বের এক নম্বর জোকোভিচ অস্ট্রেলীয় ওপেনে খেলতে পারেননি। তাঁকে দেশে ফিরে যেতে হয় বাধ্য হয়ে।
শেষ চারে তাঁর সামনে স্টেফানোস চিচিপাস। যিনি গ্র্যান্ড স্ল্যাম কোয়ার্টার ফাইনালে নিজের নিখুঁত রেকর্ড বজায় রেখে অস্ট্রেলীয় ওপেনের সেমিফাইনালে উঠলেন। তিনি হারান একাদশ বাছাই ইটালির ইয়ানিক সিনারকে। ফল ৬-৩, ৬-৪, ৬-২। বিশ্বের চার নম্বর ২৩ বছর বয়সি, গ্রিসের তারকা গ্র্যান্ড স্ল্যামের এই পর্যায়ে নেমে নিজের রেকর্ড উন্নত করলেন ৫-০। অর্থাৎ পাঁচটি কোয়ার্টার ফাইনালে পাঁচবারই জিতলেন তিনি। তবে সেমিফাইনালে তিনি এক বারই সফল হয়েছেন। গত বার ফরাসি ওপেনে। হেরেছেন তিন বার।