Advertisement
E-Paper

Laxmi ratan Shukla: সেনা-মহড়ায় দলকে তৈরি করতে চান লক্ষ্মী

বাংলার প্রস্তুতিও শুরু হচ্ছে অগস্টের প্রথম সপ্তাহে। লক্ষ্মী জানিয়ে দিয়েছেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারকে একই নিয়ম মেনে চলতে হবে।

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত 

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২২ ০৮:১৬
দায়িত্বে: ইডেনে নতুন কোচ লক্ষ্মী। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

দায়িত্বে: ইডেনে নতুন কোচ লক্ষ্মী। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

বাংলা দলের কোচ হওয়ার পরেই লক্ষ্মীরতন শুক্লর ঘোষণা, সেনাবাহিনীর ট্রেনিং করাবেন ক্রিকেটারদের। ফোর্ট উইলিয়ামেই অভিমন্যু ঈশ্বরনদের নিয়ে একটি শিবির আয়োজন করার ভাবনা-চিন্তা রয়েছে তাঁর। তবে সেখান থেকে অনুমতি নিতে হবে আগে। এর আগে অনূর্ধ্ব পঁচিশের কোচ হিসেবেও সেনাবাহিনীর ট্রেনিং করিয়েছেন লক্ষ্মী। এ বার তা নিয়ে আসতে চান সিনিয়র দলেও।

বাংলার প্রস্তুতিও শুরু হচ্ছে অগস্টের প্রথম সপ্তাহে। লক্ষ্মী জানিয়ে দিয়েছেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারকে একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। সিনিয়র বলেই কেউ অতিরিক্ত সুবিধে পাবেন না। প্রাক-মরসুম প্রস্তুতিতেও থাকতে হবে সকলকে।

মঙ্গলবার বিকেলেই সিএবি-তে প্রবেশ করেন বাংলার নতুন কোচ। এবং শুরুতেই যেন পরিবার গড়তে নেমে পড়লেন। সকলের সঙ্গে সম্মান দিয়ে কথা বলা থেকে পরিবারের সদস্যদের খবর নেওয়া। শারীরিক কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, সেই খোঁজ নিতেও দেখা গেল তাঁকে।

সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় প্রাক্তন ক্রিকেটার। বাংলা যে বার রঞ্জি জিতেছিল, পায়ে মারাত্মক চোট নিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। দাদা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ইংল্যান্ডে থাকলেও বাংলার ক্রিকেট নিয়ে খোঁজ নিয়ে যাচ্ছিলেন। লক্ষ্মীর নিয়োগের ব্যাপারে সংস্থার ক্রিকেটীয় অংশের বড় ভূমিকা থাকল বলেই ওয়াকিবহালমহল মনে করছে।

সাংবাদিক বৈঠক শেষে লক্ষ্মী বলছিলেন, ‘‘বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকের সঙ্গেই খেলেছি। প্রত্যেকের মধ্যেই বড় ক্রিকেটার হওয়ার ক্ষমতা আছে। কোন জায়গায় তারা পিছিয়ে পড়ছে, সেটা খুঁজে বার করার দায়িত্ব আমার।’’ যোগ করেন, ‘‘ফিটনেসের দিক থেকে কোনও আপস করা হবে না। ভাবছি ক্রিকেটারদের সেনাবাহিনীর ট্রেনিং দেব। ফোর্ট উইলিয়ামে ওদের একটি শিবির আয়োজন করার চেষ্টা করা হবে। তাদের থেকে অনুমতি নিতে হবে দ্রুত।’’ সেনাবাহিনীর ট্রেনিংয়ের সাহায্যে বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে লড়াকু মানসিকতা তৈরি করার উদ্দেশ্য তাঁর। সহকারী হিসেবে পাচ্ছেন সৌরাশিস লাহিড়়ীকে। বোলিং কোচ সম্ভবত শিবশঙ্কর পাল। কোচিং দল গড়ে তুলতে সিএবি কর্তারা জোর দিচ্ছেন তারুণ্যের উপর। দ্রুতই অশোক ডিন্ডা, সঞ্জীব সান্যাল, অরিন্দম দাসদের নাম বিভিন্ন বিভাগে কোচ বা সহকারি কোচ হিসেবে ভাবা হলে অবাক হওয়ার থাকবে না।

লক্ষ্মী বাংলার প্রাক্তন কোচদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এমনকি বাংলার বয়সভিত্তিক স্তরেও যাঁরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাঁদেরও যে প্রয়োজন হতে পারে, অস্বীকার করছেন না। ডব্লিউভি রামন কোচ থাকাকালীন বাংলাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লক্ষ্মী। শেষ ট্রফিও এসেছে রামনের কোচিংয়েই। তাঁর সঙ্গে আরও এক বার কাজ করার সুযোগ পেয়ে লক্ষ্মী আপ্লুত। বলছিলেন, ‘‘এত দিন বাংলা দলকে যাঁরা কোচিং করিয়েছেন, প্রত্যেকেই নতুন কিছু শিখিয়েছেন। এখনও আমাদের বয়সভিত্তিক স্তরে যাঁরা কোচ হিসেবে রয়েছেন, তাঁদের সাহায্য প্রয়োজন হবে। আমরা একই সুতোয় বাঁধা। এখন যারা বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলছে, তাদের মধ্যে থেকেই আগামী দিনে অনেকে বাংলার হয়ে খেলবে। সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।’’

দায়িত্ব পেয়েই সকলকে ঐক্যবদ্ধ করার বার্তা দিয়ে গেলেন বাংলার বর্তমান কোচ। সেই সঙ্গেই বলেন, ‘‘রামনের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমিও মুখিয়ে রয়েছি। তবে বাংলার প্রত্যেক বিভাগের কোচকেই আমার প্রয়োজন হবে।’’ বাংলার ব্যাটিং পরামর্শদাতা ডব্লিউভি রামন মরসুমে ৫০ দিন কোচিং করাবেন। মরসুম শুরু হওয়ার আগেই তিনি আসবেন শহরে। বাংলার কোচিং মানচিত্রে লক্ষ্মীর হাতেখড়ি হয় গত বছর অনূর্ধ্ব-২৫ দলের প্রশিক্ষক হিসেবে। বাংলার কোচ হওয়ার পরে তাঁর বার্তা, ‘‘সকলের জন্য সমান নিয়ম। সিনিয়র-জুনিয়র বিভেদ থাকবে না দলে।’’

‘ফাইটার’ লক্ষ্মী ফিরলেন। বাংলার ক্রিকেট সংসারেওকি লক্ষ্মী ফিরবে? দেখার অপেক্ষায় ক্রীড়াপ্রেমীরা।

Laxmi Ratan Shukla CAB Eden Gardens Bengal Cricket team
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy