ধরাশায়ী গোলরক্ষক। গোল করলেন আরানগুইজ। ছবি: রয়টার্স।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চিলির নামের পাশে ছিল ‘কালো ঘোড়ার’ তকমাটা ছিল। শুক্রবার রাতে বলিভিয়াকে ৫-০ উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে চিলি দেখিয়ে দিল শুধু কালো ঘোড়া হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চায় না তারা।
শুরুর থেকেই ‘অল আউট আক্রমণে যায় চিলি। ৩ মিনিটে ভারগাসের পাসে আরানগুইজ গোল করেন। দ্রুত গতির পাসিং ফুটবলের সঙ্গে ডিরেক্ট ফুটবলটা মিশিয়ে দিচ্ছিল চিলি। ভারগাস-সাঞ্চেজ-ভিদালরা প্রতি মুহূর্তেই নাজেহাল করতে থাকেন বলিভিয়া রক্ষণ। গত মরসুমে আর্সেনালের হয়ে অনেক ম্যাচ একার হাতেই জিতিয়েছিলেন সাঞ্চেজ। দেশের জার্সিতেও তিনি সমান বিধ্বংসী ফর্মে। সাঞ্চেজের একটা ফ্রি-কিক পোস্টে লাগলেও বিরতির আগে ব্যবধান বাড়ান তিনিই। ভালদিভিয়ার সঙ্গে ওয়াল খেলে সাঞ্চেজের হেড চিলিকে ২-০ এগিয়ে দেয়। আরও গোল পেতেই পারত চিলি। তবে ভারগাসের নেওয়া শট একটুর জন্য পোস্ট ঘেঁষে বাইরে বেরিয়ে যায়।
আর্জেন্তিনা-ব্রাজিলের মতো দলগুলে যেখানে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে, সেখানে চিলি আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিচ্ছে। কোপা আমেরিকার গায়ে ‘বোরিং’ টুর্নামেন্টের দাগটা একার হাতেই মুছে দিচ্ছে তারা।
সংগঠক দেশ হিসাবে এমনিতেই চিলির সান্তিয়াগো পুরোপুরি ছিল দলের পাশে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়া ভিদালের জন্য সমর্থকরা বড় প্ল্যাকার্ডও নিয়ে আসে— ‘আমরা তোমার সঙ্গে আছি ভিদাল।’ যদিও বিরতির পরেই ভিদাল-সাঞ্চেজকে তুলে নেওয়া হয়। তাতেও ছবি পাল্টায় না। দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের পর আক্রমণ করতে থাকে চিলি। এনরিকের পাসে আরানগুইজ নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটা করেন। কিছুক্ষণ পরে সেই ভালদিভিয়ার ক্রসেই মেদেলের লব গিয়ে জালে জরায়। চিলি এগোয় ৪-০। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে রালদেসের আত্মঘাতী গোলে শেষমেশ স্কোরলাইন ৫-০ হয়। গ্রুপ এ-র শীর্ষে থেকেই কোয়ার্টারে পৌঁছল চিলি। আবার লজ্জার হারের পরেও ৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ আটে বলিভিয়াও। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে কোনও দিন চ্যাম্পিয়ন হয়নি চিলি। এ রকম ফুটবল খেললে হয়ত দেশের মাটিতেই সেই পরিসংখ্যান পাল্টে দেবেন সাঞ্চেজরা।
অন্য ম্যাচে ইকুয়েডরের কাছে ১-২ হেরে কোপা থেকে ছিটকে গেল মেক্সিকো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy