কয়েক সপ্তাহ আগেও মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে যে সংশয়টা ছিল, তা যে একেবারেই কেটে গিয়েছে, তা স্বীকার করতেই হচ্ছে।
যে ধোনিকে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজে ও ত্রিদেশীয় সিরিজে দেখা গিয়েছিল, সেই ধোনির সঙ্গে বিশ্বকাপে ভারতীয় অধিনায়কের যে অনেকটাই পার্থক্য, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপের আগে ওই দুই সিরিজে ধোনির ফিল্ডিং সাজানো, বোলার বদল দেখে মনে হচ্ছিল কেমন যেন একটা গা ছাড়া ভাব ওর মধ্যে।
কিন্তু বিশ্বকাপে এসে এই ধোনিই যখন সম্পুর্ণ বদলে গেল, তখন তা অবাক করার মতো বইকী। হ্যামিল্টনের ম্যাচ দেখার পর নিশ্চিত হলাম, ধোনি এখন পুরোপুরি ‘আ ম্যান কমপ্লিটলি ইন কন্ট্রোল’। তার পর শনিবার যে ইনিংসটা খেলল ও আর রায়না, তার জবাব নেই। ক্যাপ্টেনস নক যাকে বলে আক্ষরিক অর্থে সেটাই। আর রায়নাকে যে ভাবে সমানে আগলে রেখে ও গাইড করে এই পরিস্থিতিতে ওর কাছ থেকে অসাধারণ একটা সেঞ্চুরি বার করে নিল, সত্যি বলছি, তা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ক্যাপ্টেনের এ রকম হওয়া উচিত। ভারত বিশ্বকাপ জিততে পারবে কি না, পরের কথা। কিন্তু ধোনির এই বিশ্বকাপে ফুল মার্কস পাওয়া হয়ে গিয়েছে বোধহয়।
আগেও বলেছি, আবার বলছি। বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত যে দুটো দল ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলে আসছে। নিউজিল্যান্ড ও ভারত। ভারতের যা পারফরম্যান্স, তার সঙ্গে একমাত্র কিউয়িদের পারফরম্যান্সেরই তুলনা করা যায়। চাপের মুখে পড়েও যে ম্যাচ বের করার ক্ষমতা রাখে, ম্যাকালামরা, সে দিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আবার শনিবার জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রায় সে ভাবেই একই ক্ষমতার কথা ধোনিরা বুঝিয়ে দিল সারা ক্রিকেটবিশ্বকে।
তবু বলব যে নিউজিল্যান্ডের উচ্চতায় এখনও পৌঁছতে পারেনি ভারত। সেমিফাইনালে যদি ওদের সামনে অস্ট্রেলিয়া পড়ে এবং অজিদের ওরা যদি হারাতে পারে, তা হলেই তা বলা যাবে। এবং তখনই ওদের বিশ্বকাপের দাবিদার বলব। দুঃখিত, তার আগে এখনও তেমন কিছু বলতে পারছি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy