Advertisement
০৩ মে ২০২৪
অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট জমা দিল মুদগল কমিশন

জোড়া ভাগ্য নির্ধারণ হয়তো ১ সেপ্টেম্বর

একটা নয়, সব ঠিকঠাক চললে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের দু’টো ঘটনার ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি বলে দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। প্রথমত মুদগল কমিশন সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনে জেনে যেতে পারে, তাদের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য আরও দু’মাস দেওয়া হবে কি না।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৪ ০৩:১৫
Share: Save:

একটা নয়, সব ঠিকঠাক চললে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের দু’টো ঘটনার ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি বলে দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট।

প্রথমত মুদগল কমিশন সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনে জেনে যেতে পারে, তাদের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য আরও দু’মাস দেওয়া হবে কি না। যে আবেদন অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট জমা দেওয়ার পাশাপাশি শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের স্পেশ্যাল বেঞ্চের কাছে করা হল।

দ্বিতীয়, নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনও সম্ভবত সে দিনই জেনে যাবেন বোর্ড সুপ্রিমো হিসেবে তাঁকে পুনর্বহালের আবেদন কী ভাবে দেখছে সুপ্রিম কোর্ট। আঁচ পেয়ে যাবেন, তাঁকে বোর্ডের দৈনন্দিন কাজকর্মের মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে কি না।

মুদগল কমিশন যে তদন্তের জন্য আরও দু’মাস সুপ্রিম কোর্টের কাছে চাইবে, তেমন একটা জল্পনা গত রাত থেকেই ক্রিকেটমহলে ছিল। এ দিন কমিশনের পক্ষ থেকে মুখবন্ধ খামে অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট জমা করা হল। ঠিক হয়েছে, ১ সেপ্টেম্বর মুদগল কমিশনের আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্ট গত মে মাসেই মুদগল কমিশনকে বলে দিয়েছিল যে, আইপিএল কেলেঙ্কারি নিয়ে রিপোর্ট দু’মাসের মধ্যে জমা করতে হবে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, সবার সাক্ষ্যগ্রহণ এখনও হয়নি। আরও দু’মাস লেগে যাবে কমিশনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করতে। বিচারপতি এম এস ঠাকুর ও খলিফুল্লার স্পেশ্যাল বেঞ্চ এই অবস্থায় তদন্ত কমিটিকে আরও সময় দেয় কি না, সেটা দেখার। কারণ তদন্ত কমিটিকে তদন্তের জন্য আরও দু’মাস দেওয়া মানে বোর্ড নির্বাচন অবধারিত পিছিয়ে যাওয়া। কোনও ভাবেই তখন আর সেটা সেপ্টেম্বরে হতে পারবে না।

যে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে আবার প্রবল আপত্তি আদিত্য বর্মার। বিহার ক্রিকেট সংস্থার সচিব এবং মামলার পিটিশনার আদিত্য শুনিয়ে দিচ্ছেন, বোর্ড নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়া কোনও ভাবে বরদাস্ত করবেন না। শোনা গেল, শ্রীনি কী ভাবে আইসিসি চেয়ারম্যান হয়ে গেলেন তা নিয়েও ১ সেপ্টেম্বর কোর্টে প্রশ্ন তোলা হবে। অপসারিত বোর্ড প্রেসিডেন্ট এর আগে আদালতে আবেদন করেছিলেন, তাঁকে বোর্ডের কাজকর্মে পুনর্বহাল করা হোক। সেই আবেদন আদৌ গ্রাহ্য হবে কি না, সেটাও ১ সেপ্টেম্বর বোঝা যেতে পারে। আদিত্য যদিও আগাম হুঙ্কার দিলেন, “ওটা তো হতে দেবই না। বরং পাল্টা প্রশ্ন তুলব কী ভাবে ওকে আইসিসি চোয়ারম্যান হওয়ার অনুমতি দিয়ে দিল বোর্ড? সুপ্রিম কোর্ট যেখানে ওকে বোর্ড থেকেই সরিয়ে দিয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE