ইডেন গার্ডেন্স। — ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি ঠিক দুই মাস। তার আগে শনিবার ইডেন গার্ডেন্স পরিদর্শন করে গেল আইসিসি-র প্রতিনিধিদল। কলকাতার এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম দেখে খুশি আইসিসি-র কর্তারা। কিছু কিছু বিষয় নিয়ে এখনও সমস্যা রয়েছে। তবে সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের আশ্বাস, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তাঁরা সব কাজ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। স্নেহাশিস জানিয়েছেন, ইডেনে নতুন স্কোরবোর্ড বসছে। ঢেলে সাজানো হচ্ছে শৌচাগার এবং কর্পোরেট বক্স।
শনিবার বেলার দিকে ইডেনে আসে আইসিসি এবং বোর্ডের ২১ সদস্যের দল। সাজঘর, কর্পোরেট বক্স, মিডিয়া সেন্টার এবং ধারাভাষ্যকারদের বক্স ঘুরে দেখা হয়। স্নেহাশিস জানালেন, ধারাভাষ্যকারদের বক্সে জায়গা বৃদ্ধি করার কথা বলেছে আইসিসি-র দলটি। কিন্তু নতুন করে জায়গা বাড়ানোর মতো পরিকাঠামো সিএবি-র কাছে নেই। তা-ও এ ব্যাপারটি যতটা সম্ভব খেয়াল রাখা হবে বলে জানিয়েছেন স্নেহাশিস। পাশাপাশি সম্প্রচারকারী সংস্থাও তাদের নিজেদের জন্য বেশি জায়গা চেয়েছে। সেখানেও অতিরিক্ত জায়গা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। স্নেহাশিসের দাবি, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
ইডেন পরিদর্শনে আইসিসি-র দল। রয়েছেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (মাঝে)। ছবি: সংগৃহীত।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইডেন গার্ডেন্স সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি করে ফেলতে হবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আইসিসি-র দলটি আরও এক বার ইডেন পরিদর্শনে আসবে। সিএবি সভাপতির আশা, তার মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। আইসিসি-র দলটি বেশি জোর দিয়েছে শৌচাগার, ক্লাবহাউস এবং হসপিট্যালিটি বক্সের সৌন্দর্যায়নে। তাদের দাবিমতোই সেগুলি নতুন করে সংস্কার করা হচ্ছে। পাশাপাশি ফুডকোর্টের সংস্কার করে সেখানে কিছু বদল আনা হচ্ছে। দর্শকদের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সেটি খেয়াল রাখাই মূল কাজ হতে চলেছে।
ইডেনে নতুন করে একটি ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড বসছে। আগের যে ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ডটি ছিল, সেটিতেও কিছু বদল আনা হচ্ছে। বদল আসছে সাজঘরেও। সেখানে নতুন করে ‘সনা বাথ’ বসছে। এ ছাড়া রিক্লাইনার আসনগুলিতেও বদল আনা হচ্ছে।
স্টেডিয়ামে আসনসংখ্যায় কোনও বদল হচ্ছে না। সাড়ে ৬৫ হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারবেন। টিকিটের দাম আইসিসি-র কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র আসেনি। ভারতীয় বোর্ড প্রতিটি মাঠে বিনামূল্যে জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু স্নেহাশিস জানালেন, এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা এখনও তাঁদের কাছে আসেনি। মাঠে বোতল নিয়ে ঢোকা যাবে না। আগের মতোই পাউচের ব্যবস্থা থাকছে।
সিএবি-র তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে কলকাতা পুলিশ। দর্শকেরা যাতে ম্যাচের আগে এবং পরে সুষ্ঠু ভাবে ঢুকতে এবং বেরোতে পারেন, সেটি মাথায় রাখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy