সফল: সোনা জয়ের পরে শ্রেয়সী সিংহ। বুধবার গোল্ড কোস্টে। ছবি: পিটিআই
আট বছর আগে হঠাৎ পিতৃবিয়োগে দিশাহারা যে শ্রেয়সী সিংহ কমনওয়েলথে গেমস থেকে খালি হাতে ফিরেছিলেন, আট বছর পরে জীবনের সেরা মুহূর্ত অর্জন করলেন সেই কমনওয়েলথ গেমসেই। মেয়েদের ডাবল ট্র্যাপ ইভেন্টে সোনা জয় করে।
বুধবার গোল্ড কোস্টে ভারতকে দ্বাদশ সোনার পদকটি এনে দেওয়ার পরে শ্রেয়সী বলেন, ‘‘এটাই জীবনের সেরা পদক। পরের বার কমনওয়েলথ গেমস থেকে শুটিং উঠে যাচ্ছে বলেই এটা বিশেষ সাফল্য আমার কাছে। বহু দিন ধরে এই সাফল্য উপভোগ করব।’’
জাতীয় রাইফেল সংস্থার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিগ্বিজয় সিংহের মেয়ে তিনি। ২০১০-এর কমনওয়েলথ গেমস শুরুর আগের দিনই বাবাকে হারান শ্রেয়সী। ২০১৪-য় গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে পিঠের ব্যথা নিয়েও রুপো জিতেছিলেন। এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ।
এই নিয়ে এ বার কমনওয়েলথ গেমস শুটিংয়ে চারটি সোনার পদক পেল ভারত। জিতু রাই, হিনা সিধু, মনু ভাকেরের পরে শ্রেয়সী। বুধবার ডাবল ট্র্যাপ ইভেন্টে রুপোজয়ী এম্মা কক্সের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে জেতেন ২৬ বছর বয়সি এই শুটার। ফাইনালে তাঁদের দু’জনেরই স্কোর ছিল ৯৬। শুট-অফে তাঁকে ২-১ হারিয়ে শেষ পর্যন্ত সোনা নিশ্চিত করেন শ্রেয়সী। সেই সময়ের মানসিক অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘খুবই স্নায়ু চাপে ভুগছিলাম। পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসীও ছিলাম। যাই হোক, চেষ্টা ছাড়ব না, এটা ভেবেই নেমেছিলাম রেঞ্জে। সোনা জেতার জন্য যতক্ষণ লড়াই করা দরকার, ততক্ষণ করে যাব, এমনই মানসিকতা ছিল। সেটাই কাজে লাগল।’’
সোনার সামনে মেরি কম: পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী মেরি কম আরও এক কীর্তির সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আর একটি লড়াই জিততে পারলেই মেয়েদের বক্সিং থেকে প্রথম কমনওয়েলথ সোনা চলে আসবে ভারতের দখলে। বুধবার ৪৮ কেজি বিভাগের সেমিফাইনালে মেরি ৫-০ ফলে হারিয়ে দেন তাঁর শ্রীলঙ্কার প্রতিদ্বন্দ্বী অনুষা দিলরুক্ষি কোদিথুয়াক্কুকে। এ বার ফাইনালে মেরির প্রতিদ্বন্দ্বী নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ক্রিস্টিনা ওহারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy