চনমনে: রোলঁ গ্যারোজে অনুশীলনের ফাঁকে জোকোভিচ। রয়টার্স
প্রতি বছর এই প্রশ্নটা খুব বড় করে দেখা দেয়। গত বছর যদি প্রশ্ন ওঠে, রাফায়েল নাদাল কি ১১ বার ফরাসি ওপেন খেতাব জিতছেন? তা হলে এ বার প্রশ্ন উঠছে, নাদাল কি তা হলে ওর ১২তম খেতাব জিততে চলেছেন?
আমার মতে, গত দু’বছর যেমন নাদাল সহজেই এই ফরাসি ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, এ বার ওর চ্যাম্পিয়ন হওয়া অতটা সহজ হবে না। একে তো ওর বয়স হয়েছে। তার উপর রোমে জেতা ছাড়া এ মরসুমে ক্লে কোর্টের প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েক বার হেরেছে। তিনটি সেমিফাইনালে ওর হারের পরে অন্য টেনিস খেলোয়াড়দের মাথাতেও এটা ঢুকেছে, নাদাল অপরাজেয় নয়। ফলে তারা অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে খেলবে নাদালের বিরুদ্ধে। তাই এ বারের ফরাসি ওপেন কিন্তু একপেশে হবে না।
প্রতিযোগিতার দিকে তাকিয়ে আমি বরং নাদালের চেয়েও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে কয়েক ধাপ এগিয়ে রাখব নোভাক জকোভিচকে। ২০১৬ সালে জকোভিচ যে রকম দাপটের সঙ্গে টেনিস খেলত, এ বারও সে রকম ভাবেই টেনিস খেলছে। সেই বছরের মতোই ফরাসি ওপেনের ট্রফিটা ও জিততেই পারে। টেনিস নিয়ে ওর মনঃসংযোগ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। টেনিসটাকে ভাল মতো উপভোগ করছে ও। সঙ্গে ফিটনেসটাও ভাল মতো ধরে রেখেছে।
এ বারের প্রতিযোগিতায় আরও যে সব সম্ভাব্য জয়ীদের কথা মনে আসছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, গত বছরের ফাইনালিস্ট দমিনিক থিম। সঙ্গে রাখতে হবে গ্রিসের স্তেফানোস চিচিপাসকেও। থিম হারিয়েছে নাদালকে এবং বার্সেলোনাতেও ভাল খেলেছে। অন্য দিকে, ২০ বছরের চিচিপাস নাদালকে মাদ্রিদে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে।
এর সঙ্গে রোলঁ গ্যারোজের এ বারের অন্যতম সেরা খবর, বহু বছর পরে রজার ফেডেরারের আগমন হচ্ছে ফরাসি ওপেনে। রজার টেনিস খেলাটা এখনও চুটিয়ে উপভোগ করছে। দর্শকদেরও অন্যতম প্রিয় চরিত্র রজার। তবে আমার মতে, এই প্রতিযোগিতায় ফেভারিটদের মধ্যে রজার থাকবে না। তবে দর্শকদের আনন্দ ও দুরন্ত টেনিস উপহার
দেবে নিশ্চয়ই।
পাশাপাশি, টেনিস দুনিয়ায় এই মুহূর্তে বড় খবর নিকোলাস কিরিয়স। গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করছে আগামী দিনে কিরিয়সের প্রতিভার স্ফুরণ দেখার জন্য। কিন্তু তার জন্য ওকে মাথা শান্ত রাখতে হবে। সম্প্রতি জোকোভিচের বিরুদ্ধে ওর রেগে যাওয়া মোটেই কাম্য নয়। এতে ওরই খেলার ক্ষতি হবে।
পুরুষদের মতো মহিলাদের প্রতিযোগিতাতেও যে কেউ জিততে পারে। এই মুহূর্তে সিমোনা হালেপ ছন্দে রয়েছে। মানসিক ভাবে ও খুব তরতাজাও। নেয়োমি ওসাকা কোচিং দলটাকেই পরিবর্তন করেছে। তবে অস্ট্রেলিয়া ওপেন বা যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের সময় যে রকম ছন্দে ও ছিল, এখন সে রকম খেলতে পারছে না। সেরেনা উইলিয়ামসও এই মুহূর্তে বিধ্বংসী ফর্মে নেই। অন্যদের মধ্যে কিকি বার্টেন্স ও বেলিন্দা বেনচিচকেও নজরে রাখতে হবে। মার্টিনা হিঙ্গিসের পরে বেনচিচ সুইৎজারল্যান্ড থেকে সাড়া জাগিয়েছে আন্তর্জাতিক টেনিস দুনিয়ায়। সব শেষে স্লোয়ান স্টিফেন্স। নিজের দিনে অঘটন ঘটাতে পারে এই মার্কিন টেনিস খেলোয়াড়। (গেমপ্ল্যান)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy