পিচ দেখতে মাঠে চললেন কুম্বলে-ধোনি।
আজ, শনিবার বিশাখাপত্তনমে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জয়ের লড়াই। পিছিয়ে থেকে দু’বার দারুণ ভাবে ফিরে এসে সিরিজটা ২-২ করেছে নিউজিল্যান্ড। রাঁচিতে বিশেষ করে ওরা দুর্দান্ত জয় পেয়েছিল। ম্যাচের প্রথমার্ধে যা টার্ন দেখলাম, তাতেই বোঝা যাচ্ছিল ওই উইকেটে পরে ব্যাট করা কতটা কঠিন হবে। উইকেটে যে রকম টার্ন ছিল, তাতে মিচেল স্যান্টনার যে ভাল বল করবে জানাই ছিল। তবে টিম সাউদি আর জেমস নিশামের কথাও বলতে হবে। কারণ ওরা দু’জনেই অসাধারণ বল করেছে।
ভারতীয় মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা নিয়ে, টিমের লোয়ার অর্ডারের পার্টনারশিপ গড়া নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, ভারতের লোয়ার অর্ডার রান পেলেও দুটো দলের ব্যবধান ক্রমশ বেড়েছে। ধোনি আর রাহানে তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাওয়ায় নতুন, অনভিজ্ঞ মিডল অর্ডারের উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ওদের বুঝতে হবে, কঠিন পরিস্থিতিতে সফল হলেই নতুন প্লেয়ারদের কেরিয়ার তৈরি হয়।
বিশাখাপত্তনমের যা রিপোর্ট পাচ্ছি তা আশা জাগানোর মতো নয়। আবহাওয়ার চেয়েও বেশি খারাপ রিপোর্ট আসছে উইকেট নিয়ে। ওখানে হালফিলে যে রঞ্জি ম্যাচগুলো হল, সেগুলোর ফলাফল দেখে মনে হচ্ছে নতুন সারফেসটা সহজ হবে না। এ রকম খারাপ পিচে খেললে দুর্বল আর শক্তিশালী টিমের ফারাকটা কমে যায়। যদিও ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি না, নিউজিল্যান্ড দুর্বল টিম।
ধোনিকে চারে নামতে দেখে ভাল লাগছে। আশা করব দু’-একটা হার ওর চিন্তাধারা পাল্টে দেবে না। ওপেনাররা যে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স করতে পারছে না, এটা নিয়ে প্রচুর কথা হয়েছে। তবে আমার মনে হয় না, এই মুহূর্তে এটা খুব বড় চিন্তার বিষয়। এই ম্যাচে একটা জিনিস ভারত ভাবতে পারে— একজন পেসারের জায়গায় প্রথম এগারোয় আর একজন স্পিনার খেলানো। টিমে সামান্য এই বদলটাই হয়তো যথেষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy