Advertisement
২১ মার্চ ২০২৩
Shami-Hasin Case

শামির বিরুদ্ধে ‘বধূ নির্যাতন’ মামলার সব তথ্য চাইল কলকাতা হাই কোর্ট

২০১৮ সালে শামির বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন হাসিন। হাসিনের দাবি, সেই মামলায় আগাম জামিন নেননি শামি। এমনকি, আদালতে হাজিরা দিতেও আসেননি ভারতীয় ক্রিকেটার।

File picture of Indian cricketer Mohammed Shami

শামির বিরুদ্ধে হাসিনের করা মামলায় এ বার নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৪৭
Share: Save:

ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে স্ত্রী হাসিন জাহানের করা মামলার সমস্ত তথ্য চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের নির্দেশ, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্য সরকারের কৌঁসুলিকে এই মামলার যাবতীয় নথি আলিপুর আদালত থেকে এনে হাই কোর্টে পেশ করতে হবে।

Advertisement

২০১৮ সালে শামির বিরুদ্ধে ‘বধূ নির্যাতন’-সহ একাধিক অভিযোগ এনে যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন হাসিন। হাসিনের দাবি, সেই মামলায় আগাম জামিন নেননি শামি। এমনকি, আদালতে হাজিরা দিতেও আসেননি ভারতীয় ক্রিকেটার। হাসিনের আইনজীবী আশিস চৌধুরি জানিয়েছেন, সেই মামলায় ২০১৯ সালে নিম্ন আদালতে পুলিশ চার্জশিট দিয়ে জানায় শামির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এর পরে ওই বছর ২৯ অগস্ট তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন অলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ২৯ সেপ্টেম্বর সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেন আলিপুরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে যান হাসিন। এর আগে এই মামলায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত শামিকে নোটিস জারি করার নির্দেশ দেন।

সোমবার বিচারপতি পালের মন্তব্য, ‘‘আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। আইন সবাইকে মানতে হবে।’’ তাঁর নির্দেশ, আপাতত এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে নিম্ন আদালতে। পরবর্তী শুনানি দিন সমস্ত নথি পেশ করতে হবে।

এ ছাড়া হাসিনের করা গার্হস্থ্য হিংসা মামলায় শামিকে আর্থিক সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালত। ২০১৮ সালে ভারতীয় দলের জোরে বোলার শামির বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে মামলা রুজু করেছিলেন তাঁর স্ত্রী হাসিন। যদিও সে সময় হাসিনের অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন শামি। চলতি মাসের ১৮ তারিখে এই মামলার শুনানি শেষ হয়। সোমবার মামলার রায়দানের সময় বিচারক অনিন্দিতা গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে স্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দিতে হবে শামিকে। এ ছাড়া, ’১৮ সালে এই মামলা চলাকালীন আদালতের নির্দেশ ছিল, দম্পতির মেয়ের জন্য প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা দিতে হবে শামিকে। বিচারক গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর রায়ে আরও জানিয়েছেন, ’১৮ সালে এই মামলা শুরু হওয়ার সময় থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে। অর্থাৎ ওই বছরের মার্চে মামলা রুজু হওয়ার সময় বকেয়া অর্থ শামিকে মেটাতে হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.