এই উদ্যোগ কয়েক মাসের মধ্যেই বাস্তবায়িত হবে ভেবে উচ্ছ্বসিত সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া ও সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। নতুন আলো লাগানোর কাজ হয়ত এর মধ্যেই শুরু করে ফেলতে পারত সিএবি। কিন্তু এই মিউজিক সিস্টেমযুক্ত ডিএমএক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করার ভাবনা সিএবি কর্তাদের মাথায় আসায় নতুন করে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। সেই কারণে কিছুটা দেরি হচ্ছে বলে জানালেন অভিষেক।
পুরনো মেটাল হ্যালাইডের আলোগুলি কোনও ভাবেই নষ্ট হবে না, বা ফেলে দেওয়া হবে না। তার জন্য অন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে সিএবি। অভিষেক বললেন, ‘‘পুরনো আলোগুলো আমরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে লাগাব। তা হলে সেই মাঠেও নৈশালোকের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। ওঁদের অনুমতি পেয়ে গিয়েছি।’’
নতুন আলো লাগানো হলে ইডেনের দর্শকদের নতুন অভিজ্ঞতা হবে জানিয়ে সিএবি সভাপতির বক্তব্য, ‘‘বিশ্বের আধুনিক সব ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ব্যবস্থা আছে। এটা অনেকটা বাড়ির সুইচের মতো। এক বার টিপলেই সঙ্গে সঙ্গে আলো জ্বলে উঠবে। ইডেনও সেই দিক থেকে এক ধাপ আধুনিক হতে চলেছে। আলো, মিউজিক, সব মিলিয়ে দর্শকদের ভিন্ন অভিজ্ঞতা হবে। শুধু তাই নয়, ইডেনের ম্যাচ যাঁরা টেলিভিশনে দেখবেন, তাঁদেরও খেলা দেখার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধে হবে। কারণ নতুন আলোয় টেলিভিশনেও অনেক পরিষ্কার খেলা দেখা যাবে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যে প্রযুক্তি মেনে টেলিভিশনস্বত্ব দেয়, সেই ‘৫কে’ প্রযুক্তি মেনেই নতুন আলো লাগানো হবে।’’
ঠিক এই ভাবনা থেকেই নতুন আলো লাগানোর পরিকল্পনা বলে জানালেন স্নেহাশিস। সিএবি সচিব বললেন, ‘‘২০১৯ সালে গোলাপি বলের টেস্টের সময়ই ইডেনের আলো নিয়ে একটু খটকা লাগে। তখন মনে হয়েছিল, আরও আধুনিক আলো লাগানোর দরকার। তখন আমি ধারাভাষ্য দেওয়ার কাজে নানা জায়গায় যেতাম। সেই সুবাদে বিভিন্ন স্টেডিয়ামে দেখেছি, আলো নিভে যাওয়ার কোনও ব্যাপারই নেই। তার পর যখন সিএবি সচিব হলাম, তখন ইডেনের আলো সংস্কারের কথা মাথায় আসে। সেটা এ বার বাস্তবায়িত হতে চলেছে।’’
জানা গেল, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নতুন আলো লাগানোর বরাত দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। আইপিএল-এর আগে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। খুব দেরি হলে মে-জুন মাসে নতুন আলো লাগানো হয়ে যাবে ইডেনের বাতিস্তম্ভে।