Advertisement
০৪ মে ২০২৪

এক নম্বরকে বাদ দিয়ে দলে ন’নম্বর, রাজ্যে তুঙ্গে টিটি বিতর্ক

দেশের দু’নম্বর। রাজ্যের টেবল টেনিসে এক নম্বর খেলোয়াড়। বোর্ডে ব্যাট হাতে নামলে বাংলার হয়ে সোনা জয় নিশ্চিত। সেই খেলোয়াড়কেই টিম থেকে বাদ দিয়ে ঢোকানো হল র‌্যাঙ্কিংয়ে নয় নম্বরে থাকা খেলোয়াড়কে।

প্রাপ্তি সেন।

প্রাপ্তি সেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৪:০৩
Share: Save:

দেশের দু’নম্বর। রাজ্যের টেবল টেনিসে এক নম্বর খেলোয়াড়। বোর্ডে ব্যাট হাতে নামলে বাংলার হয়ে সোনা জয় নিশ্চিত। সেই খেলোয়াড়কেই টিম থেকে বাদ দিয়ে ঢোকানো হল র‌্যাঙ্কিংয়ে নয় নম্বরে থাকা খেলোয়াড়কে। পাঁচ, ছয়, সাত, আটকে টপকে। সেই নির্বাচনের জন্য ডাকা হয়নি নির্বাচক কমিটির কোনও বৈঠকও!

চমকপ্রদ এই ঘটনা ঘটেছে টেবল টেনিসের জুনিয়র বাংলা দল নির্বাচনে মেয়েদের বিভাগে। এক নম্বরের অপরাধ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার জন্য সে শিবিরে প্রথম দিন যোগ দিয়েও পরে যেতে পারেনি। সেটা ফোনে জানাতে গিয়ে কর্তাদের কাছে ধমক খেয়েছে বলে অভিযোগ মেয়েটির বাবার।

এক নম্বরের নাম প্রাপ্তি সেন। আর নয় নম্বর কৌশানি নাথ।

টাকা নিয়ে বাংলার টেবল টেনিস দলে খেলোয়াড় ঢোকানো হয়, এই অভিযোগে কিছুদিন আগেই তোলপাড় হয়েছে রাজ্য এবং দেশের টিটি মহল। এটা আটকাতে সর্বভারতীয় ফেডারেশন বদলে ফেলেছে নিয়মটাই। তা সত্ত্বেও বদলায়নি পশ্চিমবঙ্গ টেবল টেনিল সংস্থার নির্বাচন প্রক্রিয়া। সংস্থার সচিব দেবিপ্রসাদ বসু বলে দিয়েছেন, ‘‘প্রাপ্তি সময়মতো আমাদের কাছে পরীক্ষার কথা বলেনি। তাই ওকে বাদ দিতে হয়েছে।’’ বেহালার মেয়ে প্রাপ্তি পড়ে জোকার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে। নবম শ্রেণীতে। প্রাপ্তির বাবা অভিজিৎ সেন অবশ্য রাজ্য টিটি সংস্থার কথা মানতে চাননি। বললেন, ‘‘প্রথম দিন কোচকে পরীক্ষার কথা বলে এসেছিল মেয়ে। তিন দিন পর ই-মেল করে স্কুলের রুটিন-সহ চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তার পরও শুনছি আমার মেয়েকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বুধবার সচিবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। উনি বললেন, আমার মেয়েকে বাদ দিয়ে অন্য এক জনকে নেওয়া হয়েছে।’’

বরোদায় ৬-১১ জানুয়ারি জাতীয় জুনিয়র ও আন্তঃরাজ্য টেবল টেনিস প্রতিযোগিতা হবে। ওই টুনার্মেন্টের জন্য দল নির্বাচন করে তাঁর শিবির শুরু হয় ১২ ডিসেম্বর। প্রথমে দমদমের একটি ক্লাবে। পরে তা নিয়ে হইচই হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় উল্টোডাঙ্গার একটি ক্লাবে। অনুশীলনে হাড়ভাঙা খাটুনির পর কখনও সেখানে না কি খেলোয়াড়দের টিফিন দেওয়া হচ্ছে রুটি-তরকারি, কখনও কচুরি বা কেক। রাজ্যের অন্যতম সফল খেলার এই জঘন্য পরিস্থিতি নিয়ে হইচইয়ের মাঝেই দল নির্বাচন নিয়ে অভিযোগে তোলপাড় ময়দান।

প্রশ্ন উঠেছে কোন নিয়মে চার জনকে টপকে টিমে ঢোকানো হল কৌশানিকে? কেন সুযোগ দেওয়া হল না র‌্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ নম্বরে থাকা মেয়েকে। সংস্থার সচিব দেবীপ্রসাদবাবুর যুক্তি, ‘‘যা করেছি নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে।’’ কিন্তু ঘটনা হল, সংস্থার নিয়মে আছে, চেয়ারম্যান একার সিদ্ধান্তে কোনও খেলোয়াড়কে বাংলা দলে ঢোকাতে পারেন না। তা হলে?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Prapti Sen Table Tennis
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE